Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: সনিয়াই পৌঁছে গেলেন খড়্গের ঘরে

বুধবার সংসদ ভবনে সনিয়া কাউকে কিছু ভাবার সময় না দিয়েই উঠে দাঁড়িয়ে খড়্গের ঘরের দিকে হাঁটা লাগালেন। সেখানেই দেখা হল। জল্পনারও অবসান হল।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায় এবং অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৫:৩৭
Share:

দিল্লি ডায়েরি। ফাইল ছবি।

সংসদ ভবনের একতলায় কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর ঘর ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের মধ্যে দূরত্ব মেরেকেটে একশো মিটার। বুধবার সংসদ ভবনের মধ্যেই খড়্গের সঙ্গে সনিয়ার কথা বলার ছিল। কংগ্রেসের সাংসদদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হল— এখন কি ‘ম্যাডাম’ হেঁটে কংগ্রেস সভাপতির ঘরে যাবেন? না কি, তাঁকে সনিয়ার ঘরে ডেকে পাঠানো হবে? ওই এক প্রশ্নেই যেন খড়্গে সভাপতি হওয়ার পরেও গান্ধী পরিবারের হাতে কংগ্রেসের রিমোট কন্ট্রোল কি না, তার উত্তর লুকিয়ে ছিল। সনিয়া কাউকে কিছু ভাবার সময় না দিয়েই উঠে দাঁড়িয়ে খড়্গের ঘরের দিকে হাঁটা লাগালেন। সেখানেই দেখা হল। জল্পনারও অবসান হল।

Advertisement

অমর প্রেম

এত প্রেম আমরা কোথা পাব নাথ! সপ্তাহ শেষে সংসদের সেন্ট্রাল হলে চা আর টোস্টের সঙ্গে এটাই ছিল আড্ডার প্রধান মুখরোচক বিষয়। বাংলার মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি সাংসদরা বেশি মুখর। তৃণমূলীরাও অগত্যা উদাসীন হয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন প্রেমাড্ডায়! কৌতূহলী ভিনরাজ্যের সাংসদরাও জেনে নিচ্ছেন ঠিক কী ঘটেছিল। বিষয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক ভার্চুয়াল হাজিরায় সঙ্কেতে আলাপ। এক সাংসদের তো মনে পড়ে গেল আশা ভোঁসলের গাওয়া “চোখে চোখে কথা বলো”! তবে এত লাঞ্ছনা এবং চাপের পরেও যে এতটা ভালবাসা পার্থর বুকে জেগে রয়েছে, তাতে দলমত-নির্বিশেষে অনেকেই বিস্মিত। আলোচনার পর তাঁরা সহমত, এই হল প্রকৃত প্রেম!

Advertisement

সহযোগী: সনিয়া গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খড়্গে। ২৫ ফেব্রুয়ারি। ছবি: পিটিআই।

হাজির ইডি-কর্তাও

শনিবার সন্ধ্যা। দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে নৈশভোজে অর্থ মন্ত্রকের সমস্ত শীর্ষকর্তা আমন্ত্রিত। হাজির অর্থমন্ত্রীও। অদূরেই ইডি-র সদর দফতরে তখন বিআরএস নেত্রী, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দেখা গেল, ইডি-র ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্রও সেখানে হাজির। কারণ ইডি-ও অর্থ মন্ত্রকের অধীনে। তাঁকে দেখে সবাই কবিতার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই অবশ্য মোবাইলে কথা বলতে বলতে নৈশভোজ থেকে উধাও হয়ে গেলেন ইডি-র ডিরেক্টর।

তবু গায়ে গন্ধ নেই

তিনি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু অতিরিক্ত সাবান মাখায় বিশ্বাসী নন মনসুখ মাণ্ডবিয়া। করোনার সময়ে গোটা দেশ যখন হাতশুদ্ধি পকেটে নিয়ে ঘুরছে, তখনও বিশেষ সাবান মাখার পক্ষপাতী ছিলেন না তিনি। তাঁর যুক্তি, এতে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। স্নানের সময়ে সাবান ব্যবহার করাও তাঁর না-পসন্দ। তাঁর প্রশ্ন, অতীতে যখন সাবান ছিল না তখন কি লোকে স্নান করতেন না! তার পরেই হেসে বলেন, সাবান মাখি না বলে আমার শরীরে কিন্তু কোনও বাজে গন্ধ পাবেন না।

সাংসদ: জয়া বচ্চন ফাইল ছবি।

‘বুলন্দ আওয়াজ’

‘নাটু নাটু’ ও দি এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স-এর অস্কার-জয়ের পরে রাজ্যসভায় জয়া বচ্চন অস্কার-জয়ীদের অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় ফুট কাটলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখরের পুত্র নীরজ শেখর। নীরজ জয়ার দল সমাজবাদী পার্টি থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর ফুট কাটায় জয়া চটে লাল। নীরজকে ধমক দিয়ে চুপ করতে বললেন। তার পর বললেন, কথার মাঝে বিরক্ত করা নীরজের রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গলার আওয়াজ সকলেরই রয়েছে। ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’-এর স্ত্রী-র রাগ কমাতে চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বললেন, আপনার ‘আওয়াজ’ নয়, ‘বুলন্দ আওয়াজ’ রয়েছে। জয়ার রাগ পড়ল। তিনি হাসি মুখে বক্তৃতা শেষ করলেন।

তিহাড় শাখা

অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে ইডি-র হেফাজতে থাকলেও, ক’দিন পরেই তিহাড় জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই গরুপাচার কাণ্ডে ডাক পড়েছে মুর্শিদাবাদের আরও দুই তৃণমূল বিধায়কের। বিজেপির এক সাংসদের কটাক্ষ, “আগামী ছ’মাসে তৃণমূলের নেতায় ভরে যাবে তিহাড় জেল। সেখানেই মনে হচ্ছে তিহাড় তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় খুলে ফেলতে পারবেন তাঁরা। দিল্লি দখলের স্বপ্ন পূরণ হবে মুখ্যমন্ত্রীর।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement