দিল্লি ডায়েরি। ফাইল চিত্র।
এই বছরটি জোয়ার-বাজরা-রাগি খাদ্যশস্য বর্ষ। ওই খাদ্যশস্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে গত ২০ ডিসেম্বর মিলেট খাদ্যশস্যের খাবার পরিবেশন হয়েছিল সংসদে। মধ্যাহ্নভোজে বাজরার ছোট ছোট হাতে গড়া রুটি খেয়ে আপ্লুত বাংলার এক সাংসদ। বললেন, “সঙ্গে ছোট ছোট খাসির মাংস থাকলে পুরো জমে যেত, বুঝলেন।” বিজেপি সাংসদ হয়ে ওই কথা বলছেন কী করে! স্মিত হাস্যে বিজেপির ওই সাংসদের মন্তব্য, “দাঁড়ান না, বাংলা থেকে এক বার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হলেই সব হবে। বদলে ফেলা হবে মেনু।” ঠিক যে ভাবে রেলমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদের মেনুতে লুচি-তরকারি, মাছের আইটেম জুড়েছিলেন।
স্বাদু: জোয়ার-বাজরার রুটি সহযোগে দ্বিপ্রাহরিক আহারে সাংসদরা
বাংলার মুখ ক্ষুদিরাম
ভারতীয় সিনেমায় এখন দক্ষিণের রমরমা। এ বার ক্ষুদিরাম বসুর উপরে সিনেমা বানালেন পরিচালক ডিভিএস রাজু। গোয়ায় আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশংসিত হয় ভারতের প্রথম শহিদ ক্ষুদিরামের উপরে নির্মিত ওই সিনেমা। গত ২২ ডিসেম্বর দিল্লির মহাদেব রোডের অডিটোরিয়ামে সাংসদদের জন্য বিশেষ স্ক্রিনিং-এর আয়োজন হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন সুশীল মোদী, মনোজ তিওয়ারি, নিশীথ প্রামাণিক, মহুয়া মৈত্রের মতো সাংসদেরা। তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড়, হিন্দি ও বাংলা ভাষায় ক্ষুদিরামের এই বায়োপিক দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতারা।
শিশুজীবনের গল্পকার
কেউ বাড়িতে পরিচারকের কাজ করত। কাউকে জোর করে ভিক্ষা করানো হত। কেউ কাজ করত খনিতে। কাউকে আবার ভগবানের নামে বলি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সমাজের অন্ধকার কোণ থেকে উদ্ধার করে আনা শিশুদের জীবনের গল্প নিয়ে এ বার কলম ধরেছেন নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী। দাসত্ব, শ্রমিক দশা থেকে শিশুদের শৈশব রক্ষা করার জন্যই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন কৈলাশ। এই সব শিশুর বারোটি বাস্তবকাহিনি এ বার তাঁর কলমে। তুম পহলে কিউঁ নহি আয়ে নামের সেই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে সত্যার্থী বললেন, “আমি তো সাহিত্যিক নই। এই গল্পগুলো লিখতে হয়তো বারো-তেরো বছর লেগেছে। কিন্তু গত চার দশক ধরে এই সব কাহিনি আমি বুকে নিয়ে বেড়াচ্ছি। এই সব গল্প আসলে আমি স্মৃতিকথা হিসাবেই লিখেছি।”
বিশ্বাসভাজন
নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদী তাঁকে কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকে নিয়ে আসেন। অর্থসচিব হিসেবে অবসর নেন। তাঁর আমলেই জিএসটি চালু হয়। অবসরের পরেই বরোদা ব্যাঙ্কের নন-এগজ়িকিউটিভ চেয়ারম্যান, গুজরাত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়াও গুজরাতের দীনদয়াল শক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গুজরাত এনার্জি রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট, আইআইএম-বেঙ্গালুরুর পরিচালন পর্ষদে রয়েছেন হাসমুখ আঢিয়া। এ বার তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের মুখ্য উপদেষ্টা। নিন্দুকরা বলছেন, মোদী সরাসরি গুজরাত সরকারের কাজে নজরদারির ব্যবস্থা করলেন।
পিতামহী সনিয়া
সংসদের অধিবেশন চলছে। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা তখনও দিল্লি পৌঁছয়নি। এরই মধ্যে সনিয়া গান্ধীকে নিয়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা পৌঁছে গেলেন দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে বিকানের হাউসে। তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন রবার্ট বঢরাও। পুরো গান্ধী পরিবার? কী ব্যাপার? বিকানের হাউসে প্রিয়ঙ্কার ছেলে রেহান বঢরার তোলা ছবির প্রদর্শনী চলছে। দিদা একমাত্র নাতির ফোটোগ্রাফির প্রদর্শনী দেখতে এসেছেন। রেহানও হাজির ছিলেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কাই ছেলের তোলা ছবি, ইনস্টলেশন ঘুরিয়ে দেখালেন মা’কে। প্রদর্শনীর নাম ‘অনুমান’ কেন, নাতির থেকেই জেনে নিলেন সনিয়া।
চিত্র-চাল: রেহান বঢরার ছবি প্রদর্শনী
মিনতি
অনেক ক্ষণ ধরে এক আইনজীবী কাকুতিমিনতি করছিলেন। মামলার পরবর্তী শুনানি যেন ১৩ জানুয়ারির পরে রাখা হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ওই দিনের পরে কি শুভ সময়? আইনজীবী জানালেন, আসলে ওই দিন তাঁর স্ত্রীর জন্মদিন। প্রধান বিচারপতি বললেন, ঠিক, এর থেকে বড় কারণ আর কিছু হতে পারে না।