দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত আমতলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে কোভিড-১৯ যেন ‘যমদূত’ রূপে আবির্ভূত হয়েছে। আমতলার বিভিন্ন পাড়ায় মারণরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। মহামারি প্রতিরোধের জন্য রাজ্য সরকার ও প্রশাসন সমগ্র আমতলা ও সংলগ্ন অঞ্চলে গত ১৫ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন করল।
লকডাউনে সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব ধরনের দোকান, বাজার, অফিস (সরকারি ও বেসরকারি) বন্ধ রইল। কিন্তু রাজপথের দু’ধারে ছোট ব্যবসায়ীরা মাছ, মাংস, ফল সবজি-সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দোকান দিলেন। আমতলা থেকে বারুইপুরগামী এস ডি-২৯ বেসরকারি বাস, অটো, দু’চাকার গাড়ি— সব কিছুই অবাধে চলল। রাজপথে এবং অলিগলি পথে এলাকার মানুষ ‘ডোন্ট কেয়ার’ মুখের ভাব নিয়ে লকডাউনেও অবাধে, যথেচ্ছ ঘুরে বেড়ালেন। সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত এক-আধটা দোকানও খোলা রইল।
আর এই সব কিছুই চলল বিষ্ণুপুর থানার পুলিশকর্মী-সহ ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের চোখের সামনেই! লকডাউন করে মানুষকে ঘরবন্দি করে সংক্রমণ কমানোই যদি রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য হয়, তবে এই রকম হাস্যকর আয়োজনের প্রয়োজন আছে কি?
রাজীব মিত্র
কলকাতা-৭০
লাইসেন্স দুর্ভোগ
বজবজের মহেশতলা অঞ্চলে মোটরসাইকেল ও অন্য গাড়ির জন্য দূষণ শংসাপত্র পাওয়া এক কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অঞ্চলে যে গুটিকতক পেট্রল পাম্পে ধোঁয়া পরীক্ষার কেন্দ্র আছে, সেখানে লকডাউন-পরবর্তী সময়ে এই দূষণ শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে যে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও মোটর ভেহিকলস-এর গড়িমসি ও উদাসীনতার কারণে উপযুক্ত সময়ে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। প্রশাসনিক অদক্ষতা ও অপেশাদারি আচরণের জন্য আমরা দুর্ভোগ ভোগ করছি। এই ব্যাপারে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও সমস্যার আশু সমাধান চাই।
সুকোমল মাসচারক
ইডেন সিটি, মহেশতলা
মেয়াদ বাড়েনি
ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের নারকেলডাঙা শাখায় আমার একটি সিনিয়র সিটিজ়েন সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে। অ্যাকাউন্টের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবার তিন বছরের জন্য জমা রাখা যায়। আমি মেয়াদ বাড়ানোর দরখাস্ত নির্দিষ্ট ফর্মে লিখে জমা দিয়েছি। কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে আমায় ফোন করে জানানো হচ্ছে যে, এই অ্যাকাউন্টগুলির মেয়াদ বাড়ানো যাবে না, ক্লোজ় করতে হবে। আমি ইচ্ছে করলে নতুন অ্যাকাউন্ট আবার পাঁচ বছরের জন্য খুলতে পারি। নিয়ম পরিবর্তনের কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি আমার জানা নেই। আমি অশীতিপর মানুষ। নিজে গিয়ে দু’এক বার দেখা করেছি। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাইনি। ফোন করেও লাভ হয়নি। কর্তৃপক্ষ কি কোনও উত্তর দেবেন?
তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা-১০
থমকে রোপণ
হুগলি জেলার বলরামবাটি, বাসুবাটি পঞ্চায়েতের মধুবাটি, বাসুবাটি, বিশ্বেশ্বরবাটি, কাঁসারিপুকুর প্রভৃতি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রতি বছর এই সময় আমন ধানের চাষ হয়। সাধারণত শ্রাবণ মাসের শুরুতেই চারা রোপণ করা হয়। কিন্তু দক্ষ শ্রমিকের অভাবে এ বছর জমি প্রস্তুত থাকলেও এখনও রোপণের কাজ শুরু করা যায়নি। জলকাদাময় জমিতে স্থানীয় শ্রমিকরা চারা রোপণ করতে অপটু। তাই এই অঞ্চলের কৃষকরা কর্ড লাইনের জৌগ্রাম, মশাগ্রাম, চাঁচাই, শিবাইচণ্ডী, গুড়াপ প্রভৃতি জায়গা থেকে দক্ষ শ্রমিক নিয়ে এসে চারা রোপণ করান। এই বছর লকডাউনের কারণে ট্রেন বন্ধ থাকায় ওই সব অঞ্চল থেকে শ্রমিক আসতে পারছেন না। আবার গাড়ি করে যদিও বা অনিয়মিত কিছু শ্রমিক আসছেন, তাঁদের মজুরি খুব বেশি হওয়ার কারণে এই আর্থিক দুর্দিনে কৃষকরা অনেকেই তাঁদের দিয়ে কাজ করাতে পারছেন না। আমন ধানের চারা রোপণ থমকে যাওয়ায় এখন এই কৃষিপ্রধান বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষকদের মাথায় হাত। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তাপস দাস
সিঙ্গুর, হুগলি
বিকল ফোন
উত্তরপাড়া বিএসএনএল এক্সচেঞ্জ বন্ধ। এ ব্যাপারে আমি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের জেনারেল ম্যানেজারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাতে চাই যে, আমার ল্যান্ডলাইন এপ্রিল মাস থেকে এবং ব্রডব্যান্ড আমপানের পর থেকে বন্ধ। অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যদিও টেলিফোন বিল যথারীতি তাঁরা পাঠিয়ে যাচ্ছেন। আমি জুন পর্যন্ত বিল মিটিয়ে দিয়েছি, এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই ফোন এবং ব্রডব্যান্ড ছেড়ে দেব। সেইমতো সব ফর্ম ও কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য জুন থেকে কোন্নগর, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর টেলিফোনের অফিস ঘুরে ঘুরে দেখেছি সব অফিস বন্ধ।
এই অবস্থায়, আমি আমার সমস্ত কাগজপত্র স্ক্যান করে বিএসএনএল-কে ৯ জুলাই মেল পাঠাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই মেলের কোনও জবাব আমি পাইনি।
পার্থ সারথী পাল মজুমদার
কোন্নগর, হুগলি
ব্রাত্য শিক্ষা
ছাত্রসমাজের স্বার্থ রাখবে কে (‘রাখিবে কে’, সম্পাদকীয়, ২০-৭), এটি আজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি প্রশ্ন। ছাত্রসমাজের মঙ্গলার্থে একটি বিষয় গোচরে আনতে চাই— কেন্দ্রীয় নীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৫,০০০ বাংলা মাধ্যমের বেসরকারি প্রাক্-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব বিপন্ন। আমরা কর্পোরেট বা মিশনারি অর্থে লালিত নই। চার মাস ধরে বিদ্যালয়গুলি বন্ধ, বেতন বন্ধ। সরকারি সাহায্য না পেলেও আমরা কিন্তু সরকারি বিদ্যালয়ের পাশাপাশি সমান্তরাল শিক্ষাদান করে আসছি প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে। বিপন্নতার মধ্যেও বর্তমানে বাংলা ভাষা যেটুকু রক্ষা পাচ্ছে, সেখানে আমাদের অবদান অনেকখানি। সমস্ত উন্নত দেশে প্রাথমিক শিক্ষাতেই বেশি নজর দেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করবে না কেন? আমাদের কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রী মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার পাবে না কেন? আমরা কি ব্রাত্য-ই থেকে যাব?
রামমোহন চক্রবর্তী
নবদ্বীপ গৌতম শিশু মন্দির
খুলুক আদালত
১ অগস্ট থেকে তৃতীয় দফা আনলক হচ্ছে। সিনেমা হল, জিম ইত্যাদি অনেক কিছুই খুলছে। এ দিকে চার মাস ধরে নিম্ন আদালত বন্ধ থাকার জন্য সাধারণ মানুষের মামলাগুলি পিছিয়ে যাচ্ছে। তাই অনুরোধ, সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে নিম্ন আদালতগুলির কাজ শুরু হোক।
মৌমিতা হালদার
ডানকুনি, হুগলি
মেট্রো চালু হোক
মেট্রোর পরিষেবা চালু হলে করোনা সংক্রমণ বাড়বে— সরকারের এই ধারণা নিতান্তই ভুল বলে মনে হয়। মেট্রো পরিষেবা চালু হলে বরং বাসের ভিড় কমবে এবং করোনা সংক্রমণ বাড়বে না। কারণ অধিকাংশ বেসরকারি বাস সংক্রমণ বিধি মানছে না। যাত্রীদের দাঁড় করিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, আনলক-৩ পর্বে পুনরায় মেট্রো চালুর কথা চিন্তা করুন।
সপ্তর্ষি গুহ
কলকাতা-৪
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।