Coronavirus in West Bengal

সম্পাদক সমীপেষু: বেশি ফি কেন?

সমস্ত অতিরিক্ত খরচের দায়ভার শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীরাই বহন করবে কেন?

Advertisement
শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ ০১:১০
Share:

অতিমারির কারণে বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পঠনপাঠন কবে থেকে শুরু হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সরকারি নির্দেশে এখন ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই ২৪০-এর বেশি ভর্তি ফি বা ডেভলপমেন্ট ফি নিতে পারে না। কিন্তু বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো ফি নিয়ে চলেছে। এমনকি ৫০০ বা তার অধিকও ফি নিচ্ছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান, যা স্বাভাবিক ভাবেই সরকারি নিয়মবিরুদ্ধ। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ যুক্তি দিচ্ছেন, বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খরচ চালানোর জন্য ওই ডেভলপমেন্ট ফি নিতে হচ্ছে। কথাটি ঠিক। ছাত্রছাত্রীদের আই কার্ড বা তাদের পরীক্ষা ফি বাবদ হয়তো কিছু বেশি নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ৫০০ বা তার অধিক টাকা কোন যুক্তিতে নেওয়া হচ্ছে? বিদ্যালয়ের যাবতীয় খরচের হিসেব করে তার সম্পূর্ণটা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা অন্যায়। এর জন্য সরকারের অনেক গ্রান্ট রয়েছে। সেখান থেকে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারকে আবেদন করতে হবে ওই সমস্ত খরচের জন্য।

Advertisement

আর তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া হয় যে সরকারি অনুদান পর্যাপ্ত নয়, তা হলেও সমস্ত অতিরিক্ত খরচের দায়ভার শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীরাই বহন করবে কেন? শিক্ষকগণ কি বিদ্যালয়ের উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করেন না? তা হলে তাঁদেরও কর্তব্য বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত খরচের কিছু অংশ বহন করা।

এই অতিমারির সময় গ্রামের সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। অসংখ্য মানুষ কর্মহীন। পেটের টানে অসংখ্য শিক্ষার্থী স্কুলছুট হয়ে শিশুশ্রমে নিযুক্ত হয়েছে। তাদের বিদ্যালয়ের আঙিনায় ফের নিয়ে আসা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই কঠিন সময়ে যখন তাদের বিনামূল্যে ভর্তি নেওয়া উচিত, সেই সময় সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে তার কয়েক গুণ বেশি ফি নেওয়া অনৈতিক।

Advertisement

মোহাম্মদ আবু সায়ীদ

ভাবতা, মুর্শিদাবাদ

দায়িত্বজ্ঞানহীন

আমি নিজের, আমার স্ত্রীর এবং ছেলের নামে তিনখানা রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম। ডিসেম্বরের ২১ তারিখ জিপিও-তে শুধু আমার নামের কার্ড স্পিডপোস্টে বুক হয়। তার পর গত ১৫ দিন ধরে আমার ফোনে শুধু তার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর মেসেজ এসেছে। ৪ জানুয়ারি সকালে মেসেজ আসে যে, প্যাকেটটা আমাদের হেড পোস্ট অফিস দেশবন্ধুনগরে এসেছে। আমি অফিস কামাই করে সেখানে যাই এবং ভাগ্যক্রমে প্যাকেটটা পেয়ে যাই। কিন্তু পেয়ে আমি হতবাক। আবেদনপত্রে দেওয়া আমার বাড়ির ঠিকানা সেখানে নেই। খামের উপর যে ঠিকানা আছে, সেই রকম ঠিকানা কারও পক্ষে খুঁজে বার করা সম্ভব নয়। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার হল, খামের উপর মোটা অক্ষরে আমার ফোন নম্বর দেওয়া আছে। এক বার ফোনে কথা বললেই তো ঠিকানা জানা যায়।

রঞ্জন ভট্টাচার্য

কলকাতা-১৫৯

ক্ষীণ ধারা

হাওড়ার ৪৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ধাড়সা কাজিপাড়ায় পাইপলাইনে জল সরবরাহ চলাকালীন মেশিন চালিয়ে কয়েক জন সরাসরি ট্যাঙ্কে জল তুলে নিচ্ছেন। ফলে অনেকেই এই জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জলের ধারা ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। বিশেষত সকালের দিকে সমস্যা প্রকট হচ্ছে। দীর্ঘ দিন এলাকায় কোনও কাউন্সিলর নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, দয়া করে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন।

শক্তিশঙ্কর সামন্ত

ধাড়সা, হাওড়া

অনৈতিক

বিশ্বদীপ কর রায়ের চিঠি ‘বকেয়া’-র (৪-১) প্রেক্ষিতে বলতে চাই, পত্রলেখক সিইএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে ঠিক প্রশ্ন রেখেছেন। তাঁর মতো আমিও গত বছরের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুতের বিলের টাকা মিটিয়ে এসেছি। বকেয়া বাবদ কোনও টাকা সিইএসসি কর্তৃপক্ষ আমার কাছ থেকে দাবি করতে পারেন না। তা সত্ত্বেও কেন বকেয়া মেটানোর বার্তা পেলাম, বোধগম্য হল না। গত বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই দু’বার বিল মেটাতে হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক বলে মনে হয়। পশ্চিমবঙ্গে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুবাদে সাধারণ গ্রাহকদের স্বার্থের প্রতি এই চরম উদাসীনতা মেনে নেওয়া যায় না।

অরুণ গুপ্ত

কলকাতা-৮৪

সেতু মেরামত

হুগলি জেলার বারুইপাড়া-পলতাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বোরাই-পহলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমানার একেবারে সংযোগস্থলে অবস্থিত সরস্বতী নদীর উপরের ভেঙে-পড়া সেতুটি অবিলম্বে সারানোর ব্যবস্থা করা হোক। নিকটবর্তী তেলিপুকুর, আজবনগর, রসুলপুর, ইন্দ্রখালি, পলতাগড় গ্রাম এবং সিঙ্গুর থেকে বড়া, শ্রীরামপুর, ডানকুনি যেতে এই সেতুর উপরের রাস্তাটি অন্যতম অবলম্বন। সাধারণ সময় উক্ত এলাকা থেকে শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে এই রাস্তার উপর দিয়েই ইন্দ্রখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়া মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয়, বড়া গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়, বোরাই বালিকা বিদ্যালয়ে যেতে হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতে এই রাস্তাটি একমাত্র মাধ্যম। এর আগে একাধিক বার পর্যবেক্ষণ করা হলেও জীর্ণ সেতুটি সারানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

তাপস দাস

সিঙ্গুর, হুগলি

নতুন শাখা

হাওড়া জেলার ডোমজুড় ব্লকের অধীন বেগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই এলাকায় শুধুমাত্র একটা ইউকো ব্যাঙ্কের শাখা আছে। এলাকাটি বিশাল হওয়ায় এখানে বহু মানুষের বসবাস। এখানে দুটো উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের দোকান, বেশ কয়েকটি বিয়েবাড়ি, স্কুল, পেট্রল পাম্প আছে। পাশেই আছে বিশাল বাজার, সেখানে প্রতি সপ্তাহান্তে হাট বসে। বেগড়ি থেকে অন্যান্য ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শাখার দূরত্ব কমপক্ষে তিন কিলোমিটার। এই বিশাল এলাকা জুড়ে কেবলমাত্র একটি ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শাখা থাকায় এলাকাবাসীদের চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, বেগড়িতে একটা ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের নতুন শাখা খোলা হোক।

অপূর্বলাল নস্কর

ভান্ডারদহ, হাওড়া

মৃত পশু

শ্রীরামপুর পুর অঞ্চলে নাগরিক পরিষেবার দিন দিন অবনতি ঘটছে। রাস্তাঘাট নিয়মিত পরিষ্কার হচ্ছে না, প্লাস্টিক বর্জ্য যেখানে সেখানে ছড়িয়ে থাকছে, কোথাও জল অপচয় হচ্ছে, কোথাও জল সরবরাহে অকুলান।

সবচেয়ে বড় সমস্যা, মৃত পশুদের বেওয়ারিশ লাশ। শহরের বিভিন্ন অংশে পথকুকুরদের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর হারও বেড়েছে। পুরসভায় দীর্ঘ দিন বন্ধ্যাত্বকরণ অভিযান বন্ধ। পথকুকুররা চরম অবহেলার শিকার। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে হয় মৃত কুকুরকে জি টি রোডে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, নয়তো যেখানে মারা যাচ্ছে, সেখানে পচন ধরে তীব্র অস্বস্তিকর গন্ধে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। পুরসভা বা স্থানীয় প্রতিনিধি লোকাভাবের দোহাই দিচ্ছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কতকগুলো প্রস্তাব রাখতে চাই। প্রথমত, পুরসভার একটি নির্দিষ্ট জায়গা করা হোক, যেখানে মৃত পশু কবর দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, একটা হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হোক, যেখানে খবর দিলেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। তৃতীয়ত, বিষয়টি যে হেতু পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত, সে হেতু যেন তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা করার সংস্থান থাকে।

দেবাশিস চক্রবর্তী

মাহেশ, হুগলি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement