প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য এ বার জেলাস্তরে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। চলতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লক্ষ ছুঁইছুঁই। সেই পরীক্ষা ঘিরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য সরকারি স্তরের ১০টি বিভাগকে নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে থাকছেন প্রত্যেক জেলাভিত্তিক সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ কমিশনার।
শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য রাখা হচ্ছে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে (এডিএম)। কমিটিতে থাকবেন ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার, জেলাভিত্তিক স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ আরও অনেকে। রাখা হচ্ছে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার (আরটিও) এবং রাজ্য বিদ্যুৎ পরিষেবা সুষ্ঠু রাখার জন্য জেলার জেলার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদেরও। এ ছাড়াও থাকছেন জেলা মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ, ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টরাও। এই কমিটিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারা মনোনীত ডিস্ট্রিক্ট কনভেনরাও থাকবেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী স্কুল শিক্ষা দফতর এই কমিটি তৈরির দায়িত্বে।
প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য তিন ধরনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেগুলি হল ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অ্যাডভাইজ়রি কমিটি (ডিএনএসি), ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (ইআরটি) এবং ডিস্ট্রিক্ট মনিটারিং টিম (ডিএমটি)।
ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং টিমের কাজ হল পরীক্ষার সাত দিন আগে থেকে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত কাজ হয়েছে কি না, তা যাচাই করা। আগে প্রত্যেকটি জেলার সাব ডিভিশন অনুযায়ী এর সদস্যসংখ্যা ছিল এক জন করে। এ বছর থেকে তা দু’জন করা হয়েছে বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর।