সম্পাদক সমীপেষু: শ্যামাপ্রসাদ ও আমরা

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলাই ছিল তাঁর লক্ষ্য।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০০:০০
Share:

‘শ্যামাপ্রসাদে কালির পোঁচ প্রেসিডেন্সিতে’ (২০-৩) সংবাদে প্রকাশ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের প্রতিনিধি মঞ্জিমা দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘‘আমরা মূর্তি বা নামে কালি লাগানোর বিরোধী। এই ঘটনার নিন্দা করছি। শ্যামাপ্রসাদের যা কীর্তি, তাতে নতুন করে তাঁর নামের ওপর কালি লাগানো অর্থহীন।’’ মঞ্জিমা শ্যামাপ্রসাদের কীর্তিগুলি সম্পর্কে কতটুকু জানেন? শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। সব থেকে বড় কথা, শ্যামাপ্রসাদ নিজে উদ্যোগ না করলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাই গঠিত হত না। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় সমগ্র বঙ্গপ্রদেশ পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। শ্যামাপ্রসাদ বুঝেছিলেন, তা করলে, হিন্দু বাঙালিরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন এবং নানা অত্যাচার ও অবিচারের শিকার হবেন। শ্যামাপ্রসাদের উদ্যোগেই বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানীতে বসে মঞ্জিমা দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য পেশ করছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি গঠিত না হলে ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অধুনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন দমন করতে ভয়াবহ অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে, তার শিকার বর্তমান পশ্চিমবঙ্গবাসীরা অবশ্যই হতেন।

Advertisement

বিজনকুমার মিত্র

চুঁচুড়া, হুগলি

Advertisement

ফ্লাইওভার বন্ধ

কলকাতার উপকণ্ঠে বিমানবন্দরের কাছে (বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপরে) একটি ফ্লাইওভার গত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে। এটি বিরাটির দিক থেকে এসে দক্ষিণেশ্বরের রাস্তায় খালিশাকোটায় মিশেছে। তৈরির মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে সামান্য একটি ফাটল দেখা দেওয়ায় এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সমীর বরণ সাহা

কলকাতা-৮১

যানজট

বর্ধমান আরামবাগ রোডের সেহারাবাজার সংলগ্ন এলাকায় যানজট এখন রোজকার ঘটনা। এর মূল কারণ বাঁকুড়া মশাগ্রাম রেললাইন সংলগ্ন পিচ-রাস্তার বেহাল দশা এবং রাস্তা সংলগ্ন বাজার, বাজারের দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য ছোট গাড়ি, সাইকেল, মোটর সাইকেল, টোটো।

সুমন্ত কোঙার

ই-মেল মারফত

পার্কিং

রাধাবাজার পোস্ট অফিসের সামনে রাধাবাজার স্ট্রিটে প্রায় সমস্ত রাস্তায় বেআইনি ভাবে ভ্যান ও ম্যাটাডোর দাঁড় করানো থাকে, প্রায় সারা দিন। এতে গাড়ি পার্ক করার অসুবিধে তো হয়ই, এই অঞ্চলে কোনও বাড়িতে আগুন লাগলে, বা কেউ অসুস্থ হলে, দমকলের গাড়ি বা অ্যাম্বুল্যান্সও ঢুকতে পারবে না!

মৃণাল মোহন পাল চৌধুরী

কলকাতা-৬৪

রাস্তা, নলকূপ

প্রায় ২৫ বছর আগে জগৎবল্লভপুর ব্লকের দু’টি গ্রাম হাফেজপুর ও শিবানন্দবাটীতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর গভীর নলকূপ বসায়। তা থেকেই পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হত। কয়েক মাস আগে এই এলাকায় প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনায় বারো ফুট চওড়া পিচ রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজের জন্য জল সরবরাহকারী পাইপলাইনগুলি দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, পানীয় জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ। আবার রাস্তার কাজও চলছে খুবই ঢিমে তালে। কারণ, রাস্তার একাংশ দখল করে রেখেছে গ্রামেরই কিছু অসাধু ব্যক্তি। কেউ আম গাছ লাগিয়ে, কেউ আবার পাঁচিল তুলে।

