সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফুটবলের শীর্ষ সংস্থা ফিফা তাদের নিয়ম ও নির্দেশ না মানার জন্য ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এআইএফএফ-কে নির্বাসিত করল। এর ফলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দেশের অসংখ্য খেলোয়াড়। এই নির্বাসনের কারণ, এআইএফএফ-এর প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল, যিনি ফিফার কাউন্সিল মেম্বারও। দীর্ঘ দিন এআইএফএফ-এ নির্বাচন হয়নি। কর্মসমিতি প্রফুল্ল পটেলকে সভাপতি রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। পদক্ষেপটি অনৈতিক ও নীতিবিরুদ্ধ বলে গণ্য করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত পটেল-কে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়। অন্য দিকে, আদালত তিন সদস্যের একটি কমিটি (সিওএ) গঠন করে দেয় ফুটবল সংস্থাটি পরিচালনার পাশাপাশি নির্বাচন করা ও জাতীয় স্পোর্টস কোডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গঠনতন্ত্র রচনা করার জন্য। সিওএ-র গঠনতন্ত্রের খসড়ায় কর্মসমিতিতে ৫০ শতাংশ বিশেষ ফুটবলারদের রাখার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু তা ছিল ফিফার নীতিবিরুদ্ধ। সিওএ-কে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ হিসেবেই দেখেছে ফিফা। এই কারণেই শেষ পর্যন্ত এআইএফএফ-কে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। ভারতীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে এটি একটি কলঙ্কময় তথা চরম লজ্জার বিষয়।
দীর্ঘ দিন ধরে ফেডারেশনে নির্বাচন না হওয়া ও সময়সীমা পার হওয়ার পরেও প্রফুল্ল পটেলের অনৈতিক ভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ উচিত কাজ বলে মনে হয়। এ ব্যাপারে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনমাফিক উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।
সংস্থার উচিত পরিচালন সমিতিতে যত বেশি সম্ভব প্রাক্তন ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্ত করা, যাঁরা অন্তত ২৫টি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ খেলেছেন অথবা দেশের অন্তত ৫০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। তবেই ক্রিকেটের মতো ফুটবলেও ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে অনেক উন্নতি করবে।
পঙ্কজ সেনগুপ্ত, কোন্নগর, হুগলি
ফিরবে সুদিন
১৫ অগস্ট ভারতের ফুটবল ইতিহাসে একটি কালো দিন। ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল্ল পটেলের অগণতান্ত্রিক মনোভাব, জোর করে গদি আঁকড়ে থাকার নিন্দনীয় প্রচেষ্টার ফলেই আমরা ফিফার দ্বারা নির্বাসিত হলাম। প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ একটা ব্যাপার ভুলে গিয়েছিল যে, জাতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তৃত্ব আসলে ফিফার হাতে। বিশ্বক্রীড়ার মঞ্চে ভারতের ক্রিকেট এবং ফুটবলের ক্ষমতা যে এক নয়, তা বোধ হয় গুলিয়ে ফেলা হয়েছিল। যে কোনও খেলার ক্ষেত্রে এখন অর্থই শেষ কথা। বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের যা ভূমিকা, তাকে অবজ্ঞা করা বা তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আইসিসি-কে দু’বার চিন্তা করতে হয়। কারণ, সিংহভাগ অর্থ ভারত থেকেই আসে। কিন্তু ফুটবলে তা নয়। এখানে ফিফা ভারতকে অনুদান দেয়, ভারত থেকে অর্থ আশা করে না। এই নির্বাসন আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলেই বিশ্বাস।
অনিরুদ্ধ ঘোষ, কলকাতা-৮৪
মর্মাহত
হাওড়া জেলার গর্ব প্রাক্তন ফুটবলার সমর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত হলেন। কলকাতা ফুটবল ময়দানে তিনি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত ছিলেন। ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের সেরা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
তাঁর ফুটবলের হাতেখড়ি হাওড়া বালি হিন্দু স্পোটিং ক্লাবে। পরে বিএনআর, রাজস্থান হয়ে শেষে মোহনবাগান ক্লাবে যোগদান। মোহনবাগানে খেলার সময় তিনি লিগ, শিল্ড, রোভার্স, ডুরান্ড কাপ জেতেন। বলা হয়, কলকাতা ময়দানে চুনী গোস্বামীর আগমনের আগে বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সেরা আকর্ষণ। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ সময় ধরে কলকাতা ফুটবলে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তিনি এক সময় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়তেন। ফুটবলের টানে সেই পড়াশোনা বন্ধ হয়। এমন এক ফুটবলার পদ্মশ্রী না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের মর্মাহত করে চলে গেলেন।
অপূর্বলাল নস্কর, ভান্ডারদহ, হাওড়া
সুনাম নষ্ট
আপনাদের অবগত করতে চাই যে, শ্যামলিমা ভৌমিক নামে ২৯ বছরের এক যুবতীকে আমাদের নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছিলেন তাঁর বিধবা মা জবা ভৌমিক। তখন থেকেই রঞ্জন নাথ নামে এক ব্যক্তি আনন্দবাজার পত্রিকা-র বাসবী ঘোষ ও নীলোৎপল বিশ্বাসের সাহায্যে এই পত্রিকার মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার করে ওই মেয়েটি, এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন। উক্ত রঞ্জন নাথ এবং তাঁর বন্ধুরা মাঝেমধ্যে রাতের দিকে আমাদের মহিলাদের ইউনিটে আসেন এবং এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচার করেন, যা নিয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগও জমা পড়েছে। তিনি এমনকি মেয়েটির মা এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও করেছেন।
এই খবরটি আপনাদের পত্রিকায় চার বার প্রকাশিত হয়েছে। মহামান্য আদালত স্থানীয় থানার তত্ত্বাবধানে মেয়েটির মেডিক্যাল চেক-আপের নির্দেশ দেয়। এবং মেয়েটির বিবৃতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি দ্বারা রেকর্ড করা হয় এই বিষয়ে জানতে যে, আমাদের সংস্থা দ্বারা কোনও গোলমাল হয়েছিল কি না। মহামান্য আদালত গত ১৭ অগস্ট মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে।
গত ৫ অগস্ট শ্যামলিমা ভৌমিক নিজে সমস্ত তথ্য জানিয়ে সম্পাদকের উদ্দেশে একটি চিঠি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত পূর্ব প্রকাশিত প্রতিবেদনটির উপর আলোকপাত করে কোনও কিছু প্রকাশিত হয়নি। অনুরোধ, আপনারা বিষয়টি দেখুন যাতে আমাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত অভিযোগগুলি থেকে আমরা মুক্ত হই এবং অন্যতম সেরা ‘রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার’ হিসেবে আমাদের সুনাম পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
সুবীর হিউবার্ট রাউথ, জনসংযোগ আধিকারিক, দ্য জেনেসিস ফাউন্ডেশন
প্রতিবেদকের উত্তর: অভিযোগ, মেয়ের লিভ-ইন পার্টনারকে মায়ের পছন্দ নয়। তাই তাঁর মেয়েকে তিনি জোর করে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে এর পর সেই পার্টনার থানা-পুলিশ, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, এই সংক্রান্ত সংবাদ আনন্দবাজার পত্রিকা-য় প্রকাশিত হয়েছে অভিযোগ এবং যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বক্তব্যের ভিত্তিতে।
সেই খবরের কোনও লাইনেই সংবাদপত্র সংস্থার বা প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনও বক্তব্য বা মতামত লেখা হয়নি। সংবাদ পরিবেশনের নিয়ম মেনে প্রতিটি প্রতিবেদনেই সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এমনকি, যে নেশামুক্তি কেন্দ্রে সেই মেয়েটিকে জোর করে ভর্তি করানোর অভিযোগ উঠেছে, সেখানকার কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও প্রকাশিত হয়েছে। আদালত সেই নেশামুক্তি কেন্দ্রের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলে তা-ও লেখা হয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে সেই সংক্রান্ত সংবাদও পরিবেশন করা হয়েছে সংবাদ পরিবেশনের কর্তব্য থেকেই।