দিল্লি ডায়েরি। —ফাইল চিত্র।
চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন এস এস জামির। নাগাল্যান্ডের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মণিপুর থেকে শুরু হয়ে নাগাল্যান্ডের মধ্যে দিয়ে প্রায় আড়াই দিন ধরে চলেছিল রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। তার জন্য নানা রাজ্য থেকে সাংবাদিকেরা গিয়েছেন। অনেকেই নিরামিষাশী। জামির ঘোষণা করলেন, সাংবাদিকদের কত জন নিরামিষাশী, তাঁকে আগে জানিয়ে দিতে হবে। না হলে নাগাল্যান্ডের ছোট শহর বা গ্রামের মধ্যে নিরামিষের ব্যবস্থা করা বেশ কঠিন। আমিষ খাবার বিভিন্ন রকম রয়েছে। সে নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। মণিপুর রাজ্যের মধ্যেই সেনাপতি জেলায় নিরামিষ নিয়ে বেশ সমস্যা হয়েছিল। যাত্রার দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজনের সময় ভাত, ডাল, মাছের ঝোলের সঙ্গে ছিল চানার তরকারি। অনেকে নিরামিষ ভেবে সেটি মুখে তোলার পর জানতে পারলেন তাতে শুয়োরের চর্বি চৌকো করে কেটে মেশানো হয়েছে। আর নিতান্ত নিরীহ সালাড বানানো হয়েছিল শুঁটকি মাছ সহযোগে।
আইনজীবী বাবাসাহেব
লন্ডন থেকে ফিরে বম্বে হাই কোর্টে ওকালতি শুরু করেছিলেন বি আর আম্বেডকর। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হয়ে আসার আগে সেই একই আদালতে বিচারপতি হিসাবে কাজ করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। কিছু দিন আগেই সুপ্রিম কোর্টে আম্বেডকরের আইনজীবীর পোশাকে মূর্তি উন্মোচন হয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা হল, সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গেলে এখন দেশের সংবিধান প্রণেতা আম্বেডকর যে সব মামলায় সওয়াল করেছিলেন, তার সমস্ত নথি এক জায়গায় মিলছে। আম্বেডকরের বিভিন্ন লেখা, বই তো আছেই।
সফর: ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় নাগাল্যান্ডের কোহিমায় রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
তরুণ মুখ খুঁজতে
বিরোধী জোটে যতই চাপ তৈরি হোক, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী একলা চলার নীতি ঘোষণা করে ফেলেছেন। ২০২৪-এর ভোটযুদ্ধে ঝাঁপানোর প্রস্তুতিও শুরু করেছে দল। দলে তাঁর উত্তরাধিকারী এবং বিএসপি-র জাতীয় সমন্বয়কারী নেতা আকাশ আনন্দ রাজ্যের যুব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে দলের সংযোগ করার জন্য একটি মোবাইল নম্বর ঘোষণা করলেন। ওই নম্বরে একটি মিস্ড কল দিয়ে বিএসপি-র সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে। যিনি মিস্ড কল দেবেন, দল থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। মায়াবতীর মত, দলে যেন ৫০ শতাংশ যুবসমাজের প্রতিনিধিত্ব থাকে। যুব নেতা আকাশ নেত্রীর নির্দেশ পালনে এই নতুন পদ্ধতির কথা ভেবেছেন।
তা-ই সই
রামমন্দির উদ্বোধনীর অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যনির্বাহী সম্পাদক অলোক কুমার। অনবরত বেজে যাচ্ছে তাঁর ফোন। সকলেরই আবদার ২২ তারিখের নিমন্ত্রণপত্র চাই। ছোট বড় নেতারা তো বটেই, নিমন্ত্রণপত্র চাইছেন বিজেপি সাংসদেরাও। এক সাংসদ নিমন্ত্রণপত্র চাইতেই অলোক কুমার বললেন, লোকসভার সাংসদ পদের টিকিট দিতে পারি, কিন্তু ২২ তারিখের নিমন্ত্রণপত্র দিতে পারব না। সাংসদের প্রত্যুত্তর, তা হলে আমন্ত্রণপত্র চাই না, লোকসভার টিকিটটাই দিয়ে দিন। ওটা অন্তত নিশ্চিত হোক।
দূরে থাকাই ভাল
অভিনয় জীবনে যেমন তাঁর মন্ত্র পরিমিতি ও শৃঙ্খলা, অভিনয়ের বাইরেও তাই। তিনি পঙ্কজ ত্রিপাঠী। সেলুলয়েডের পর্দায় অভিনয় করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর চরিত্রে। শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই রাজনৈতিক মহল ব্যস্ত জোর আলোচনায়। যাতে পরে কোনও বিতর্ক না হয়, তাই পঙ্কজ ত্রিপাঠী নিজেই নিঃশব্দে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় আইকনের ভূমিকা থেকে অব্যাহতি চেয়ে নিয়েছেন। ২০২২ সালে এই মর্মে তাঁর সঙ্গে কমিশনের চুক্তিপত্র সই হয়েছিল। ত্রিপাঠীর কাজ ছিল ভোটারদের সচেতনতা বাড়ানো। কিন্তু বাজপেয়ীর জীবন অবলম্বনে তৈরি ছবি মুক্তির পর তাঁর সরকারপন্থী ভূমিকা নিয়ে যাতে প্রশ্ন উঠতে না পারে, তাই এই পদক্ষেপ।
শিল্পী: ‘ম্যায় অটল হুঁ-র’ ‘ট্রেলার লঞ্চ’ অনুষ্ঠানে পঙ্কজ ত্রিপাঠী। —ফাইল চিত্র।
লেখার নেশা?
লেখকসত্তা জেগে উঠেছে কেন্দ্রীয় সার-রসায়ন মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়ার। বুধবার উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় উদ্বোধন করলেন মাণ্ডবিয়ার বই ফার্টিলাইজ়িং দ্য ফিউচার: ভারত’স মার্চ টুওয়ার্ডস ফার্টিলাইজ়ার সেল্ফ-সাফিশিয়েন্সি। একটি বই লিখে ভিন্ন অভিজ্ঞতার স্বাদ পেয়েই মাণ্ডবিয়া ঝাঁপিয়েছেন দ্বিতীয়টির জন্য। তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রীও বটে। তাঁর পরের বইটির বিষয়, ভারত কী ভাবে অতিমারি সামলেছিল। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে কোভিড মোকাবিলায় মোদী সরকারের ভূমিকার বিশদ বিবরণ থাকবে।