ফাটল দিয়ে জল ঢুকে পড়ছে।
নামখানা, সুমতিনগর, মহিষামারির বিস্তীর্ণ এলাকায় বাঁধের ফাটল দিয়ে জল ঢুকে পড়ছে। নিম্নচাপ ও কটালের জেরেই সমুদ্র উপকূলের এমন অবস্থা দেখা দিয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকার একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। বাঁধ উপচে নোনা জল ঢুকছে। নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন। ফলে, আমন ধানের চাষে ক্ষতি হয়েছে বেশ। জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় রোপণ করা ধানের চারা দেখাই যাচ্ছে না। জল যদি এ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে তবে সব নষ্ট হয়ে যাবে।
প্রতি বছর বর্ষার সময় বাঁধে দেখা দেয় ভাঙন। ফাটল ধরা বাঁধ উপচে নোনা জল ঢোকে গ্রামে। জলের চাপে দুর্বল বাঁধ দাঁড়াতেই পারে না। বানভাসি হন গ্রামের সাধারণ মানুষ। দুর্যোগের পর মেরামতি হয় বাঁধের। কিন্তু তা বেশি দিন স্থায়ী হয় না।
সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ সব সময়ই বেশি থাকে। দুর্যোগ এলে তার প্রভাবেও এখানে মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারণ চারিদিকেই ফাঁকা জায়গা ছড়িয়ে আছে, নদ-নদীরও অভাব নেই। বঙ্গোপসাগর নিকটে থাকায় প্রাথমিক ধাক্কাটা এ অঞ্চলকেই সহ্য করতে হয়। তার উপর যদি নদীবাঁধগুলির এমন অবস্থা হয়ে থাকে, তবে আর উপায়ই বা কী? সাগর ব্লক প্রশাসন ও সেচ দফতর বাঁধগুলির উপর নজর রাখছে— এমনটাই সংবাদসূত্রে জানতে পারা যাচ্ছে। কিন্তু সরকার বাঁধগুলি সংস্কার করলে এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান হতে পারে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রদ্যুৎ সিংহ , মানিকনগর, উত্তর ২৪ পরগনা
খারাপ মেশিন
সম্প্রতি মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশনে ওজন দেখার মেশিনে পাঁচ টাকার কয়েন দিয়ে ওজন মাপতে গিয়েছিলাম। আমার ওজন এল আট কিলোগ্রাম! কিন্তু এক মাস আগেই ওষুধের দোকানে ওজন দেখিয়েছিল আটাত্তর কিলোগ্রাম। হয় ছাপা ঠিকমতো হয়নি, নয়তো মেশিনগুলিই খারাপ। জানলাম, মেট্রো স্টেশনে এমন ঘটনা নতুন নয়। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি, যাতে তাঁরা সেই মেশিনগুলি সরিয়ে নেন, যেগুলি যথার্থ ওজন দেখায় না। মেশিন খারাপ হলে, অবিলম্বে সারানোর ব্যবস্থা করা হোক। না হলে সাধারণ জনগণের অযথা অর্থব্যয় হবে।
বিশ্বনাথ চৌধুরী, কলকাতা-৬১
ছোট ডাকঘর
সাঁতরাগাছি উপ-ডাকঘরটির পরিসর এত ছোট যে, রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে হয়। ফলে বয়স্ক মানুষদের খুব অসুবিধা হয়। এখানে কোনও শৌচালয় নেই। নেই কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থাও। বিকেল চারটে থেকে পাঁচটার মধ্যে শুধু পাসবুক আপডেট হবে। এই তুঘলকি আচরণ কি বন্ধ করা যায় না? টাকা তোলার সময়েই পাসবুক আপডেট করে দেওয়া যায় না? কত বার মানুষ ডাকঘরে যাবে?
