প্রতীকী ছবি।
২০২৪! নতুন বছরে শিক্ষার মান উন্নয়নের স্বার্থে এবং শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত ভবিষ্যতের লক্ষ্যে রাজ্য শিক্ষা দফতরের বিশেষ উদ্যোগ। রাজ্য জুড়ে সরকারি স্কুলগুলিতে বছরের প্রথম সপ্তাহে পালিত হচ্ছে ‘স্টুডেন্টস উইক’। এই প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তাও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য সরকারের রূপায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই মূলত ‘স্টুডেন্টস উইক’ পালনের উদ্যোগ। আবার বলা যায়, এই ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে, তারা আরও বেশি স্কুলমুখী হবে। অন্যদিকে, সামনেই শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক। জীবনের প্রথমে বড় পরীক্ষা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক পরীক্ষার্থীই এই সময় চিন্তায়, ভয় থাকে। ‘স্টুডেন্টস উইক’ এর বিভিন্ন অনুষ্ঠান তাদেরও স্বস্তি দেবে।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি স্কুলে নানা রকম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বছরের প্রথম সপ্তাহ উদ্যাপন করা হচ্ছে। সেই মতো শিক্ষা দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী ‘খাদ্য উৎসব’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রছাত্রীরা পালন করছে ‘স্টুডেন্টস উইক’। চলছে বাংলার পৌষ মাসও। এই সময় স্কুলের পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন রকমের রান্না করেছে। পাটিসাপ্টা, মোয়া, কেউ আবার ফুচকা, পোলাও-এর মতন আরও প্রায় ২৫ রকমের পদ রেঁধে এনেছে তারা। খাদ্য উৎসবে প্রতিটি পদই স্টল করে রাখা হয়েছিল। তবে, শুধু ছাত্রছাত্রীই নয়, এই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন শিক্ষক থেকে অভিভাবকরাও। এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের এই প্রচেষ্টা খুবই প্রশংসনীয়। শিক্ষার্থীরা উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই খাদ্য উৎসব পালন করেছে।’’
একই ভাবে যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলেও পালন করা হচ্ছে ‘স্টুডেন্টস উইক’। শিক্ষা দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী বৃক্ষরোপণ, ‘রিডিং ফেস্টিভ্যাল’, অভ্যন্তরীণ কুইজ় প্রতিযোগিতার মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রতিযোগিতায় আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যাবস্থাও রাখা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেনমজুমদার জানিয়েছেন, ‘‘বছরের শুরুতে এই ধরনের অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়িয়েছে। শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও তা বিপুল সাড়া ফেলেছে।’’