Debendra Farnabis

দিল্লি ডায়েরি: গোয়েন্দা বাহিনীর শীর্ষ পদে বসলেন ডেকা

নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যখন অসমে আন্দোলন তুঙ্গে, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অসমের এই ভূমিপুত্রকেই পাঠিয়েছিলেন।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায় এবং অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২২ ০৪:৩৪
Share:

ফাইল চিত্র।

ছাত্রাবস্থায় অসমের ছাত্র সংগঠন আসু-র নেতা ছিলেন। পদার্থবিদ্যার ছাত্র। এক বারেই আইপিএস-এর প্রবেশিকা পরীক্ষায় উতরে গিয়েছিলেন। নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যখন অসমে আন্দোলন তুঙ্গে, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অসমের এই ভূমিপুত্রকেই পাঠিয়েছিলেন। সেই তপন কুমার ডেকা এ বার দেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী ইন্টেলিজেন্স বুরোর প্রধান। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি ইন্টেলিজেন্স বুরোর অপারেশনস ডিভিশনের দায়িত্বে। শুধু তথ্য জোগাড় করা আর বিশ্লেষণ নয়, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ যে গোয়েন্দা বাহিনীর ‘অপারেশন’-এ জোর দিতে চাইছেন, ডেকাকে শীর্ষ পদে বসানো তারই প্রমাণ বলে মনে করছেন গোয়েন্দা কর্তারা। কারণ, ডেকা ‘হার্ডকোর অপারেশনস অফিসার’ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ দিন উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কাটিয়েছেন। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন নিয়ে মাথা ঘামিয়েছেন। দিল্লির বাটলা হাউস অভিযানের সময় তিনিই গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে দায়িত্বে ছিলেন।

Advertisement

কর্মব্যস্ত: ইন্টেলিজেন্স বুরোর প্রধানের দায়িত্ব পেলেন তপন কুমার ডেকা

আপ-এর আপ্যায়নে

ফি দিন আম আদমি পার্টি আর বিজেপি নেতৃত্ব একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তবেই নাকি জলগ্রহণ করেন। কিন্তু সেই আম আদমি পার্টির শাসনে দিল্লির সরকারি স্কুল ও মহল্লা ক্লিনিক মডেলের সাফল্য দেখতেই এখন রাজধানীতে ঘুরছেন গুজরাত বিজেপির বিধায়কেরা। দিল্লি সরকারের সরকারি স্কুলের ভোলবদলের কাহিনি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ জুড়ে। কিছু দিন আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিরাও ঘুরে দেখেন। এ বার পালা নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের। গুজরাতের বিজেপি নেতারা বিভিন্ন স্কুল ও মহল্লা ক্লিনিকের পরিচালনব্যবস্থা বিশদে খতিয়ে দেখলেন। অতিথিদের অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করেছিলেন আপ নেতৃত্ব। তার পর থেকে ছাতি ফুলিয়ে ঘুরছেন আপ নেতারা। বিজেপি ও আপ— দু’দলেরই বিরোধী শিবিরের নেতারা বলছেন, “আরে ধুর! সবাই জানে বিজেপির বি টিম হল আপ। না হলে এমনটা হয় নাকি!”

Advertisement

কাউন্টডাউন ঘড়ি

হায়দরাবাদের চারমিনার, হুসেন শাহ সাগর, গোলকুন্ডা ফোর্ট, সালার জঙ্গ মিউজ়িয়ামের মতো দ্রষ্টব্যস্থান, প্যারাডাইস চক, বানজ়ারা হিলসের মতো ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসাচ্ছে বিজেপি। ঘড়ির প্রতিটি মুহূর্ত রাজ্যবাসীকে বুঝিয়ে দেবে— আর কত দিন, কত ঘণ্টা ও কত মিনিট পরে তেলঙ্গানার টিআরএস সরকারের পতন হতে চলেছে। কর্মীদের উজ্জীবিত করতেও এই উদ্যোগ। ২০২৪-এর লোকসভার আগে শেষ বিধানসভা নির্বাচন তেলঙ্গানাতেই। তাই দল ও কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে ওই বিধানসভা জিততে মরিয়া মোদী-শাহরা।

পুরনো বন্ধুদের কাছে

বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিন্‌হা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি পদের জন্য ভোট চাইতে ভারত সফরের আগেই তিনি যোগাযোগ করবেন বিজেপিতে তাঁর পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেও। জানা গেল, তিনি লালকৃষ্ণ আডবাণীর আশীর্বাদ নিতে চেয়েছিলেন। আডবাণীর কন্যা প্রতিভা কোভিডাক্রান্ত, তাই দেখা করা সম্ভব হয়নি। এর পর তিনি পুরনো দিনের আরও কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, দেখতে উৎসুক রাজনৈতিক শিবির।

লন্ডন থেকে প্রার্থনা

শিবসেনার অধিকাংশ বিধায়ক দল ভেঙে চম্পট! তাও মহারাষ্ট্রে যেন ‘গণতন্ত্র’ বজায় থাকে, তা নিয়ে বিজেপি নেতার স্ত্রীর প্রার্থনা লন্ডনেও। বিধানসভায় ঠাকরে সরকারের শক্তি পরীক্ষা নিয়ে গত বুধবার রাতে যখন উত্তেজনায় ফুটছে রাজ্য তথা দেশ, তখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হবু উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের স্ত্রী অমৃতা ফডণবীস লন্ডনে পৌঁছে টুইট করলেন। লিখলেন, “নমস্তে লন্ডন। পৌঁছেই স্বামীনারায়ণ হিন্দু মন্দিরে পুজো দিয়েছি। বিদেশের মাটিতে এটিই প্রথম বৃহত্তম হিন্দু মন্দির। মহারাষ্ট্রের সমৃদ্ধি এবং সুস্থিতির জন্য প্রার্থনা করেছি। আমরা যেন কখনও গণতন্ত্রের মন্ত্র থেকে বিচ্যুত না হই। মানুষ প্রথম, দল দ্বিতীয়, সব শেষে নিজে।”

উদ্বিগ্ন?: অমৃতা ফডণবীস

প্লাস্টিকের বিভীষিকা

সরিষ্কার অরণ্য পরিদর্শন করতে গিয়ে পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের মুখোমুখি পড়ে গেল একটি চিতল হরিণ। সে পাশে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ চিবোচ্ছিল। মন্ত্রকের অফিসারদের ঘটনাটি সবিস্তারে জানিয়ে, মন্ত্রী নির্দেশ দিলেন, পশুপাখিরা যেখানে আছে সেখানে প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণের কৌশল আরও জোরদার করতে হবে। প্রসঙ্গত, সব চিড়িয়াখানা প্লাস্টিকমুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement