জলপাইগুড়ির দুর্গাবাড়িতে সিঁদুরখেলা।
শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন।
এই প্রথাটির মধ্যে ইতির প্রত্যক্ষ একটি স্পর্শ আছে। দৈনন্দিন রোজনামচার কিছু গোয়ালার গলি পেরিয়ে আকাশছোঁয়া এক আকাঙ্খা আছে। যাবতীয় মালিন্যের ঊর্ধ্বে উঠে জীবনদেবতার আবাহন আছে। ধর্মবর্ণ ভেদরেখাকে মুছে মিলনের মন্ত্রোচ্চারণের অঙ্গীকার আছে যেন। যে কারণেই প্রথাটি যেন আবহমানই থেকে গেল। চিরন্তন।
এমনিতে বাতাসে এখন বিসর্জনের বাজনার রেশ, বিষাদের সুর। উমার পিতৃগৃহ যাত্রার মধ্যে দিয়েই গত কয়েকদিনের উৎসবের মঞ্চের আনুষ্ঠানিক যবনিকা পতন। কিন্তু ক্লিষ্ট হৃদয় যাতে সেখানেই জীবনের যাত্রাকে থমকে না দেয়, সেই জন্যই মিষ্টি মুখ, আলিঙ্গন—জীবনের আমন্ত্রণ নতুন করে। এই বার্তাটা নেওয়ার জন্যও প্রস্তুত হওয়ার দরকার। কর্কশতা, কলহ নয়, মিষ্টতা। আক্রমণ, আঘাত, দুরভিসন্ধির জাল নয়, আলিঙ্গন। এই পথে না চললে আমাদেরই সর্বনাশ, এ কথা বোঝার সময় এসেছে।
অসুর সর্বতো বিরজমান। তার বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াইয়ের অঙ্গীকার আছে ওই আলিঙ্গনেই। আমরা প্রস্তুত কি না, তা প্রমাণের দায় আমাদেরই।