সৈয়দ আব্দুস সামি

হাফেজপুর, হাওড়া

সিন্ডিকেট

সোদপুর, আগরপাড়া ও পানিহাটির বেশির ভাগ রাস্তাই সিন্ডিকেটের দখলে চলে গিয়েছে। রাস্তার অর্ধেক জুড়ে ইট, বালি, পাথর স্তূপ হয়ে পড়ে থাকে দিনের পর দিন। যে কোনও সময় বিরাট দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বড় বড় লরি চলাচল করে ভারী মালপত্তর নিয়ে।

অশোক দাশগুপ্ত

পানিহাটি

পাম্প চলছেই

তারকেশ্বর স্টেশনে পানীয় এবং শৌচাগারের জল ব্যবহারের জন্য নিয়মিত পাম্প চালানো হয়। কিন্তু সময়মতো বন্ধ করা হয় না। ট্যাঙ্ক ভর্তি হওয়ার পরও প্রায় ঘণ্টাখানেক পাম্প চালু থাকে। ফলে প্রচুর জল অপচয় হচ্ছে। ট্যাঙ্কের নীচে জল জমছে, জমা জলে মশা জন্মাচ্ছে। স্টেশনমাস্টার বললেন, কর্মী সঙ্কোচনের ফল। এক কর্মী অবসরের পরে আর নিয়োগ হয়নি, সেই জন্য পাম্পে টাইমার বসানোয় এই হাল। সুপরিকল্পিত ভাবে টাইমার লাগালে জল ও বিদ্যুতের অপচয়, মেশিনের ক্ষয় আটকানো যেত।

আশিস কুমার ভট্টাচার্য

তারকেশ্বর, হুগলি

নদী দূষণ

রায়গঞ্জের কুলিক নদী দূষণে জর্জরিত। বন্দর শ্মশান কলোনিতে এই নদীর তীরেই রয়েছে পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড। প্রতি দিন এখানে শহরের সমস্ত আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, এমনকী হাসপাতালের বর্জ্যও। এগুলো মিশছে কুলিকের জলে।

সামিম আখতার বানু

রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর

ট্রেন বাতিল

গত ২৬-৪ তারিখে কুম্ভ এক্সপ্রেসে আমাদের হরিদ্বার যাওয়ার টিকিট কাটা ছিল। ঘন কুয়াশা নয়, বৃষ্টির প্রাবল্য নয়, বন্‌ধ ডাকা হয়নি, তবু কোনও অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ ট্রেনটি ক্যানসেল হয়ে গেল। এ কারণে আমার অনেক টাকা ক্ষতি হল। হাওড়া গিয়ে ট্রেন ধরার জন্য বর্ধমান থেকে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আমাদের পরিবারের সাত জনের সিট রিজার্ভ করে টিকিট কাটা ছিল, ফেরার দিনের ট্রেনের এসি কামরার টিকিটে মাথাপিছু ১৯০ টাকা করে কাটা হল ক্যানসেলেশন চার্জ, আর হরিদ্বারের হোটেল বুকিং করা ছিল কয়েক হাজার টাকা দিয়ে।

স্বপন দত্ত

শাঁখারিপুকুর, বর্ধমান-৩

দূষিত খাল

হুগলি জেলার চণ্ডীতলা থানার অধীন কলাছড়া গ্রামের কাছে শিয়াখালা রোডের পাশে অবস্থিত দু’তিনটে কারখানার দূষিত জল জনাই বেসিন ক্যানালে ফেলায়, এলাকার খালের জল বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে। আশপাশের ১০-১২টা গ্রামের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত, জলকষ্টও খুব।

দুঃখীরাম কাঁড়ার

নোনাকুন্ডু, হাও়ড়া

নতুন জল

নদিয়া জেলার রানাঘাট পুরসভা বাড়ি বাড়ি গঙ্গা অ্যাকশন প্রকল্পের শোধিত জল সরবরাহের নামে তুঘলকি কাজ করে চলেছে। কোনও আগাম সতর্কতা ছাড়াই পুরনো জলের লাইন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বন্ধ করে দেওয়া বয়েছে। বহু ওয়ার্ডে পুরনো জলের লাইনে নতুন জলের সংযোগ না দিয়েই নতুন জলপ্রকল্প চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও, নতুন জলের অর্ধেক লাইন দিয়েই রাস্তা তৈরিতে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। প্রথম দফায় নতুন যে জল সরবরাহ করা হত, তার সময় আধ ঘণ্টা করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিকেল চারটের জল সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। জলের প্রেশার কমে গিয়েছে।

অমল চক্রবর্তী

রানাঘাট

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement