Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: ইয়েচুরির প্রভাব কি কংগ্রেসেই বেশি?

কংগ্রেসের অনেকে মনে করেন, দলে বাম রাজনীতির আঁতুড়ঘর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা নেতাদের প্রভাব বাড়ছে।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী ও অগ্নি রায়, অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ০৬:২৮
Share:

দিল্লি ডায়েরি। ফাইল চিত্র।

আরএসপি-র জাতীয় সম্মেলনের ফাঁকে এক আলোচনা সভায় কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা হাজির ছিলেন। রমেশ সেখানেই হাসতে হাসতে বললেন, “কখনও কখনও ইয়েচুরির প্রভাব সিপিএমের থেকে কংগ্রেসে বেশি। রাজার প্রসঙ্গেও একই কথা বলা যায়।” কংগ্রেসের অনেকে মনে করেন, দলে বাম রাজনীতির আঁতুড়ঘর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা নেতাদের প্রভাব বাড়ছে। অনেকেই জানেন, রাহুল গান্ধী অনেক বিষয়েই সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে আলোচনা করে থাকেন। মল্লিকার্জুন খড়্গে সভাপতি হওয়ার পরে তাঁর আস্থাভাজন নেতা সৈয়দ নাসির হুসেনের গুরুত্ব বেড়েছে। তিনিও জেএনইউ ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। সিপিআই ছেড়ে এসে জেএনইউ-এর ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার ভারত জোড়ো যাত্রায় হাঁটছেন। এতে ভাল হচ্ছে না মন্দ, তা নিয়ে অবশ্য জয়রামের মন্তব্যে নতুন করে কংগ্রেসের অন্দরে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

Advertisement

কুশীলব: কংগ্রেস দলেও গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন ডি রাজা ও সীতারাম ইয়েচুরি।

প্রযুক্তিপ্রিয়

১৯৬৬ সালের মডেলের অ্যাম্বাসাডর গাড়ি। তরুণ আইনজীবী হিসাবে সেটি চালিয়েই ঘুরে বেড়াতেন নতুন প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। সঙ্গে প্রবীণ আইনজীবীরা থাকলে বেশি ক্ষণ তাঁদের কথা শোনার জন্য ঘুরপথ ধরত তাঁর অ্যাম্বাসাডর। বিচারপতিদের মধ্যে চন্দ্রচূড় দীর্ঘ দিন ধরেই কম্পিউটার, আইপ্যাডে আদালতের কাজে অভ্যস্ত। প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরে এজলাসে নথি দেখতে চাওয়ায় এক আইনজীবী আইপ্যাড এগিয়ে দিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি মজা করে বললেন, “আইপ্যাড আমার হাতে দিলে আর ফেরত না-ও পেতে পারেন!”

Advertisement

ভ্রান্তিবিলাস

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর কাশ্মীর সফরের পর বিজেপির শ্রীনগর অফিস টুইট করে, “কমল কা ফুল, কমল কা ফুল, বিকাশ কা ফুল।” কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার কর্তা প্রশান্ত প্রতাপ সিংহ পাল্টা ছন্দ মিলিয়ে, সরস টিপ্পনী কেটে লেখেন, ‘ভেল পুরি, পানি পুরি, আলু পুরি, হরদীপ পুরি... চাটুকারিতা হো গয়ি পুরি?’ ভুলবশত এই পাল্টা টুইটে ‘লাইক’ দিয়ে বসেন খোদ হরদীপ! হইচই পড়ায় অবশ্য তড়িঘড়ি ‘আনলাইক’ করে দেন মন্ত্রী!

জুতোবদল

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ সম্প্রতি ফরিদাবাদের ইন্ডিয়ান বায়োলজিক্যাল ডাটা সেন্টার-এ গিয়েছিলেন। সুপারকম্পিউটার খচিত ধুলোহীন কক্ষে ঢোকার আগে আর পাঁচ জনের মতো বাদামি চামড়ার জুতোটা খুলেই ঢুকেছিলেন মন্ত্রী। সম্মেলন শেষে বেরিয়ে, পা গলালেন অন্যের কালো জুতোতে! কয়েক পা যেতেই নিরাপত্তাকর্মী ভুল ধরালেন। জিভ কেটে সে জুতো খুলে নিজের জোড়াটি পরে ফেলেন মন্ত্রিমশাই! তাঁর সঙ্গে একই গাড়িতে আসা এক কর্তার জুতো ছিল ওটি। ফেরার পথে নাকি মজা করে মন্ত্রী বলেছেন, এই বয়সে সবারই এই রকম ভুলচুক হয়েই যায়। কিছু ক্ষণ আগেই জিতেন্দ্র ওই সম্মেলনে তাঁর বক্তৃতায় জানিয়ে এসেছেন, আজকাল মানুষের আয়ু বেড়ে যাওয়ায় বুড়ো বয়সে অনেক রোগভোগও পোহাতে হচ্ছে।

ভাল খবর আসবে?

দাদু আগেই হয়েছেন। এ বার ঠাকুরদা হতে চলেছেন কংগ্রেসের নেতা, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল। হিমাচলের ভোট নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেই সবাইকে জানিয়েছেন, তাঁর পুত্র চৈতন্য ও পুত্রবধূ খ্যাতির ঘরে সন্তান আসতে চলেছে। কংগ্রেসের সবেধন নীলমণি দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে অন্যতম বঘেলকে কংগ্রেস হাই কমান্ড হিমাচলপ্রদেশের বিশেষ পর্যবেক্ষক করে পাঠিয়েছিল। ঠাকুরদা হতে চলার খুশির খবরের সঙ্গে কি হিমাচলের ভোটের ফলেও কংগ্রেসের জন্য বঘেল খুশির খবর এনে দিতে পারবেন!

খোশমেজাজ: ভূপেশ বঘেল।

জসিডির দুর্দিন?

হুটহাট পাল্টে যাচ্ছে স্টেশনের নাম। ইলাহাবাদ স্টেশন হয়ে গিয়েছে প্রয়াগরাজ। ফৈজ়াবাদ অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট। এ বার জসিডি স্টেশনের নাম বাবা বৈদ্যনাথ করার দাবিতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি দিলেন ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর যুক্তি, দেওঘরের বৈদ্যনাথ ধামে যেতে হলে তো জসিডি হয়েই যেতে হয়। অতীতে ‘পশ্চিম’ বলতে বোঝা জসিডি-র সঙ্গে বাঙালির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, নামকরণের ফাঁদে পড়ে এ বার কি বাংলার ‘পশ্চিম’ জসিডিও মুছে যাবে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement