সম্প্রতি অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, রাজ্য জুড়ে তীব্র রক্তসঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। ব্লাডব্যাঙ্কগুলি দীর্ঘ দিন ধরে প্রবল রক্তশূন্যতায় ভুগছে, যার ফলে থ্যালাসেমিয়া, লিউকেমিয়া বা রক্তাল্পতা-সহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তেরা কঠিন ও জটিল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ, তাঁদের একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্তের প্রয়োজন। অথচ, রক্তের ভাঁড়ারে ব্যাপক টান। এহেন পরিস্থিতিতে হঠাৎ কোনও মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজন পড়লে, হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রক্তদাতা জোগাড় করে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন।
বস্তুত, বছরভর নানা প্রান্তে ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির’ আয়োজনের মাধ্যমে রক্ত সংগ্ৰহের কাজটি করে থাকে মূলত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কিন্তু, অতিমারি আবহে বিগত কয়েক মাস যাবৎ এ ধরনের শিবির আয়োজিত হতে পারেনি। জনস্বার্থে এই সমস্যা দূরীকরণে প্রশাসনের তৎপর হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সচেতন এবং দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন নাগরিক সমাজেরও। রক্ত দানকে নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করে, এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সকলকে।
পুষ্পরানি মণ্ডল, উলুবেড়িয়া, হাওড়া
কম দাম
বর্তমানে আলু-চাষিরা উৎপন্ন আলু বিক্রি করার সময় কুইন্টাল প্রতি কম-বেশি মাত্র ৪০০ টাকা দাম পাচ্ছেন। ফলে তাঁদের সে ভাবে লাভ থাকছে না। অথচ, চলতি বছরে সাধারণ মানুষকে এক সময় ৪৫ টাকা কিলো দামে আলু কিনে খেতে হয়েছে। এর মূল্য চাষিরা পাননি। এ রকম অবস্থায় সরকার যদি ক্ষুদ্র, মাঝারি চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে আলু কিনে নেয়, তা হলে বহু কৃষক পরিবার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। শুধু আলু নয়, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো ফসলের দামও চাষিরা সে ভাবে পাচ্ছেন না। সুতরাং, চাষিদের লাভের মুখ দেখাতে সরকারি সহায়ক মূল্যে জেলায় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ফসল ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।
দেবদূত মণ্ডল, নুরপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
ভর্তুকি নেই
‘ভর্তুকি উঠল কেরোসিনেও’ (৩-২) শীর্ষক প্রতিবেদন পাঠ করে বিস্মিত হলাম। আগামী মে মাস থেকে গরিব-মধ্যবিত্তের হেঁশেলের অন্যতম জ্বালানি কেরোসিন তেলের উপর থেকে সমস্ত ভর্তুকি তুলে নিচ্ছে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী অর্থবর্ষে এই জ্বালানির ভর্তুকি খাতে একটি টাকাও বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। ফলে পেট্রল-ডিজ়েলের মতো কেরোসিনের দামও মাত্রাধিক হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা।
বাজারজাত না-করে, আজও এ দেশে সরকারি গণবণ্টন ব্যবস্থার আওতায় রেশন দোকানের মাধ্যমে উপভোক্তাদের নীল কেরোসিন বিক্রি করা হয়। কেরোসিন তেল ভারতের বিপুল সংখ্যক গৃহস্থের অন্যতম নিত্যব্যবহার্য বস্তু। বহু প্রত্যন্ত গ্ৰামে, যেখানে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, সেখানকার মানুষের আজও একমাত্র ভরসা কেরোসিনের লণ্ঠন। তাই তাকে ভর্তুকি-হীন করে তোলা একটি চূড়ান্ত অনৈতিক ও ভুল সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, গরিব-দুঃস্থ শ্রেণির মানুষের কথা বিবেচনা করে, কেরোসিনকে পুনরায় ভর্তুকির আওতায় আনা হোক।
রাকেশ পাত্র, উলুবেড়িয়া, হাওড়া
একটাই নম্বর
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ১০ কোটি মানুষকে দেওয়া হবে। শুনলাম, ২ কোটি কার্ড নাকি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখানকার টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০-৩৪৫৫-৩৮৪। ১০ কোটি মানুষের জন্যে একটা হেল্পলাইন। সকাল থেকে ডায়াল করে বিকেল হয়ে গেল, তবু তোমার আওয়াজ নাই রে। এই হেল্পলাইন নম্বর আরও কয়েকটা বাড়ালে আমজনতার সুবিধে হত।
রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়, মুড়াগাছা, নদিয়া
শুধুই লাভ?
