আমি ২০১৫ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি ব্লকের বাঘডাংগা রামেন্দ্রসুন্দর স্মৃতি বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম। ওই বছর সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেলের জন্য স্কুলে মোট ১৪৩ জন ছাত্রছাত্রীর নাম সরকারি নথিতে এনরোলমেন্ট হয়। আমাকে একটি কুড়ি ডিজিটের আইডেন্টিটি নম্বরও দেওয়া হয়।
কিন্তু তার পরে আরও পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে, অধিকাংশ সহপাঠীর স্কুলজীবন শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজ অবধি আমরা এক জনও সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল পাইনি।
স্থানীয় ব্লক অফিসে খোঁজ করে জেনেছি, ২০১৫ সালে কান্দি পুরসভা এলাকায় প্রায় ৩০০০ ছাত্রছাত্রীকে অর্থাভাবে সাইকেল দেওয়া যায়নি, যার মধ্যে আমিও এক জন। কবে পাওয়া যাবে, কেউ বলতে পারছেন না। অথচ ওই বছরই রাজ্যের অন্য এলাকায় কয়েক লক্ষ দশম শ্রেণির পড়ুয়া সাইকেল পেয়েছিলেন। রাজ্য প্রশাসনের কাছে বিনীত নিবেদন, আমার প্রাপ্য সাইকেল আমাকে দেওয়া হোক।
সুহৃৎ ভট্টাচার্য, কান্দি, মুর্শিদাবাদ
বাড়িতেই আসুক
আমি বিধানসভার ১১৭ নং নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্গত পার্ট নং ১৮৬-র ভোটার। নির্বাচন কমিশনের সূচি অনুযায়ী, গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর আমার এবং পরিবারের তিন সদস্যের ভোটার কার্ড আংশিক সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করি। ১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারি, আমাদের আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। আমি অনুমোদনের প্রিন্টআউট সংগ্রহ করি এবং জানতে পারি কার্ড নম্বর পরিবর্তিত হয়েছে।
আমার প্রশ্ন, এই সংশোধিত ভোটার কার্ড কী ভাবে সংগ্রহ করব? আধার কার্ডের মতো, স্পিডপোস্টের টাকা অনলাইনে নির্বাচন কমিশনে জমা করে, কার্ডগুলি যদি বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয় অথবা সংশ্লিষ্ট বুথে বিলি করা যায়, তা হলে সিনিয়র সিটিজ়েনদের খুব সুবিধে হয়।
নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস, কলকাতা-৭৪
তমলুক রাজবাড়ি
পূর্ব মেদিনীপুরের সদর শহর তমলুকে অবস্থিত তমলুক রাজবাড়ি। তমলুক রাজপরিবারের ইতিহাস বহু প্রাচীন। স্বাধীনতা আন্দোলনে তমলুক রাজপরিবারের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। মহিষাদল রাজবাড়ি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ হয়। অথচ তমলুক রাজবাড়ির বিন্দুমাত্র সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ নেই। জীর্ণ ও ভগ্ন দশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহ্যবাহী তমলুক রাজবাড়ি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি উদ্যোগ করা একান্ত জরুরি।
বিশ্বজিৎ বৈদ্য, কোলাঘাট, পূর্ব মেদিনীপুর
ব্যথার বাগান
প্রায় ৪১ একর জায়গা জুড়ে নিজামত কিলা, তার মধ্যেই হাজারদুয়ারি প্রাসাদ, বড় ইমামবাড়া, ছোট মদিনা। হাজারদুয়ারি প্রাসাদের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কাটরা মসজিদ, রোশনিবাগ, আজিমুন্নিসা মসজিদ, খোশবাগ। সবই বাংলার নবাবদের তৈরি। আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া ১৯৮৫ সালে হাজারদুয়ারি, পরে ২০০৫-০৬ সালে বাকিগুলো অধিগ্রহণ করে। প্রাসাদে এখন প্রায় ৫৩ জন কর্মী। অথচ ২১টি গ্যালারির জন্যই কমপক্ষে ৪২ জন কর্মী প্রয়োজন। আছেন ২১ জন, আর ৪-৫ জন দিনমজুরিতে অস্থায়ী কর্মী। মোদী সরকার আসার পর থেকে কেউ মারা গেলে বা অবসর নিলে সেই শূন্যস্থান পূরণ হয় না। কর্মী স্বল্পতার জন্য সব গ্যালারি এখন খোলা হয় না, প্রাচীন পুঁথি পর্যটকরা দেখার সুযোগ পান না।
১৯৮৮ সালে দিনমজুরিতেই ১২-১৪ জন হাজারদুয়ারি-সংলগ্ন বাগান পরিচর্যার কাজ করতেন। তাঁদের মজুরি মাসান্তে মিউজ়িয়াম থেকেই মাস্টাররোলের মাধ্যমে মেটানো হত। কিন্তু ২০০০ সাল থেকে পদ্ধতি পাল্টাতে শুরু করে। এখন মুর্শিদাবাদ উপচক্রের অধীনে দশটি বাগান। এই বাগানগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে আছে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের পৃথক শাখা উদ্যানপালন (হর্টিকালচার)। বাগান তদারকির দায়িত্বে আছে ভুবনেশ্বর-সহ মোট চারটি বিভাগ। ভুবনেশ্বর পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসম, ছত্তীসগঢ় ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বাগান দেখভাল করে। মুর্শিদাবাদ উপ-বিভাগ, যার দায়িত্বে আছেন এক জন কার্যনির্বাহী অধিকর্তা। বাগান পরিচর্যার কাজের ভার দেওয়া হয় এক নথিভুক্ত ঠিকাদারকে যিনি টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত হন এক বছরের জন্য। মুর্শিদাবাদের দশটি-সহ এই রাজ্যের পঞ্চাশটি বাগানের ঠিকাদারি পেয়েছেন যিনি, প্রচুর বকেয়া থাকায় সেই ঠিকাদার উদ্যানে নিযুক্ত কর্মীদের মজুরি মেটাতে পারছেন না। উদ্যান বিভাগ নিজে থেকেও মজুরি মেটানোর ব্যবস্থা করছে না। পরিচর্যা হচ্ছে না বলে হাজারদুয়ারি, কাটরা, রোশনিবাগ, খোশবাগের বাগান এখন জঙ্গলে ভরে উঠেছে। সবুজ ঘাসের গালিচা, সুদৃশ্য ছাঁটা বেড়ার গাছ এখন দেখা যাবে না। বাগানে বিষাক্ত সাপ ও অন্যান্য পোকামাকড়ও দেখা যাচ্ছে। শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বাগান কর্মীদের দাবি লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে হাজারদুয়ারি সংগ্রহশালার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, বাগানের তত্ত্বাবধায়ক আধিকারিক, জেলাশাসক, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী প্রমুখদের। সাড়া মেলেনি।
মিলন মালাকার, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
ভর্তুকি পাইনি
আমি এইচপি গ্যাস-এর এক জন উপভোক্তা। দীর্ঘ দু’বছর ধরে গ্যাসের প্রাপ্য ভর্তুকি আমার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে না। ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, চন্দননগর শাখায় আমার অ্যাকাউন্ট। আমার অন্য কোনও ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টেও ওই টাকা জমা পড়েনি। খোঁজ নিলে একটাই উত্তর পাই, ‘‘কেন? আমি তো মেল করে দিয়েছি। আচ্ছা, আপনার আধার কার্ডের একটা ফটোকপি দিন। আর একটা মেল করে দিচ্ছি।’’ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, যত শীঘ্র সম্ভব আমার প্রাপ্য গ্যাসের ভর্তুকি অ্যাকাউন্টে জমা করার ব্যবস্থা করুন।
সুকুমার পাড়ুই, চন্দননগর, হুগলি
স্তন্যপান সপ্তাহ
একটি শিশুর জীবনে মাতৃস্তন্য পান অমৃত সমান। যে শিশু জন্ম থেকে ছ’মাস অবধি মাতৃস্তন্য পান করে, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ১-৭ অগস্ট প্রতি বছর বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ পালন করা হয়। এই অতিমারির সময় শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে স্তন্যপান করালে। কৌটোর দুধ খাওয়ালে সেই শিশুর বৃদ্ধি খর্ব হয়। মাতৃদুগ্ধের কোনও বিকল্প হয় না। মাতৃস্তন্য পান করালে মায়েরও জরায়ু ক্যানসার ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ হয়। সেই মর্মে ভারত সরকারের আইনও রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারবাবুরা কৌটোর দুধ শিশুকে খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। মায়েরাও এই বিষয়ে সচেতন নন।
অপূর্ব কুমার রায়চৌধুরী, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
সরকারি কলেজ
ডোমকল মহকুমার অন্তর্ভুক্ত চারটি ব্লকের তিনটি ব্লকেই সরকারি জেনারেল ডিগ্রি কলেজ আছে। শুধুমাত্র রানিনগর-২ ব্লকেই কোনও সরকারি জেনারেল ডিগ্রি কলেজ নেই। ব্লক বা সংলগ্ন এলাকায় হাই মাদ্রাসা-সহ হাইস্কুলের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু স্নাতক স্তরের শিক্ষা লাভের জন্য ৪৮ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত নয়। ফলে অনেক পড়ুয়ার, বিশেষত মেয়েদের, উচ্চশিক্ষা লাভ সম্ভব হয়ে ওঠে না। ব্লকে প্রাইভেট কলেজ আছে। কিন্তু সরকারি কলেজ থাকলে স্বল্প খরচে অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ভর্তি করতে পারেন ।
আকাশ আলম, রানিনগর, মুর্শিদাবাদ
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।