—ফাইল চিত্র।
মহা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। ২০০৫-০৬ সালে পিটিটিআই প্রশিক্ষণে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরীক্ষার আগে এনসিটিই-র নিয়ম অনুসারে এই প্রশিক্ষণকে দু’বছর করার কথা বলা হয়, যা ডি এলএড বলে পরিচিত। তৎকালীন রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে ও টালবাহানার মধ্যে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে ২০১০ সালে ওই সেশনের পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং ২০১১ সালে ফল প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে রাজ্য শিক্ষা দফতর একটি অর্ডার প্রকাশ করে যেখানে বলা হয় যে, ১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ সালের আগে ইতিমধ্যেই নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোনও রকম যোগ্যতা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। এর পর রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ডি আই অফিসের মতো হুগলি জেলার চেয়ারম্যান ১৫ জুন, ২০১২ বিজ্ঞপ্তিতে ২০০৫-০৬ সেশনের প্রশিক্ষণের বৈধতা স্বীকার করে ২০০১ সালের আগে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ট্রেনিং বেনিফিট চালু করে। এবং পরবর্তী সময়ে নিয়ম অনুসারে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসাবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নিয়োগ করে। কিন্তু সম্প্রতি ওই নিয়োগপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেনশন ফাইল জেলা দফতরে বা রাজ্য শিক্ষা দফতরের পেনশন বিভাগ থেকে ফেরত আসছে, কারণ ওই প্রশিক্ষণকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। তাই গ্র্যাচুইটি-সহ পেনশন আটকে যাচ্ছে। অথচ, কিছু দিন আগে পর্যন্ত অবসর-নেওয়া এ ধরনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই প্রশিক্ষণের বৈধতা মেনে পেনশন-সহ যাবতীয় প্রাপ্য পেয়ে আসছেন। কেবল সদ্য অবসরপ্রাপ্তদের ফাইল ফেরত আসছে রাজ্যের পেনশন বিভাগ থেকে। এই দ্বিচারিতায় ভীষণ ভাবে হতাশ হয়ে পড়ছেন এই সব শিক্ষক-শিক্ষিকা। যদি ওই সময় এই প্রশিক্ষণকে স্বীকৃতি না দিয়ে ব্রিজ কোর্স করতে বলা হত, তবে তা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হতেন না তাঁরা। অবাক লাগে, এত বছর পর কেন এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে?
সমীর কুমার দাস, হরিপাল, হুগলি
অপব্যয়
সাত-আট বছর আগে বিস্তর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে কলকাতার মেয়র বাইপাসের পাশে পাটুলিতে ভাসমান বাজারের উদ্বোধন করেছিলেন। অভিনব বর্ণাঢ্য ব্যাপার ছিল সেটা। জলে ভাসমান নৌকায় সারি সারি দোকান, যেন কাশ্মীর নেমে এসেছে বাংলায়। এখন তার দুর্দশা দেখলে দুঃখ হয়। কী ছিল আর কী হল। সেখানে এখন অধিকাংশ নৌকা দোকান বন্ধ, জলে পানা ভর্তি, জঞ্জাল ভাসছে। টিমটিম করে দু’-একটি দোকান টিকে আছে, ক্রেতা প্রায় নেই। আমপান ঝড় ওই ভাসমান বাজারের যে সর্বনাশ করে দিয়ে গিয়েছিল, তার পর সে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। প্রায় সব নৌকা ডুবে গিয়েছিল, তাদের কঙ্কাল তুলে লোহার খাম্বা দিয়ে খাড়া করা হয়েছিল। অধিকাংশ নৌকার কাঠ ও পাটাতন পচে গিয়েছিল। তলার নষ্ট পাটাতন নাকি নতুন করে বসানো হয়। কিন্তু এতে ভাসমান বাজারের আগের জেল্লা ফিরে আসেনি। এখন একটি ভগ্নাবশেষ হয়ে পড়ে আছে বাজারটি। কত অর্থের অপব্যয় হল?
অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-৮৪
রাস্তা মেরামত
ইছাপুর আনন্দমঠ অঞ্চল এবং পলতা সেবাগ্রাম অঞ্চলের মাঝে রয়েছে ইস্ট ল্যান্ড এস্টেট। অতীতে ইস্ট ল্যান্ডে ইছাপুর রাইফেল ও মেটাল ফ্যাক্টরির কর্মীদের জন্য আবাসন ছিল। বর্তমানে সেই আবাসনগুলি জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। বসতি সে ভাবে না থাকলেও ইস্ট ল্যান্ডে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, একটি রাজ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি রাজ্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ফলে, ছাত্রছাত্রীদের নিত্যদিনের আসা যাওয়ার জন্য এই অঞ্চলের রাস্তাটি খুবই ব্যবহৃত হয়। তা ছাড়া, বহু মানুষ সময় বাঁচাতে এই রাস্তা ব্যবহার করেন ইছাপুর ও পলতার মধ্যে সহজে যাতায়াতের জন্য। অথচ দীর্ঘকাল ধরে এটি পড়ে রয়েছে অবহেলায়, কোনও মেরামত করা হচ্ছে না। সাইকেল, বাইক বা টোটোতে এই রাস্তায় চলাফেরা করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শীতকালের সামান্য বৃষ্টিতেও পথ চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠছে। তা হলে বর্ষায় এই রাস্তার কেমন দশা হয়, তা বলা বাহুল্য। দুই এলাকার জনগণের স্বার্থে এই সংযোগকারী পথটির আশু সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। পাশাপাশি অঞ্চলটির সার্বিক সৌন্দর্যায়ন করা হলে উন্মুক্ত ঝিলের ধারে অবস্থিত এই খোলামেলা প্রান্তরে প্রাতর্ভ্রমণ ও সান্ধ্যভ্রমণে আসা মানুষরাও বড় উপকৃত হবেন।
অনির্বিত মণ্ডল, ইছাপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
উপযুক্ত নিয়োগ
রাজ্য স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর বিএসসি ইন ফিজ়িশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট-এর চার বছরের গ্র্যাজুয়েশন পাশ করা শতাধিক ছেলেমেয়ে বসে রয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট মেটাতে ফিজ়িশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট-দের নিয়োগ করছে না, উপরন্তু নতুন অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসক বা নার্সিং সহায়ক পদ চালু করার কথা বার বার উল্লেখ করছে। ফিজ়িশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্টরা অ্যানাটমি, ফিজ়িয়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বেসিক নার্সিং, মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, হেমাটোলজি, কমিউনিটি হেলথ, ল্যাব সায়েন্স, হসপিটাল অর্গানাইজ়েশন, মেডিক্যাল এথিক্স ইত্যাদি বিষয়ে তিন বছর পড়াশোনা ও বিভিন্ন ওয়র্ডে এক বছর ক্লিনিক্যাল রোটেটরি ইন্টার্নশিপ করে ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল যেমন, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ, আইপিজিএমইআর অ্যান্ড এসএসকেএম হাসপাতাল, কল্যাণীর জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ এবং অনেক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পাশ করেছেন। আমেরিকা ও ইউরোপের মতো দেশেও একমাত্র তাঁরাই ডাক্তার ও নার্সদের মধ্যবর্তী সেতু হিসাবে সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেই মডেল অনুসরণ করে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক সহায়ক পদ তৈরি না করে যদি পর্যাপ্ত ফিজ়িশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্টদের আনুষ্ঠানিক ভাবে নিয়োগ করা হয়, তা হলে সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল-সহ সমগ্র স্বাস্থ্যব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে। তাই স্বাস্থ্য দফতর ও রাজ্য সরকারের প্রতি আবেদন, নতুন স্বাস্থ্যসহায়ক তৈরি না করে উপযুক্ত ফিজ়িশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট-দের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিয়োগ করুন।
দেবার্ঘ্য পারিয়া, গোবিন্দনগর, বাঁকুড়া
রেলে হয়রানি
সম্প্রতি বহরমপুর খাগড়াঘাট রোড রেল স্টেশন থেকে সকালে ১৩৪৬৬ মালদহ- হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে হাওড়া যাওয়ার এসি কোচে চার জনের ওয়েটিং লিস্ট টিকিট অনলাইনে বুক করি। টিকিটগুলি কনফার্মড হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সাধারণত যাত্রার আগের দিন সন্ধে ৭টার সময় এই ট্রেনের টিকিট চার্ট তৈরি হয়। সেইমতো যাওয়ার আগের দিন সন্ধেয় দেখা গেল টিকেট কনফার্মড হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে একটি মেসেজ আসে যে, ট্রেনটি নির্ধারিত দিনে তার যাত্রাপথে ওই স্টেশনে দাঁড়াবে না।
প্রশ্ন হল, স্টেশনে যদি ট্রেন না-ই দাঁড়ায়, তা হলে সেই স্টেশন থেকে ওয়েটিং লিস্ট-এর টিকিট কনফার্ম করা হল কেন? ট্রেন গেল না, টিকিট-মূল্য ফেরত হল না, সময়মতো টিকিট বাতিল করারও সুযোগ থাকল না। যাত্রীদের এমন হয়রান কেন করলেন রেল কর্তৃপক্ষ?
সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