‘কেকেআরকে কড়া বিবৃতি মোহনবাগানের’ (২২-৫) শীর্ষক সংবাদের মূল ঘটনাপ্রবাহ আমাদের বিস্মিত করে। প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমর্থকেরা নিজেদের দলের সমর্থনে পতাকা, জার্সি, প্রতীক ইত্যাদি নিয়ে বা পরে মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না— এমন নজির সমগ্র বিশ্বে কেউ খুঁজে পাবেন বলে মনে হয় না। অথচ, গত ২০ মে কেকেআর কর্তৃপক্ষ লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর সঙ্গে খেলার দিন নিজেদের মাঠ বলে পরিচিত ইডেনে পুলিশের সহায়তায় এই ধরনের মধ্যযুগীয় আচরণ করেন বলেই জানা যায়। যদিও পরবর্তী সময়ে এক লিখিত বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ এর দায় সম্পূর্ণ আইপিএল-এর অ্যাম্বুশ মার্কেটিং বিরোধী দলের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। কিন্তু নিজেরা এক বারও এই ঘটনার জন্যে দুঃখপ্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনিন। তাঁদের বিবৃতির একটা অংশ খুবই হাস্যকর মনে হয়, যেখানে কোনও দলের প্রতীক সমেত জার্সি পরে মাঠে ঢোকাকে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের অবৈধ বিপণন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর সঙ্গে কোনও ক্রীড়া দলের সমর্থক মাঠে কী ভাবে এবং কী বিপণন করতে পারেন, এই নিয়ে যদি তাঁরা একটা ধারণা দেন, তা হলে পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা নথি হতে পারে। আসলে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ওই দিনের খেলায় সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলার ক্ষেত্রে কোনও যদি বাধা না থাকে, তবে সমর্থকদেরও অধিকার আছে ওই রঙের পতাকা নিয়ে বা জার্সি পরে মাঠে প্রবেশের। আরও আশ্চর্যের যে, সে দিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতীক সমেত জার্সি পরা সমর্থকদেরও মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। অথচ, এর আগে অনেক খেলাতেই, বিশেষত চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর খেলার দিন ওই দু’দলের জার্সি পরে অনেক দর্শকই ইডেনে খেলা দেখেছেন। তখন কিন্তু তাঁদের কোনও ভাবেই বাধা দেওয়া হয়নি।
আসল কারণ লুকিয়ে আছে অন্যত্র। স্থানীয় খেলোয়াড় এক জনও না থাকার কারণে এমনিতেই কেকেআর দলের প্রতি বাংলার দর্শকদের আগ্রহ খুবই কম। এর পরে সবুজ-মেরুন এবং তার সঙ্গে মাঠে যদি লাল-হলুদেরও উপস্থিতি চোখে পড়ে, তা হলে মাঠে স্থানীয় সমর্থন বিপক্ষে গিয়ে তার প্রভাব দলের খেলায় পড়বে, এমন আশঙ্কা ছিল কেকেআর কর্তৃপক্ষের। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কেকেআর দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় খেলোয়াড়দের গুরুত্ব কমতে কমতে বর্তমানে শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার দর্শকদের অধিকাংশই আর এই দলকে নিজেদের বলে মনে করেন না। তার সঙ্গে মনে রাখা প্রয়োজন, কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল দলের দর্শকের কাছে আগে তাঁদের দল, তার পরে কেকেআর। তাই আগামী দিনে এই ধিকি ধিকি আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলে, তা ইডেনে কেকেআর-এর কাছে বুমেরাং হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যদিও সিএবি আইপিএল-এর সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়, তবুও খেলার স্বার্থ-সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা তাদের নেওয়া জরুরি বলেই মনে হয়। সমস্ত ক্রীড়াপ্রেমী আশা রাখেন যে, আগামী দিনে শুভবুদ্ধির উদয় হয়ে পরাজিত হবে এই অ-খেলোয়াড়োচিত মনোভাব।
অশোক দাশ
রিষড়া, হুগলি
উঁচু প্ল্যাটফর্ম
আমি এক জন ক্রনিক আর্থারাইটিসের রোগী। প্রায়শই চুঁচুড়া-বর্ধমান ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়। বর্ধমান প্ল্যাটফর্মে নামার সময়ে আমাকে অন্যের সাহায্য নিয়ে নামতে হয়, যে-হেতু প্ল্যাটফর্মটি ট্রেন থেকে অনেকটাই নিচুতে অবস্থিত। ফলে অনেক সময়ই আমাদের মতো মানুষদের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। বর্ধমান পূর্ব-রেলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। পূর্ব-রেল কর্তৃপক্ষের বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্ত্বেও এই গুরুতর সমস্যার সমাধান হয়নি। তবু কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানাই।
অর্পিতা সাহা
চুঁচুড়া, হুগলি
ঝুঁকির পারাপার
শিয়ালদহের নীলরতন সরকার হাসপাতালের সামনে রাস্তা পারাপার করা ভীষণ বিপজ্জনক। ওষুধের দোকানগুলি রাস্তার অন্য দিকে। এখানে একটা ফুটব্রিজ আছে, কিন্তু অনেক সিঁড়ি ভাঙতে হয়। সে জন্য যাঁরা দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসেন, তাঁরা ওষুধ কেনার জন্য এমনিই রাস্তা পারাপার করেন বিপদের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে। যদিও ট্র্যাফিক পুলিশ সহায়তা করেন। ট্র্যাফিক পুলিশ বিভাগকে অনুরোধ, বুম ব্যারিয়ার বসিয়ে পথচারীদের সুরক্ষার কোনও বন্দোবস্ত করা যায় কি না, সেই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করুন।
মোহনলাল ভট্টাচার্য
কলকাতা-২৮
খেসারত
কেন্দ্রীয় সরকার দু’হাজার টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমজনতার দশ টাকার নোটও কি ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে? কারণ, বাজারচলতি অধিকাংশ দশ টাকার নোট অত্যন্ত জীর্ণ, ছেঁড়া-ফাটা-ময়লা। এ ব্যাপারে আমার একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। সম্প্রতি আমাদের গড়িয়া স্টেট ব্যাঙ্ক শাখায় টাকা তুলতে গিয়ে অন্য টাকার সঙ্গে একটি দশ টাকার বান্ডিল চেয়েছিলাম। পরে ব্যাঙ্কেই ওই দশ টাকার সিলড বান্ডিলটা খুলে দেখি তার কিছু নোট অতি জীর্ণ। আমি ওই নোটগুলো পাল্টে দিতে অনুরোধ করি। কাউন্টার থেকে বলা হয়, টাকাগুলি পাল্টানো যাবে না। পরিবর্তে ওগুলোকে অ্যাকাউন্টে জমা করে দিতে বলা হয় আমাকে। অগত্যা একটা ফর্ম ফিল আপ করে আবার লাইনে দাঁড়াতে হল। শেষে দেখা গেল, কাউন্টার থেকে একটি গ্রিন রেমিট কার্ড আমাকে ধরিয়ে কুড়ি টাকা কেটে বাকি টাকা আমার অ্যাকাউন্টে জমা করা হল। প্রবীণ নাগরিক হিসাবে যা হয়রান হলাম তাতে প্রশ্ন, ওই অতি জীর্ণ দশ টাকার নোটগুলো ব্যাঙ্ক বান্ডিলে রাখে কেন? আর সেগুলো পাল্টাতে গেলে কুড়ি টাকা খেসারতই বা দিতে হবে কেন?
অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা-৮৪
উপগ্রহ চিত্র
দেশে আরও একটি বড় ট্রেন-দুর্ঘটনা হয়ে গেল। অথচ, দুর্ঘটনা ঘটার মুহূর্তে ঠিক কী হয়েছিল, এখনও জানা যায়নি। গুগলের সদর দফতরে কয়েকটি বৈঠকে অংশগ্রহণের সময় শুনেছিলাম আমেরিকা চাইলে তাদের রাস্তাঘাটের লাইভ ছবি উপগ্রহের মাধ্যমে দেখতে পারে, যা দুর্ঘটনাজনিত কারণ বার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে দিক দিয়ে দেখতে হলে সম্প্রতি ওড়িশার ট্রেন-দুর্ঘটনার ছবি কোনও না কোনও উপগ্রহের মাধ্যমে ধরা পড়েছে। ভারতীয় রেলের উচিত অবিলম্বে নাসা বা গুগল-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে সে দিনের উপগ্রহের তোলা ছবির মাধ্যমে ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করা। দুঃখের বিষয়, সেই প্রয়াস এখানে করা হয় না।
শৌনক দাস
শ্রীরামপুর, হুগলি
গার্ডরেল চুরি
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর জি টি রোড সংযোগকারী ফ্লাইওভারের নীচের দিকের রাস্তার ধারের গার্ডরেল অনেক জায়গায় খুলে নেওয়া হয়েছে। কাজিপাড়া মোড় থেকে মন্দিরতলাগামী রাস্তাটির অন্য দিকে ব্যস্ত দোকানপাট, বাড়িঘর। এ দিক থেকে হামেশাই লোকজন রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে রাস্তা পেরিয়ে যাতায়াত করেন। অনেক সময় ছোট শিশুরাও ওই ফাঁক দিয়ে ফ্লাইওভারের রাস্তায় চলে আসে। ব্রিজ থেকে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যানবাহন চলে এই পথে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আশা করি, কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করবেন এবং যে বা যারা এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের শাস্তিবিধান করবেন।
শিবপ্রসাদ রায়চৌধুরী
শিবপুর, হাওড়া