প্রতীকী ছবি।
শুধু এক বেলা দু’টো রুটি পাচ্ছি, অনাহারেই মারা যাব
মাননীয় সচিব, পশ্চিমবঙ্গ সরকার— আমরা পশ্চিমবঙ্গ তথা আপনার রাজ্যের বাসিন্দা। কাজের জন্য, রোজগারের আশায় বর্তমানে, মুম্বইয়ের ঠানে জেলার ভায়ান্দর পূর্বনগর রোডের ইন্দিরা নগরে এসে রয়েছি। আমরা ১০০-রও বেশি মানুষ একসঙ্গে থাকছি। বর্তমানে লকডাউন এর কারণে আমাদের হাতে টাকা নেই এবং খাবারের খুব অভাব। সরকারি সাহায্য বলতে আমরা এখানে কিছুই পাচ্ছি না। শুধু দুপুরে দু’পিস রুটি, লেবুর আচার আমাদের দিয়ে যায়। এ ভাবে চলতে থাকলে আমরা অনাহারে মরে যাব। এই অবস্থায় দয়া করে আমাদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
ইউনুছ আলি
বাদুড়িয়া, উত্তর ২৪ পরগনা
মোবাইল: ৯১৩৬৩৬১৬১২
চেন্নাইয়ে রেস্তোরায় মাইনে দিচ্ছে না, খেতে পাচ্ছি না
আমরা চেন্নাইয়ে কাজ করি রেস্তোরাঁয়। আমাদের গ্রামের ১০০ জন এখানে এসে ফেঁসে গেছি। লকডাউন পালন করছি। রেস্তোরাঁ থেকে কিছু দিচ্ছে না। এমনকি মাইনেও দিচ্ছে না। টাকা যা ছিল, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। খেতে পাচ্ছি না। আমাদের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর। কি করব জানি না। আমরা অত শিক্ষত নই। তাই কী ভাবে, কোথায় সাহায্য পাওয়া যাবে জানি না। এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন প্লিজ।
ইমেল: alamgirsha741@gmail.com
বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে দু’টো মাস্ক দেবেন কেউ?
আমি ৬৮। আমার স্ত্রী ৬৫। মাস্ক লাগানো বাধ্যতামুলক। কাছাকাছি দু’টো বিখ্যাত ওসুধের দোকানে নেই। ১০৭৪ নম্বরে আর দিদিকে বলোতে ফোন করেছিলাম। দিতে পারবেন না বলেছে। নরেন্দ্রপুর থানা ফোন ধরছেন না। খাবার-দাবার আনতে বাজার যেতেই হবে। দুটো মাস্ক পাবো কি? বড় অসহায়।
শ্রীবীর নাগ
দক্ষিণ কুমড়াখালি, রাজপুর সোনারপুর পুরসভা
মোবাইল: ৬২৯০০৪৭২৫১, ৯৮৩৬২৯৭০৮১
দয়া করে কিছু খাবার দিন
জানুয়ারি মাসে আমার কাজ চলে গিয়েছে করোনাভাইরাসের জন্য। আমি যে সংস্থায় কাজ করতাম, সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন আমার কাছে খাবার জন্য একটা টাকাও নেই। আমার এক বন্ধু কিছুটা সাহায্য করেছিল। ২ কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম মুসুর ডাল আর ১ কেজি আলু দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সে-ও বিপদে পড়েছে। আমি বাঁচতে চাই। আমাকে কিছু সাহায্য করুন। কিছু খাবার দিন। আমি ভিক্ষাজীবী নই। কিন্তু এখন একজন অসহায় ভিক্ষাজীবীর সঙ্গে আমার কোনও পার্থক্য নেই। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। দয়া করে কিছু খাবার দিন।
মৃন্ময় নস্কর
চম্পাহাটি, ক্যানিং
মোবাইল: ৯৭৭৫২৩৬৫৮৩
স্বপ্ন পূরণের দেশটা আজ আশঙ্কার বিনিদ্র রজনী
ছেলের কর্মসূত্রে দু’বার আমেরিকা আর এক বার ব্রিটেন গিয়েছিলাম। ২০১৮ সালের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পেনসিলভেনিয়ার কিং অফ প্রুশিয়াতে ছিলাম। অনেক বাঙালি পরিবার, বিশেষ করে ছেলের সহকর্মীদের সাথে পরিচয় হয়েছে। একসাথে ঘুরতে গিয়েছি। এত সুন্দর দেশটাকে স্বপ্ন মনে হয়েছিল। করোনা মহামারিতে আক্রান্ত সেই দেশে বসবাস করছে আমার নাতি-নাতনি-সহ ছেলে- বৌমা। এই ২০২০ তে দেশে আসার কথা ছিল, কিন্তু কবে আসতে পারবে জানি না। টিভিতে দেখছি রোজ মৃত্যুমিছিলের খবর। প্রতিদিন ভিডিয়ো কলের অপেক্ষায় বসে থাকি। বুকটা সব সময়ে দুরুদুরু করছে। আমি সত্তরোর্ধ্ব। সুগার -প্রেসারের রোগী। না জানি আমার মতো আরও কত বাবা-মায়ের বিনিদ্র রাত কাটছে। হে ঈশ্বর, ভাল রেখো, সুস্থ রেখো আমাদের সন্তানদের। একরাশ মন খারাপ নিয়ে প্রতীক্ষায় আছি।
সন্ধ্যা দে
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী, বাড়ি ফিরতে পারছি না
আমি কেন্দ্রীয় সরকারের বস্ত্র মন্ত্রকের হস্তশিল্প উন্নয়ন অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। ২৩ এপ্রিল কলকাতায় বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করেছিলাম। সেই অনুযায়ী ট্রেনের টিকিট বুক করেছিলাম নিউ জলপাইগুড়ি থেকে। কিন্তু ২৩ এপ্রিল রাজ্য সরকার আচমকা লকডাউন ঘোষণা করায় আমার টিকিট বাতিল হয়। তখন থেকে শিলিগুড়িতে আটকে পড়েছি। শিলিগুড়ি থানায় গিয়েছি সাহায্যের জন্য। কিন্তু তারা কোনও কিছু করেনি। বাড়িতে আমার তিন বছরে ছেলে এবং স্ত্রী রয়েছেন। শিলিগুড়িতে আমি একা। দয়া করে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুন।
সুদর্শন দাস
মোবাইল: ৯৬৭৪৮০৩৯৮২
কালিকটে আটকে পড়েছি, বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুন
আমরা কেরলের কালিকট জেলার বানিমেল পঞ্চায়েত এলাকায় লকডাউনের জন্য আটকে পড়েছি। আমরা পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের এলাকার বেলগ্রাম এর ১০০ জন একসঙ্গে আছি। মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ। এই পরিস্থিতিতে আমাদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করা হোক।
সমীরেশ
মোবাইল: ৮৯১০৬৮২৩৬৮
যে কোনও মূল্যে বাড়ি ফিরতে চাই
আমি কর্মসূত্রে ভাড়া থাকি দিল্লিতে। কিন্তু লকডাউনের জন্য আটকে পড়েছি। বৃদ্ধ বাবা-মা হাওড়ায় থাকেন। প্লিজ কিছু একটা বন্দোবস্ত করুন বাড়ি ফেরার। যে কোনও মূল্যে বাড়ি ফিরতে চাই।
সায়ন রায়
মোবাইল: ৮৮৬০৯৬০৩০২
ছেলেমেয়েকে নিয়ে মহারাষ্ট্রে আটকে পড়েছি, বাড়ি ফিরতে চাই
আমি কলকাতার বাসিন্দা। চাকরির সূত্রে গত বছর মহারাষ্ট্রে এসেছি। আমার ছেলেমেয়ে একটি বোর্ডিং স্কুলে পড়ে। এই কঠিন সময়ে এখানে চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে যেতে চাই। এমনকি, চাকরি থেকে ইস্তফাও দিয়েছি। ২৯ মার্চ বিমানের টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু লকডাউনের জন্য এখানে স্কুল ক্যাম্পাসে থাকতে বাধ্য হই। তাই ২৯ মার্চের টিকিট পাল্টে ১৫ এপ্রিল করি। আশা করেছিলাম উড়ান চালু হবে। কিন্তু এখন ক্রমেই আশাহত হয়ে পড়ছি। আমরা একটি ঘরে বন্দি অবস্থায় আছি। এই মহামারি থেকে নিজেদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু এ বার বাড়ি ফিরতে চাই। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ‘রাইট টু পিএম’-এ তিন বার লিখেছি। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। এখন আপনারাই আমাদের শেষ আশা। প্রিজ কিছু করুন, যাতে আমার মতো যাঁরা রাজ্যের বাইরে আটকে আছেন, তাঁরা যেন বাড়ি ফিরতে পারেন।
সুপর্ণা দত্ত চক্রবর্তী