পল্টু ভট্টাচার্য, রামরাজাতলা, হাওড়া
অস্থায়ী কালি
কেনাকাটা, টাকা তোলা, বিল জমা বা বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের সময় আমরা ক্যাশ মেমো, বিল, এটিএম স্লিপ ইত্যাদি পেয়ে থাকি। সেগুলো অস্থায়ী কালিতে ছাপানো হয়। ফলে দিন কয়েকের মধ্যেই এই রিসিটগুলি সাদা কাগজে পরিণত হয়। এর জন্য পরবর্তী কালে কাজে লাগতে পারে, এমন রিসিটগুলোকে ফোটোকপি করে রাখতে হয়। এতে উপভোক্তাদের খরচ বেড়ে যায়। ফোটোকপির জন্য অতিরিক্ত কাগজ ব্যবহারের ফলে পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। এই সব কারণে বিভিন্ন সংস্থাকে বিল, রিসিট, এটিএম স্লিপ বা ইলেকট্রিক বিল-এ স্থায়ী কালি ব্যবহার করার দাবি জানাচ্ছি।
শুভাশিস দত্ত, বোলপুর, বীরভূম
কেরোসিন সম্বল
আমি বারুইপুর মহকুমার অন্তর্গত সোনারপুর ব্লকের স্থায়ী বাসিন্দা। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় রেশন পেলেও গত জুলাই মাস থেকে কেরোসিন তেল পাচ্ছি না। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের মতো দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের কাছে কেরোসিন তেলটুকুই ভরসা। এখন সেই মহার্ঘ তেলও যদি না পাওয়া যায়, তা হলে দরিদ্র মানুষদের খুব মুশকিল। তাই জনগণের বকেয়া কেরোসিন তেল যাতে পুনরায় দেওয়া হয়, তার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
দীপঙ্কর দে, সোনারপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
ভাতাহীন
২০২০ সালের অগস্ট মাসের পর থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার বহু প্রতিবন্ধী মানুষ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মানবিক ভাতা প্রকল্পের ১০০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কগুলোকে কিছু ব্যাঙ্কের সঙ্গে সংযুক্তি ঘটানোয় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্কের আইএফএসসি কোড বদলে গিয়েছে। আর এই অজুহাতে জেলার হাজার হাজার প্রতিবন্ধী দীর্ঘ এক বছর যাবৎ তাঁদের মাসিক ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনিতেই অতিমারি কালে বহু মানুষ নানা আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। প্রতিবন্ধীদের অবস্থা আরও শোচনীয়। কিন্তু এঁদের সমস্যা নিয়ে কোনও মন্ত্রী, সাংসদ বা বিধায়কদের কোনও রকম উচ্চবাচ্য করতে দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।
সুমন পাল, রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ
কামরায় ধূমপান
আমি শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার এক জন নিত্যযাত্রী। প্রতি দিন সকাল ৪টে ৪৮-এর শিয়ালদহগামী হাসনাবাদ কিংবা ৫টা ১৫-র শিয়ালদহগামী বনগাঁ লোকাল ধরে যাতায়াত করি। ট্রেনের কামরায় যথেষ্ট সতর্কীকরণ এবং নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বহু নিত্যযাত্রী প্রতি দিন ধূমপান করেন। ট্রেনের শেষ কামরায় এই অবাঞ্ছিত ধূমপায়ীদের প্রকোপ খুব বেশি করে দেখা যায়। এই দু’টি ট্রেনে সকালবেলাতেও যথেষ্ট ভিড় থাকে। তার মধ্যে বয়স্ক-সহ স্কুলের অনেক ছোট ছোট শিশুও থাকে।
আমরা জানি প্রত্যক্ষ ধূমপান বা অ্যাক্টিভ স্মোকিঙের চেয়ে প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপান অনেক বেশি ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া ইন্টারনেটে খুঁজলেই দেখা যাবে, ধূমপানের ফলে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের নজিরও বহু রয়েছে। তবুও ভারতীয় রেল এই ব্যাপারে উদাসীন। বাকি নিত্যযাত্রীরাও কোনও প্রতিবাদ করেন না। এই অবাঞ্ছিত ধূমপায়ীদের জন্য অবিলম্বে কঠোর শাস্তি ও জরিমানার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করি।
সাম্যব্রত দাস, কলকাতা-৭৯
নিচু প্ল্যাটফর্ম
হাওড়া শাখার মেন লাইনে বালি, রিষড়ার মতো কয়েকটি স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় সুস্থ মানুষদেরই ট্রেনে ওঠানামা করতে বেশ কষ্ট হয়। ফলে শিশু, বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তি এবং মহিলাদের অসুবিধা আরও বেশি হয়, তা বলা বাহুল্য। সমস্যাটি বিপজ্জনকও, কারণ ওঠানামার সময় কেউ আহতও হতে পারেন। এই প্রসঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়নি। ঠাসা কর্মসূচির মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দলের হয়তো এই সব ছোটখাটো বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অনুরোধ, রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন বা কোনও জনসেবামূলক মঞ্চ এই বিষয়ে যদি জনমত গড়ে তোলে, তবে হয়তো রেল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবেন।
অশোক দাশ, রিষড়া, হুগলি