cooking gas

সম্পাদক সমীপেষু: অগ্নিমূল্যের আঁচ

বিশ্ববাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হার যখন নীচে নামছে, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন দাম কমানোর সঠিক সময় বলে, তখন সরকার কিন্তু নিশ্চুপ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:৩০
Share:

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি। ফাইল চিত্র।

এখন প্রতি দিন সংবাদপত্র হাতে পেলেই আশঙ্কায় থাকতে হয়, এই বুঝি রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল। প্রতিনিয়ত ভর্তুকিবিহীন রান্নার গ্যাসের দাম ৫০ টাকা করে এমন ভাবে বাড়ছে যেন ৫০ টাকার কোনও মূল্যই নেই। কয়েক মাস আগেও যা ছিল ১০২৬ টাকা, এখন তা ‘মাত্র’ ১০০ টাকা বেশি। তার উপর রয়েছে গ্যাস ডেলিভারি কর্মীদের টাকার জুলুম। কোথাও দশ, কোথাও কুড়ি, তো কোথাও পঞ্চাশ টাকাও নির্দ্বিধায় হজম করছেন তাঁরা গৃহস্থের কাছ থেকে। যে নামমাত্র ভর্তুকি কোনও কোনও ব্যক্তি পাচ্ছেন, তা না দিলেও এমন কোনও ক্ষতি হবে না।

Advertisement

বিশ্ববাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হার যখন নীচে নামছে, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন দাম কমানোর সঠিক সময় বলে, তখন সরকার কিন্তু নিশ্চুপ। এমনিতেই চাকরিবাকরির যা দশা, তাতে এই হারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির অর্থ, সাধারণ মানুষের উনুনে আগুন জ্বলতে না দিয়ে তাঁদের পেটে আগুন জ্বালানো।

উজ্জ্বলা যোজনার প্রচারে সব গৃহস্থালিতে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছনোর একরাশ আশার বাণী দেওয়ার পর তাঁদের গ্যাস কেনার ক্ষমতাটুকু শেষ করে দেওয়াই কি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত? এখন উচ্চ-মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন-মধ্যবিত্ত সকল পরিবারেই রান্নার গ্যাস একটি অপরিহার্য অঙ্গ। ফলে, এত বছরের গ্যাস আভেনের অভ্যাস বদলানো মুখের কথা নয়। আবার, কেরোসিন তেল ৯০ টাকা প্রতি লিটার হওয়ায় স্টোভে রান্না একপ্রকার অসম্ভব হয়ে উঠছে৷ আর তাই এই অগ্নিমূল্যের কোপ পড়ছে ঘরে ঘরে।

Advertisement

মাসে মাসে প্রায় ১২০০ টাকার গ্যাস, ১০০০ টাকার বিদ্যুতের বিল ইত্যাদির বোঝা কমানোর সহজ এবং দ্রুত উপায় হল ছেলেমেয়ের পড়াশোনাতে কোপ। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মেয়েদের। তাদের পড়াশোনাতে ইতি টেনে বিয়ে দিয়ে দেওয়া, অথবা কোনও শ্রমে বহাল করে দেওয়ার নিদর্শন প্রচুর। এ ছাড়াও এই সুযোগে এ রাজ্যে এককালীন কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রীর টাকার সদ্ব্যবহারের পথও খুলে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি থেকে বঞ্চিত করল, আর এ রাজ্যে চলছে অগ্নিমূল্যের উপরে আবার করের বোঝা চাপানো। এই পাহাড়প্রমাণ খরচ থেকে মুক্তি কবে?

জয়ী চৌধুরী, সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

আরও বাস

বি এল সাহা রোড বেহালা পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত এবং মহাবীর তলা থেকে সিরিটি মোড় অবধি দূরত্ব প্রায় ১.৫ কিলোমিটার। দীর্ঘ দিন ধরে এই অঞ্চলের গণপরিবহণব্যবস্থা বিপর্যস্ত। কিন্তু পরিবহণ দফতর উদাসীন। প্রায় ২০ বছর আগে একমাত্র সরকারি বাস ৪সি তুলে নেওয়া হয়। মিনি বাস রুট হরিদেবপুর-দমদম পার্ক (এস১৩৩) বন্ধ হয়ে যায়। তার পর, এই রুট থেকে বাস তুলে নেওয়ার জন্য ২১ নম্বর বাসকে বিভক্ত করা হয় ২১/এ-তে। ৪০ নম্বরকে ভেঙে তৈরি হয় ৪০এ ও ৪০বি। বর্তমানে নামমাত্র বাস ২১ ও ৪০এ এই রুটে চলে। বি এল সাহা রোডের দুই দিকে ছিল অসংখ্য ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশই বন্ধ হয়ে সেখানে নতুন বাসস্থান হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে জনসংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বাসের সংখ্যা কমে গিয়েছে। কী কারণে এই এলাকার গণপরিবহণব্যবস্থা বিপর্যস্ত হল, সেটা আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের দেখা দরকার। মানুষের জীবনযাপন সহজতর করার দায়িত্বটি সরকারের। তাই এই এলাকায় পর্যাপ্ত বাস চালু করা সরকারের আশু কর্তব্য।

সত্যম দাশগুপ্ত, কলকাতা-৫৩

লাইফ জ্যাকেট

সম্প্রতি বারাণসী গিয়েছিলাম। দেখলাম সেখানকার গঙ্গায় নৌবিহারের সময় প্রত্যেক নৌকায় লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক। মাঝিরা প্রত্যেককে পরতে ও খুলে নিতে সাহায্য করছেন। এমনকি আরতির সময় বেঁধে রাখা নৌকা, বজরা-তে বসে আরতি দেখলেও জ্যাকেট পরতেই হবে। কিন্তু কলকাতায় লঞ্চে লাইফ জ্যাকেটের কোনও বালাই নেই। ভরসা কেবল কিছু জরাজীর্ণ লাইফ বেল্ট। শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া, চন্দননগর ইত্যাদি জায়গাতে প্রথম দিকে লাইফ জ্যাকেট দিলেও এখন পুরোটাই ঐচ্ছিক। অথচ, যাত্রী-সংখ্যা, নদীর নাব্যতা, দুর্ঘটনার ঝুঁকি— সবই এখানে বেশি। জোয়ার, কোটালও হয়। বারাণসীর গঙ্গা চড়া পড়ে সঙ্কীর্ণ, স্রোতহীন, সবটা দূষণমুক্তও নয়। ওখানে ওই ব্যবস্থা করা গেলে এখানে কেন হবে না? একই সঙ্গে গঙ্গার ঘাটে ও লঞ্চে গঙ্গা পরিষ্কার রাখার নিরন্তর আবেদন চলুক।

অরিত্র মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর, হুগলি

দুর্মূল্য বিমা

বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য পথচারী। অহরহ পথ-দুর্ঘটনা কী ভাবে রোধ করা যায়, এই বিষয়ে নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রত্যেক নাগরিককে বিমার আওতায় আনতে হবে। কিন্তু দেশে বিমা খুব একটা জনপ্রিয় নয়। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন বিমাতে কোনও লাভ নেই। সেই সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে জিএসটি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য বিমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন, অবিলম্বে বিমাতে জিএসটি বাদ দেওয়া হোক। আর, জনসাধারণের জন্য স্বল্প মূল্যের আরও প্রকল্প চালু হোক।

সৈয়দ সাদিক ইকবাল, সিমলা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

সেতু সংস্কার

দীর্ঘ দিন আগে বাগজোলা খালের উপরের সেতুতে ধস নামায় দমদম রোডে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয় প্রশাসনের তরফে। শুরু হয় অটোরাজ। কিন্তু প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও, সেতু সারানো বা ভেঙে নতুন নির্মাণের কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বাসে যে পথ দশ টাকায় যাওয়া যেত, সেটা অটোতে দু’বারে যেতে কুড়ি টাকা খরচ হচ্ছে। বি টি রোড থেকে নিউ টাউন যাওয়ার একমাত্র বাস ওই পথে না-যাওয়ায়, আমাদের প্রভূত অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রশাসনকে এই বিষয়ে আশু উদ্যোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

জয়দীপ চক্রবর্তী, কলকাতা-৫০

চাপ দেবেন না

এখন ব্যাঙ্কে কোনও কাজে গেলেই শুনতে হয়, আপনার স্মার্ট ফোন আছে তো? আমাদের ব্যাঙ্কের অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন? অর্থাৎ, স্মার্ট ফোন না থাকলে আপনি এই যুগে ব্যাঙ্কে স্বাগত নন। এর ফলে সবচেয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হন প্রবীণ নাগরিকরা। এঁদের অনেকেরই স্মার্ট ফোন নেই, অথবা থাকলেও তার ব্যবহারে ততটা সড়গড় নন। এ ছাড়াও অনেকেই ব্যাঙ্ক প্রতারণার আশঙ্কায় থাকেন। আমার পরিচিত বেশ কয়েক জন ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। অনুরোধ, যে সব গ্রাহক ডিজিটাল লেনদেনে সড়গড় নন, তাঁদের এই লেনদেনের জন্য যেন চাপ না দেওয়া হয়। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করুক।

সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-২৬

লজ্জা

কয়েক দিন আগে বাবা-মাকে নিয়ে কলকাতায় শ্যামবাজারে গিয়েছিলাম বিশেষ কিছু কাজে। শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড় থেকে যে রাস্তাটা বাগবাজারের দিকে গিয়েছে, সেই রাস্তা ধরে হাঁটছিলাম। একটু যাওয়ার পরই একটা চার মাথার মোড় পড়ে। ওই রকম একটা ব্যস্ত রাস্তাতে প্রকাশ্যে লোকজনকে প্রস্রাব করতে দেখে অত্যন্ত লজ্জা লাগছিল। এই অসভ্য অভ্যাস থেকে জনসাধারণের একাংশ কবে মুক্তি পাবে?

সুগত হাজরা, রামপুরহাট, বীরভূম

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement