প্রতীকী চিত্র।
২ মে প্রকাশিত হতে চলেছে ২০২৪-এর মাধ্যমিকের ফল। এই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই রাজ্যের বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মেলে। শেষ কয়েক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাশের হার ৯০ শতাংশের গণ্ডি পেরোতে পারেনি।
একনজরে শেষ ছ’বছরের ফলাফলের পরিসংখ্যান:
১. ২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। পরীক্ষার্থী ছিল ৬,৩৭,১০৫ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ৫,৪৮,৯০৯ জন। পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ।
২. ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৮৬.৬ শতাংশ। মোট ১১, ২৬, ৮৬৩ জন পরীক্ষা দিয়েছিল।
৩. ২০২১ সালে অতিমারি পরিস্থিতিতে ইন্টারনাল ফরম্যাটিং ইভ্যালুয়েশন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সঙ্গে যোগ হয়েছিল ২০১৯ সালের নবম শ্রেণির দু’টি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর। সেই বছরের মূল্যায়নে মোট ১০,৭৯,০০০ ছাত্র-ছাত্রীকেই উত্তীর্ণ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ১০০ শতাংশ পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল ৭৯ জন।
৪. ২০২০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬.৩৪ শতাংশ, মোট পরীক্ষার্থী ১০, ০৩,৬৬৬ জন।
৫. ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬.০৭ শতাংশ, মোট পরীক্ষার্থী ১০, ৫০, ৩৯৭ জন।
৬. ২০১৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৫.৪৯ শতাংশ, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১, ০২, ৯২১ জন।
এই বিষয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, আগে পরীক্ষা পদ্ধতি এবং প্রশ্নপত্রে নম্বর বিভাজন অন্য রকম থাকায় বেশি নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল। তবে, বর্তমানে সেই বিষয়ে পরিবর্তন হওয়ায় বেশি নম্বর তোলার সুযোগ এবং সুবিধা বৃদ্ধি হয়েছে। নম্বরের বিভাজন বদলেছে, ফুল মার্কস তোলার সুযোগ পরীক্ষার্থীদের কাছে রয়েছে। তাই এই বছরের সামগ্রিক ফলাফল বেশি ভাল হতে পারে, এটাই আশা করা যেতে পারে।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯,২৩,০১৩ জন, এর মধ্যে ৩,৯৬,২৭৬ জন ছাত্র এবং ৪,৭৯,৮৩৭ জন ছাত্রী। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ কিংবা নকল করার অপরাধে বাতিল হয়েছিল ৪৮ জনের পরীক্ষা। এ বছরের পরীক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধি পায় কী না, এখন সেটাই দেখার।