—প্রতীকী চিত্র।
চারিদিকে নানা অনিয়মের জেরে সিবিআই, ইডি তদন্ত চালাচ্ছে। অথচ, সেই তালিকায় বরাবর বাদ থেকে যাচ্ছে বেসরকারি নার্সিংহোমগুলি। অন্য রাজ্যের সঠিক তথ্য জানা নেই, তবে আমাদের রাজ্যে আদি অনন্তকাল থেকেই বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির পরিষেবা-মূল্য ভয়ঙ্কর। দিনে দিনে তা আরও মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে। একমাত্র ভুক্তভোগীরাই এ-হেন পরিস্থিতির কথা জানেন। অন্য দিকে, সরকারি হাসপাতালে হাহাকার অবস্থা। ডাক্তারের অভাব তো আছেই, বেডের সমস্যাও ভয়াবহ। ফলে সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রচণ্ড হয়রানির শিকার হতে হয়। যাঁদের কিছুটা আর্থিক সচ্ছলতা আছে, তাঁরা আপনজনকে বাঁচাতে বেসরকারি নার্সিংহোমের শরণাপন্ন হন এবং অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের প্রায় সর্বস্বান্ত হওয়ার পরিস্থিতি হয়। অসহায় অবস্থায় কোনও চিন্তাভাবনা না করেই তাঁদের সব কিছু মেনে নিতে হয়।
আজকাল অনেক পরিবারই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় থাকায় আরও সুযোগ পেয়ে যায় নার্সিংহোমগুলি। কারণ তারা জানে বিলে মোটা অঙ্ক ধার্য করলে একটা অংশ স্বাস্থ্যবিমা কোম্পানি মেটাবে আর বাকিটা রোগীর পরিবার দিতে বাধ্য থাকবে। সে ভাবেই ব্যয়ের অঙ্ক তৈরি করা হয় এখানে। সে কারণেই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা-র আওতায় থাকা ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পে সব নার্সিংহোম ভর্তি নিতে বা চিকিৎসা পরিষেবা দিতে চায় না। সম্ভবত চিকিৎসা বাবদ সব বিভাগে সরকারি মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে বিল পাওয়া যায়, ফলে তারা তাদের মতো করে বিল বানাতে পারে না। তা ছাড়া, মনে হয় সরকারি স্বাস্থ্যবিমার টাকা পেতেও কিছুটা সময় লাগে। বেসরকারি নার্সিংহোমে অপারেশন চার্জ, ওষুধের বিল, স্টেশনারি বিল, বেড চার্জ ইত্যাদি কী ভাবে ধার্য করা হয়, তার তথ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে সব প্রশাসনিক বিভাগের কাছে থাকে নিশ্চয়ই। কিন্তু সে সব পর্দার আড়ালেই থেকে যায়। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাব্যবস্থা অনেক উন্নততর হওয়া সত্ত্বেও বেড বা ডাক্তারের সংখ্যা অপ্রতুল থাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি এখনও মেটেনি। ফলে বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতালের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া গতি থাকে না অনেকের। কিন্তু এত কাল ধরে বেসরকারি সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষকে যে অমানবিক ভাবে লুট করে আসছে, তার কি তদন্তের প্রয়োজন নেই?
স্বস্তিক দত্ত চৌধুরী, শান্তিপুর, নদিয়া
বৈষম্য কেন
কিছু দিন আগে আমার একটি বিড়াল খুব অসুস্থ হওয়ায় ওকে বহরমপুর ভেটেরিনারি পলিক্লিনিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করার পর পাঁচটি ইনজেকশন লিখে দেন। তার মধ্যে একটি হাসপাতাল থেকেই পেলাম, বাকিগুলো কিনে আনতে হল। ইনজেকশনগুলো চার দিন ধরে পোষ্যটির শরীরে দিতে হত।
পরের দিন শনিবার হওয়ায় জানতে পারি হাসপাতাল অর্ধদিবস চালু থাকার পর বন্ধ হয়ে যাবে। তাতে আমার কোনও অসুবিধা হয়নি যে-হেতু আমার বিড়ালকে ইনজেকশন দেওয়ার কাজটি বেলা বারোটার আগেই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে এও শোনা গেল যে,
রবিবার ও সোমবার সরকারি ছুটি হওয়ায় ওই দু’দিন সরকারি
পরিষেবা পাওয়া যাবে না। বাইরের কোনও পশু বিশেষজ্ঞ বা প্রাণী-মিত্রদের দিয়ে ইনজেকশন দিয়ে নিতে হবে।
এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, পশুরা মানুষ নয় ঠিকই, কিন্তু ওদের শারীরিক অসুস্থতায় সরকারি পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকলে চলবে কী করে? পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি কি বিষয়টি জানে না? শুনেছি পশু চিকিৎসকরা মানুষের ডাক্তারদের মতো একই হারে সরকারি বেতন পান, নন প্র্যাকটিসিং অ্যালাওয়েন্স পান। এক সরকারি পশু চিকিৎসককে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করাতে জানতে পারলাম, সরকারি ভাবে পশু চিকিৎসা জরুরি পরিষেবার অন্তর্গত নয়, তাই সরকারি ক্যালেন্ডারে যে সমস্ত ছুটি থাকে, সেই ছুটিগুলো ওঁরা ভোগ করতে পারেন।
চিকিৎসা ব্যবস্থাটাই যে-হেতু জরুরি পরিষেবার অন্তর্গত, তাই আমি মনে করি অনতিবিলম্বে পশু চিকিৎসাকেও জরুরি পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। রাজ্যে যে সমস্ত জায়গায় পশু হাসপাতাল আছে, সেগুলি মানুষের হাসপাতালের মতোই যেন সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রেখে পরিষেবা প্রদান করা হয়। এতে বহু পশু প্রাণহানির হাত থেকে রক্ষা পাবে। এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মানসী মিশ্র, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
বেহাল রাস্তা
পানিহাটি পুরসভার অধীনে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তারাপুকুর মেন রোডের অবস্থা ভাল নয়। আগরপাড়ার এই রাস্তাটি ৫ নম্বর রেলগেট থেকে আরম্ভ হয়ে উষুমপুর বটতলায় গিয়ে মিশেছে। এটি দীর্ঘ দিন ধরে খানাখন্দে ভরা ছিল। পুজোর কিছু দিন আগে ভাঙা ইটের টুকরো দিয়ে সেগুলি ভরাট করে রোলার মেশিন দিয়ে ঠিক করা হয়েছে। সাধারণত এই ধরনের মেরামত স্বল্পস্থায়ী হয়। প্রতি দিন অসংখ্য যানবাহন ও সাধারণ মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিকে পিচের রাস্তা বানিয়ে সাধারণের চলাচলের উপযোগী করে তোলার কোনও উদ্যোগই পুরসভার তরফে দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া বিটি রোড যাওয়ার রাস্তাটিও শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। অনেক দিন আগে এই রাস্তাগুলো এক বার সারানো হয়েছিল। কবে এই দুঃসহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাব?
স্বপন কুমার নাথ, কলকাতা-১০৯
অপেশাদার
বছর চারেক আগে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডে অবস্থিত একটি গাড়ির শো-রুম থেকে আমার পুরনো অল্টো গাড়িটি বদলে একটি নতুন অল্টো কিনি। শো-রুম কর্তৃপক্ষ আমার পুরনো গাড়িটি নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার সঙ্গে গাড়ির সব অরিজিনাল কাগজপত্রও চেয়ে নেন। তার বদলে অবশ্যই আমাকে ডেলিভারি রসিদ দেওয়া হয়। অরিজিনাল কাগজপত্র নিয়ে নেওয়ার অর্থ হল, আমার পুরনো গাড়িটি দেখভালের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সেটি বিক্রি হলে, গাড়ির মালিক হিসাবে আমার নামটি বাতিল করে তারা আরটিও-তে নতুন ক্রেতার নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু পুরনো গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়া সত্ত্বেও শো-রুম কর্তৃপক্ষ আমার নামটির পরিবর্তে নতুন ক্রেতার নাম আরটিও-তে নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করেনি। এমনকি গাড়িটি যে বিক্রি হয়েছে, সে খবরটি পর্যন্ত আমাকে দেওয়া হয়নি। ফলে আমার নামটি উক্ত গাড়ির মালিক হিসাবে এখনও রয়েছে, এই মর্মে নোটিস পাই কসবা আরটিও থেকে। অনেক মেসেজ ও ফোন করা সত্ত্বেও নাম সংশোধনের কাজটি তারা করেনি। গ্রাহকের সঙ্গে এই ধরনের অপেশাদার আচরণ করলে শো-রুমটির সুনাম বজায় থাকবে কি ভবিষ্যতে?
অরুণ গুপ্ত, কলকাতা-৮৪
ঘেরা স্থান
বাগবাজার, বাবুঘাট, জাজেস ঘাট ইত্যাদি গঙ্গার ঘাটগুলিতে বহু মানুষ নানা ধর্মীয় আচার আচরণ পালন করেন। কাজগুলো করার জন্য সবাইকে নদীতে স্নান করে পোশাক পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু এখানে তেমন কোনও ঘেরা জায়গার ব্যবস্থা নেই। এতে অনেককেই, বিশেষত মহিলাদের খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে নিবেদন, ঘাটগুলিতে পোশাক পরিবর্তনের জায়গার ব্যবস্থা করা হোক। দরকারে অর্থের বিনিময়ে এই জায়গা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
সুমিত কুমার বক্সি, কলকাতা-১৩০