মোবাইল: ৭০৪৪৫৫৯৬১১, ৭৩২১০৭৭৮৪৫
পুণেতে আটকে আছি, বাড়ি ফিরতে দিচ্ছে না
আমি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। কাজের জন্য আমি মহারাষ্ট্রের পুণের সাতারা জেলার শিরওয়ালে আটকে পড়েছি। এটা পুণে-বেঙ্গালুরু হাইওয়ের ধারে অবস্থিত। পুণে বিমানবন্দর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে। লকডাউনের জন্য আমি এবং আমার সহকর্মীরা এখানে আটকে পড়েছি। আমাদের সবারই ২৪ মার্চ পুণে থেকে বিকেল সাড়ে তিনটেয় কলকাতার বিমানের টিকিট কাটা ছিল। যেহেতু কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী ২৪ তারিখ মধ্যরাত থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দু্র্ভাগ্যের বিষয় ২৪ তারিখ সকালে যখন আমরা পুণে বিমাবন্দরে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম, স্থানীয় পুলিশ আমাদের যেতে দেয়নি। আমরা অনেক অনুরোধ করেছি। আমাদের টিকিট দেখিয়েছি। কিন্তু তাঁরা বলেন, ২৩ মার্চ রাত ন’টা থেকে পুণেতে কার্ফু শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই কার্ফু সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ঘোষণা ছিল না। অথবা স্থানীয় ভাষায় ঘোষণা করা হয়েছিল।
আমাদের অনুরোধ, আমরা যাতে নিজের জায়গায় ফিরে যেতে পারি, তার কিছু ব্যবস্থা করুন। সরকারের পক্ষ থেকে ঘরে ফেরার কোনও ব্যবস্থা করলে খুব উপকার হয়। আর যদি তেমন কোনও ঘোষণা হয়, সেটা যেন সঠিক ভাবে খবরের মাধ্যমে জানানো হয়। না হলে ট্রেন বা বিমান চালু হলেও স্থানীয় প্রশাসন আমাদের বিমানবন্দরে বা স্টেশনে পৌঁছতেই দেবে না।
সুদীপ চট্টোপাধ্যায়
শ্রীরামপুর, হুগলি
মোবাইল ৯৮৩০৩০৫৫৭১
যে কোনও মূল্যে বাড়ি ফিরতে চাই
অফিসের কাজের জন্য ইন্দওরে আটকে পড়েছি। এখানে থাকার মতো কোনও উপায় নেই। দোকানপাট থেকে শুরু করে সব কিছু বন্ধ। কলকাতায় আমার মা, স্ত্রী এবং ৮ বছরের মেয়ে রয়েছে। খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। এখন যে কোনও মূল্যে বাড়ি ফিরতে চাই। ফেরার অনুমতি পাওয়ার জন্য সাহায্য করুন প্লিজ।
অমিত দাস
মোবাইল: ৯৮৩০৫২৮৫৯৬, ৮২৫০৫৭২৩৭৭
চিকিৎসার জন্য ভেলোরে এসে আটকে পড়েছি
আমার ৭ বছরের মেয়ের চিকিৎসার জন্য ভেলোরে এসে পরিবারের তিন জন লকডাউনের জন্য আটকে পড়েছি। গত ১২ মার্চ থেকে এই হোটেলে ছিলাম। ১৮ মার্চ থেকে ২০ মার্চ বাড়ি ফেরার টিকিট না পেয়ে ২১ মার্চ কোয়েম্বাটোরে আসি। বিমানে বাড়ি ফেরার জন্য ২৬ মার্চ টিকিট পাই। কিন্তু তার পর লকডাউন হয়ে যায়। আমার বাড়িতে মা আর আমার ২ বছরের মেয়ে আছে। আমাদের বাড়িতে ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
রাজকুমার বেরা
শম্ভুনাথ দাস লেন, কলকাতা
মোবাইল: ৯৩১৩৬০১০৪৫
মেয়ের চাকরি নেই, বাড়িও ফিরতে পারছে না, কিছু করুন
লকডাউনের জন্য আমার মেয়ে (২৩) পুণেতে আটকে পড়েছে। কলকাতার বাড়িতে ফিরতে পারছে না। ও খুব দুশ্চিন্তা ও হতাশার মধ্যে রয়েছে। ওর এখন চাকরিও নেই। তাই আমার এয়ে যাতে ফিরতে পারে, তার ব্যবস্থা করুন প্লিজ। কিছু ব্যবস্থা করলে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
পুলক দাস
কালিতলা পশ্চিম, লস্করপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
মোবাইল:৯০৫১৯৪৩৮৬৫