অতিমারির প্রকোপ একটু কমার পর রেল পরিষেবা পুনরায় চালু হলে লালগোলা-শিয়ালদহ রুটে ভাগীরথী ট্রেনটির বদলে গত ডিসেম্বর মাস থেকে ০৩১০৩, ০৩১৩০৪ স্পেশাল ট্রেন নাম দিয়ে চলছে। অতিরিক্ত লাভের আশায় যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রাখে না রেল কর্তৃপক্ষ। ডিএলওয়ান নামে যে বগিটি এই ট্রেনে লাগানো থাকে, কৃষ্ণনগর স্টেশনে কোনও দিন প্ল্যাটফর্ম পায় না। টাকা দিয়ে টিকিট কেটে বয়স্ক মানুষদের এই ভাবে ওঠানামা সম্ভব? কলকাতায় চাকরি করার সুবাদে প্রতি সপ্তাহে আমাকে বহরমপুর থেকে কলকাতায় এই ট্রেন ধরে যাতায়াত করতে হয়। প্রায় প্রতি দিনই আমার কপালে এই বগিটি পড়ে। অনুরোধ, এই বগি বাদ দিলে হয়তো রেলের কিছুটা আয় কম হবে, কিন্তু অনেক বরিষ্ঠ বা অসুস্থ নাগরিকের যাতায়াতে সুবিধে হবে।
সঞ্জয় কুমার মিশ্র, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
পর্যটনের স্বার্থে
সদ্য পুরুলিয়ার গড় পঞ্চকোট, বড়ন্তি ও বাঁকুড়ার বিহারীনাথ ঘুরে এলাম। ভ্রমণপিপাসু মনকে তৃপ্তি দিল অরণ্যসুন্দরী দুই জেলার ‘পিকচার পোস্টকার্ড’ সৌন্দর্য। তবে ইদানীং পর্যটকদের অতি প্রিয় এই অঞ্চলে পরিকাঠামোগত কিছু ঘাটতি দূর করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। পুরুলিয়া রোডের সুভাষ মোড় থেকে বড়ন্তি, বড়ন্তি থেকে বিহারীনাথ ও বিহারীনাথ থেকে রানিগঞ্জ যাওয়ার পথে পাবড়া মোড় পর্যন্ত রাস্তা খুবই সঙ্কীর্ণ ও আঁকাবাঁকা। উল্টো দিক থেকে যত ছোট গাড়িই আসুক, পাশ কাটিয়ে যাওয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমস্যাপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। গড় পঞ্চকোট, পাঞ্চেত, বড়ন্তি ও বিহারীনাথকে প্রশস্ত রাস্তার মাধ্যমে সুন্দর ভাবে জুড়ে দেওয়া দরকার। এ ছাড়াও প্রত্যেক পর্যটন স্থলে সরকারি আবাসের বাইরে ও সর্বসাধারণের জন্য ওয়াচ টাওয়ার ও পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা ও পুরুষ টয়লেট বানানো প্রয়োজন। স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য যুক্ত হলে পর্যটনের প্রসার ঘটবে।
তন্ময় মণ্ডল, গোবরডাঙা, উত্তর ২৪ পরগনা
অনৈতিক
আমি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে থাকা এক জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওপিডি-তে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল। বুকিং কাউন্টার থেকে বলা হল, এই প্রকল্পের অধীনে প্রতি দিন সামান্য কিছু রোগী দেখা হয়। তাই আমার ১৯ ফেব্রুয়ারির আগে দেখানো সম্ভব নয়, কারণ মাঝের সমস্ত দিন বুক করা আছে। অথচ, জরুরি ভিত্তিতে আমার চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের এক হাসপাতালে, যেটি এই প্রকল্পের জন্য নথিভুক্ত। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অশোক কুমার দত্ত, কলকাতা-৫১
ইন্ডিকেটর
যে কোনও যানবাহনের সামনে-পিছনে হেডলাইটের পাশে ইন্ডিকেটর বা দিক-নির্দেশক লাইট থাকা বাঞ্ছনীয়। অথচ, বর্তমানে গ্রাম-মফস্সলের একাধিক রাস্তায় এমন কিছু অটো, মোটরভ্যান চলে, যাদের ইন্ডিকেটর বাল্বটি হয় ভাঙা, নয় খারাপ, নয়তো ইচ্ছাকৃত ভাবেই লাগায়নি। শীতের রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে যাতায়াতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। মাঝেমধ্যে সামনে থেকে আসা অটো কিংবা মোটরভ্যানকে মোটরবাইক বলেও ভ্রম হয়। ফলে, বাইক কিংবা সাইকেলের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
কৌশিক দাস, বাহিরকুঞ্জ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা