দিল্লি ডায়েরি। —ফাইল চিত্র।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে মন্দির পর্যটনকে সর্বব্যাপী করতে চাইছে বিজেপি সরকার। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের বিষয়টি তো রয়েছেই, সঙ্গে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছে ভারতের এমন সব মন্দিরকেও সামনে নিয়ে আসার উদ্যোগ শুরু হল। সম্প্রতি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব একটি নতুন অ্যাপ আনল বাজারে। নাম ‘টেম্পলস নেট’। উদ্বোধন করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা মিলিন্দ পরান্দে, অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির স্বামী জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী। বিজেপির আরও কিছু নেতার উপস্থিত থাকার কথা ছিল, কিন্তু ওই দিনই ভোপালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বুথ সমাবেশ থাকায় তাঁরা অ্যাপ উদ্বোধনে থাকতে পারেননি। তবে তাঁদের কাঁধে এই অ্যাপের গুণকীর্তন করার দায়িত্ব বর্তেছে।
সূচনা: অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি মন্দিরের ভূমিপূজায় প্রধানমন্ত্রী। উইকিমিডিয়া কমনস।
নামে কি বা...
ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। হয়ে গেলেন বিবেক ওবেরয়। সবই মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহের দৌলতে। আসলে অমিত শাহ মণিপুরের হিংসা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন দিল্লিতে। সেখানে কংগ্রেসের হয়ে ছিলেন ইবোবি। তৃণমূলের হয়ে ডেরেক। বৈঠকে ইবোবি ও ডেরেকের মতের আদানপ্রদান হয়। ইবোবিকে কেন বলার জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হল না, তা নিয়ে বৈঠকের পরে ডেরেক সরব হন। ইবোবিও বৈঠকের পরে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতার কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু মুখ ফস্কে ডেরেক ও’ব্রায়েনের বদলে অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের নাম বলে ফেলেন। পাশে বসে মুচকি হাসেন জয়রাম রমেশ।
সবাই বুঝবে না
মোদী সরকারের ন’বছরে সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই বিজেপির দফতরে গিয়ে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। সেখানে নিজের নিজের মন্ত্রকের কাজও তুলে ধরছেন তিনি। উপরমহল থেকে সে রকমই নির্দেশ জারি হয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু নিতিন গডকড়ী। তিনি নিজের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকেই সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। যুক্তি ছিল, যে সব সাংবাদিক সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের খবর করেন, তাঁরাই মন্ত্রকের কাজ বুঝতে পারবেন। বিজেপি দফতরে গিয়ে রাজনৈতিক সংবাদদাতাদের সামনে মন্ত্রকের কাজ বুঝিয়ে লাভ হবে না।
যোগ্য হাতে
সাংবাদিক হিসাবে জাতীয় স্তরে বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের শীর্ষপদে কাজ করেছেন। তার পরে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে হেরে গিয়েছেন। কিন্তু সুপ্রিয়া শ্রীনতে কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কংগ্রেস এখন বিজেপির আইটি সেলের সঙ্গে সমানে সমানে পাল্লা দিচ্ছে। কংগ্রেসের সব নেতাই তা মানছেন। সুপ্রিয়ার বাবা হর্ষ বর্ধন কংগ্রেসের মহারাজগঞ্জ থেকেই কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। সুপ্রিয়া বলেন, তাঁর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর ব্যক্তিগত স্তরে পরিচয় ছিল না। হর্ষ বর্ধনের প্রয়াণের পরে রাহুল তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন। তখন থেকেই রাহুল সম্পর্কে তাঁর ধারণা বদলে যায়।
এক বছরের তালিকা
বিজেপিতে তিনি হাইটেক নেতা হিসাবে পরিচিত। সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় হলেই নিজের কম্পিউটারে সেই সাংবাদিকের জন্মদিনটি তুলে রাখেন তিনি, নির্দিষ্ট দিনে শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠান। সেই বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘের কম্পিউটারের মগজে আগামী এক বছরের যাবতীয় পরিকল্পনা ‘স্টোর’ করা আছে। কবে কোন দিনে দলের কী অনুষ্ঠান রয়েছে তা মাউসের এক ক্লিকেই বলে দিতে পারেন তিনি। ২০২৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত রয়েছে তালিকা। চুঘে জানালেন, ওই দিনে নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন যে!
সচেতন: কাগজের গেলাস।
সচেতন জলপান
দিল্লির উদ্যোগ ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রকে এখন মন্ত্রীর দফতর থেকে যে কোনও বৈঠকে পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে কাচের জগে। সঙ্গে থাকছে কাগজের গেলাস, কাগজেরই ঢাকনা-সহ। প্লাস্টিকের জলের বোতল পুরোপুরি নিষিদ্ধ। উদ্যোগ ভবনের কর্তাদের বক্তব্য, পরিবেশের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।