coronavirus

বাড়ি বসে থাকতে থাকতে রবিঠাকুরের অমলের কথা খুব মনে পড়ে

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি। এক মাসের বেশি হল আমরা বাড়িতে। গ্রসারি অর্ডার করছি অনলাইনে। দীর্ঘ সময়ে বাড়ির নিচে নেমেছি বার তিন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ১৮:৫৯
Share:

আপাত শান্ত পিটসবার্গ এখন আরও শান্ত।

আজ প্রায় এক বছর হল আমি আমেরিকার পিটসবার্গের বাসিন্দা। যখন আগের এপ্রিলে এসেছিলাম এই শহরে, তখন বসন্ত। বসন্ত এখানে বড় রঙিন। আসমানি নীল ক্যানভাসে ফুলের রামধনু, ডালে ডালে কচি পাতাদের কলরব, পাখিদের কুহুতান। প্রকৃতির সে এক অনিন্দ্য রূপ। পাঁচ মাস সোয়েটার-জ্যাকেটে ঢেকে থাকার পর মানুষ এই সময় প্ল্যান করে কে কোন বিচে রোদ মাখতে যাবে। ফ্লোরিডা নাকি নিউ জার্সি? ক্যালিফোর্নিয়া নাকি নর্থ ক্যারোলিনা? ম্যাসাচুসেটস নাকি হাওয়াই? করোনা এক ধাক্কায় এই চিত্রের রং আমূল বিবর্ণ করে দিয়েছে। মানুষ জনের বর্তমানে একটাই পরিকল্পনা কে কী মজুত করবে। রুটি, স্প্যাগেটি, পাস্তা ছাড়াও এই তালিকায় আছে টয়লেট পেপার, বাচ্চাদের ডায়াপার - এর মত আবশ্যকীয় জিনিস। দোকানে দোকানে শুধুই 'নেই'। দেড় মাস আগে থেকেই ফার্মাসিগুলোয় নোটিস ঝুলতে শুরু করেছে 'নো মাস্ক' 'নো স্যানিটাইজার', 'নো গ্লাভস'। এখন অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক। দোকানের তাকগুলো ভরতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। প্রাথমিক অভিঘাত কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা চলছে প্রাণপণ।

Advertisement

পিটসবার্গ, আমেরিকা

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement