মোদীর জন্মদিন এখন থেকে সেবা দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত। ছবি: পিটিআই।
বিপুল সংখ্যায় ভর করে নরেন্দ্র মোদী যখন ক্ষমতায় এলেন, দেশ জুড়ে তখন ‘অচ্ছে দিন’-কে কেন্দ্র করে গগনচুম্বী প্রত্যাশা এবং সর্বোপরি গগনভেদী স্লোগানের কলরোল। তার পর দু’বছরের কিছু বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে মাত্র। সংখ্যা এখনও বিপুল, শুধু সেই প্রত্যাশার বেলুন এখন চোপসানো, স্লোগান ধরাশায়ী। দেশের ‘অচ্ছে দিন’ আসেনি, অতএব বিজেপি-র মধ্যে আশঙ্কাটা ঘনীভূত হচ্ছে, অচ্ছে দিন কি ঢলে যাচ্ছে সন্ধ্যার দিকে?
অতএব রিপ্যাকেজিং-এর প্রয়োজন স্পষ্ট হচ্ছে। ব্র্যান্ডের রিপ্যাকেজিং। ব্র্যান্ড বিজেপি, অর্থাৎ ব্র্যান্ড মোদীর। সে জন্য মোদীর জন্মদিনকেই বেছে নিল বিজেপি, যে মোদী তাঁর জন্মদিনকে ঘিরে আড়ম্বরের আয়োজনে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, রাজনীতি বড় বালাই।
জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী মোদী। ছবি: পিটিআই।
মজার কথা হল, গত দু’বছর দেশ শাসনের অভিজ্ঞতা বিজেপি-কে গগনস্পর্ধী মিনার থেকে সরে এসে অনেক বেশি মাটির কাছাকাছি করে তোলার অভিমুখী করেছে। অচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি বিতরণ নয়, মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে সেবার মধ্য দিয়ে মন জয়ের আদি ও অকৃত্রিম পথেই যে জনপ্রিয়তা রক্ষার মন্ত্র, এই সার সত্যটি তারা উপলব্ধি করেছে। অতএব, মোদীর জন্মদিন এখন থেকে সেবা দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত। অতএব, মোদী নিজে ছুটছেন গুজরাতে পিছড়েবর্গের কাছে, অমিত শাহ ছুটছেন তেলঙ্গানা, ঝাড়ু হাতে স্বচ্ছতার অভিযানে, সুষমা স্বরাজ দিল্লির কুষ্ঠ কলোনিতে। মানুষের সেবায় তৃণাদপি সুনীচেন ভঙ্গিতে ফেরা। প্রতিশ্রুতি দিলে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের দায় এসে পড়ে। অতএব, প্রতিশ্রুতি নয়, সেই পথ থেকে সরে সেবার পথে যাওয়া অনেক নিরাপদ।
দেশের কথা পরে, বিজেপি পারবে তাদের অচ্ছে দিন ফেরাতে?