‘মন খুলছেন আপনি...’ শীর্ষক প্রতিবেদন (১৪-৯) থেকে অবগত হলাম, কী ভাবে ফেসবুক ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আমাদের অনুমতি ছাড়াই যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। এই বিষয়ে একটি অভিজ্ঞতার কথা বলতে চাই। আমি একটি বহুল প্রচারিত টেলি সংস্থার পুরনো গ্রাহক, যারা দাবি করে, গ্রাহকদের তথ্য তারা সর্বদা সুরক্ষিত রাখে। কয়েক দিন আগে একটি ভুল করে রিচার্জ করিয়ে ফেলা টাকা রিফান্ড করার আবেদন জানিয়ে আমি সেই সংস্থার কল সেন্টারে যোগাযোগ করি। তাঁরা অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং একটি নির্দিষ্ট দিন উল্লেখ করে বলেন, আমার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
পরের দিন থেকে আমার মোবাইলে আলাদা আলাদা নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়— ওই টেলি সংস্থা থেকে কল করছি। আপনার টাকা রিফান্ড করে দেওয়া হবে। কখনও আবার বলা হচ্ছে— আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন, কখনও এটিএম কার্ডের নম্বর চাওয়া হচ্ছে, কখনও প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ ইনস্টল করতে বলা হচ্ছে। বুঝতে পারলাম, জালিয়াতি করে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। ওই টেলি সংস্থার সঙ্গে ফের যোগাযোগ করি। তাঁরা বলেন— তাঁদের তরফ থেকে কখনও ফোন করে গ্ৰাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা এটিএম কার্ড নম্বর চাওয়া হয় না।
প্রশ্ন হল, রিফান্ডের বিষয়টি শুধুমাত্র ওই সংস্থাকে জানানোর পর কী ভাবে অন্য কেউ তা জেনে আমাকে ক্রমাগত ফোন করে জালিয়াতি করার চেষ্টা করল? তা হলে, আমার তথ্য সেই সংস্থা মারফত অন্য কেউ পাচ্ছে। যেখানে আমাদের দেশে সাইবার সাক্ষরতা কম, সেখানে এমন জালিয়াতির শিকার হচ্ছে প্রতি দিন অগণিত মানুষ। টেলি সংস্থাগুলি যদি এই অনিয়ম থেকে বিরত না হয়, সরকারের উচিত নির্দিষ্ট আইন করে মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করা।
সুজিৎ সাহা
চাকদহ, নদিয়া
২৫ কিলোমিটার!
গাইঘাটা থানার অন্তর্গত সীমান্তবর্তী বেড়ি পাঁচপোতা, রামনগর, সুবিদপুর, গোপালপুর, গোবিন্দপুর, সুটিয়া প্রভৃতি গ্রামের পোস্ট অফিসগুলি গোবরডাঙার নিকটস্থ খাঁটুরা পোস্ট অফিসের (পিন-৭৪৩২৭৩) অন্তর্গত। এই সব প্রান্তিক গ্রামের মানুষদের স্পিডপোস্ট-সহ বিভিন্ন দরকারি কাজে ২২-২৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে খাঁটুরা পোস্ট অফিসে যেতে হয়। সবচেয়ে বেশি অসুবিধের মধ্যে পড়েন চাকরিপ্রার্থী ও প্রবীণ নাগরিকরা।
মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি, বেড়ি পাঁচপোতায় অবস্থিত গ্রামীণ পোস্ট অফিসটিকে নতুন পিনকোড-সহ সাব-পোস্ট অফিসে পরিণত করা হোক। তা হলে বেড়ি পাঁচপোতা-সহ আশপাশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। সম্প্রতি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও বিষয়টি নিয়ে একটি আবেদন জানানো হয়েছে।
জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ
বেড়ি পাঁচপোতা, উত্তর ২৪ পরগনা
মদের দোকান
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রাণ ব্লকের অন্তর্গত দরিয়াপুর অঞ্চলে চাঁপাতলা হাইস্কুল নামে একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল আছে। স্কুল সংলগ্ন একটি পোস্ট অফিস, একটি নার্সারি স্কুল, প্রাইমারি স্কুল, সমবায় সমিতি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি খেলার মাঠ, কয়েকটি কোচিং সেন্টার ও স্কুলের পাশেই একটি বাজার আছে, যেটি চাঁপাতলা বাজার নামে পরিচিত।
দীর্ঘ দিন ধরে বাজার এলাকায় একটি অবৈধ মদের দোকান চলছে। দোকানটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটে থাকে। কাছেই জুনপুট কোস্টাল থানা। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে তাঁদের বা এই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের এই ব্যাপারে কোনও সক্রিয়তা লক্ষ করা যায় না। ফলে এই এলাকার প্রত্যেক নাগরিক এবং আমার মতো মেয়ের বাবা-রা খুব উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকেন।
অমূল্য মিত্র
পূর্ব মেদিনীপুর
পরীক্ষা কবে দেব
গত ২৯ জুন আমার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বিধাননগর আরটিও-তে আবেদনপত্র জমা দিই। তার পঞ্জিকরণের এসএমএস পাই ৯ জুলাই, ২০২০। তাতে আবেদনপত্রের নম্বরটি দিয়ে লেখা ছিল, সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। আমাকে সল্টলেকের অফিসে যোগাযোগ করতেও বলা হয়।
কিন্তু সেপ্টেম্বর মাস প্রায় শেষ হতে চললেও এখনও লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষার ডাক পাইনি। খবর নিয়ে জানতে পারলাম, দিনে ১০ থেকে ১২ জনের বেশি পরীক্ষা নেওয়া আরটিও অফিসের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কবে পরীক্ষা হবে, তা বলা সম্ভব নয়।
কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, তিনি যদি এই ব্যাপারটা একটু দেখেন। আমার বয়স ৬০ বছর। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষার ডাক পেতেই যদি এত দিন সময় লাগে, তা হলে মনে হয় না আমার জীবদ্দশায় আর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দেওয়ার ডাক আসবে।
পরীক্ষিৎ ব্রহ্মচারী
কলকাতা-৬৪
কাঁচা রাস্তা
বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত গোবিন্দধাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন সিতাবী নদীর কিনারা থেকে থুমকোর হয়ে চাকডোবা গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটির অবস্থা বেহাল। রাস্তাটি খানাখন্দে পরিপূর্ণ। ফলে গ্রামের মানুষের স্কুল, কলেজ, হাটবাজার, হাসপাতাল ইত্যাদি জরুরি পরিষেবার জন্য অমরকানন ও গঙ্গাজলঘাটিতে আসতে ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হয়। ইতিপূর্বে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে গণস্বাক্ষর-সহ পাকা রাস্তা করার জন্য দরখাস্ত পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি এখনও পর্যন্ত পাকা হয়নি।
যাতে অবিলম্বে এই রাস্তাটি পাকা করা হয় এবং বেহাল দশা থেকে মানুষ মুক্তি পায়, তার জন্য সভাধিপতি, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রথীন্দ্রনাথ মণ্ডল
অমরকানন, বাঁকুড়া
সাহসিনী
‘জীবন বাজি রেখে যৌন হেনস্থার শিকার...’ (৭-৯) প্রতিবেদনটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় মানবিকতার এক নিদর্শন। অন্যদের মতো সেই রাতে আনন্দপুরে যৌন হেনস্থার শিকার তরুণীর আর্ত চিৎকারকে গুরুত্ব না দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারতেন শতপথী-চট্টোপাধ্যায় দম্পতি। কিন্তু তা না করে, জীবন বাজি রেখে নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় যে ভাবে সেই অপরিচিত তরুণীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাতে তিনি আমাদের কাছে এক জন ‘রোল মডেল’-এ পরিণত হয়েছেন। তিনি শিখিয়ে দিলেন, ইচ্ছে করলে আমরা অনেককেই বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারি। আমাদের প্রার্থনা, তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন। কলকাতাবাসীর অন্তরে তিনি ঠাঁই করে নিয়েছেন।
উজ্জ্বল গুপ্ত
কলকাতা-১৫৭
কতই রঙ্গ
ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে গোল গোল দাগ দেওয়ার বুদ্ধি কাদের মাথা থেকে আসে? তাঁরা কি কখনও দেখেছেন, বিকেলের ডাউন ক্যানিং লোকাল বা বনগাঁ লোকাল যখন প্ল্যাটফর্মে ঢোকে, সেই মুহূর্তে প্ল্যাটফর্মের অবস্থা কেমন হয়? অহেতুক সরকারের টাকা নষ্ট না করে, প্ল্যাটফর্মে আসা-যাওয়ার পথ আলাদা ভাবে নির্দিষ্ট করা হোক, এবং সেখানে স্যানিটাইজ়ড টানেলের বন্দোবস্ত করা হোক।
শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা-১৪১
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
ভ্রম সংশোধন
জঙ্গি সংক্রান্ত গ্রাফিকে (পৃ ১, ২০-৯) মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে ধৃত নাজমুস সাকিবকে ভুলবশত ডোমকল পলিটেকনিক কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় সিমেস্টারের ছাত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আদতে সে ডোমকলের বসন্তপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ছিল। ধৃত আতিউর রহমান নেতাজি ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। তাকে শেখপাড়া বিএড কলেজের পড়ুয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।