গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাবলির কেন্দ্রে থেকেছেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন। ভারতের শেষ ভাইসরয়, সদ্যপ্রয়াত প্রিন্স ফিলিপের মামা, অষ্টম এডওয়ার্ডের ঘনিষ্ঠ। বিবাহবিচ্ছিন্না আমেরিকান ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করতে সিংহাসন ছাড়েন অষ্টম এডওয়ার্ড। আবার, লেডি মাউন্টব্যাটেন ছিলেন নেহরুর বন্ধু। লর্ড মাউন্টব্যাটেন রাজপরিবার, ভারতভাগ ও বিবিধ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুপ্ত তথ্য জানতেই পারেন। জাতির স্বার্থে রক্ষিত হবে— এই মর্মে তাঁর ব্যক্তিগত কাগজপত্র, চিঠি, ডায়েরি পরিবারের থেকে কিনেছিল সাদাম্পটন ইউনিভার্সিটি। সরকারি নির্দেশে কিছু কাগজ তালাবন্দি। ইউনিভার্সিটি ও মন্ত্রক যাতে সব কাগজই প্রকাশ করে, তার জন্য লড়ছেন দ্য মাউন্টব্যাটেনস, দেয়ার লাইফ অ্যান্ড লাভস বইয়ের লেখক অ্যান্ড্রু লোওনে। স্বপক্ষে তথ্য কমিশনার দফতরের আদেশনামাও আদায় করেছিলেন। সরকার সেই আদেশনামার বিরুদ্ধে আবেদন করেছে। লোওনে বলছেন, “প্রকাশ রুখতে হাত খুলে খরচ করছে সরকার, দু’টি শীর্ষ দফতরকে কাজে লাগিয়েছে। মনে হয় কাগজে জরুরি কিছু আছে, নয়তো এত মাথাব্যথা কেন?”
লোওনের পক্ষে আছেন স্বয়ং মাউন্টব্যাটেন। নেটফ্লিক্সের দ্য ক্রাউন সিরিজ়ের পরামর্শদাতা ও ইতিহাসবিদ রবার্ট লেসি-র কথায়, সাক্ষাৎকারে মাউন্টব্যাটেন তাঁকে বলেন, “বিশদে বলতে পারব না। তবে, আমার মৃত্যুর পর সে সব জানা যাবে।” ইতিহাসবিদদের সামনে সরকার নতি স্বীকার করবে কি? করলে, কোন রহস্যের পর্দা উঠবে?
ডায়ানার সঙ্গে দেখা
অপাপবিদ্ধ: বিয়ের বিখ্যাত পোশাকে যুবরানি ডায়ানা
১ জুলাই, যুবরানি ডায়ানার ৬০তম জন্মদিনে তাঁর দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারির ফের দেখা হবে। কেনসিংটন প্যালেসে মায়ের মূর্তি উদ্বোধন করবেন তাঁরা। সেখানেই উদ্বোধন হবে ডায়ানা প্রদর্শনীর। থাকবে যুবরানির বিখ্যাত বিয়ের পোশাকটিও। বিয়ের মঞ্চে তাঁর পোশাক যে ভাবে পিছন দিকে ২৫ ফুট পর্যন্ত বিছিয়ে ছিল, সে ভাবেই বাক্সে থাকবে। ঐতিহ্য অনুসারে, বিয়ের সাজে থাকবে কিছুটা প্রাচীন, কিছু নতুন, কিছু অংশ চেয়ে আনা এবং একটু নীল। ডায়ানার ক্ষেত্রে অ্যান্টিক লেস ছিল পুরনো, পোশাকটা নতুন, টায়রা স্পেনসার পরিবারের সংগ্রহ থেকে নেওয়া, পিঠের বো’টি নীলরঙা। পোশাকের রং ও আকার মিলিয়ে ফুলের বোকে ছিল হাতে। পোশাকটি প্রদর্শনীকে দিয়েছেন উইলিয়াম ও হ্যারি। নামোল্লেখে বাদ গিয়েছে হ্যারির ‘হিজ় রয়্যাল হাইনেস’ উপাধিটি। দাবি, ভুলবশত ঘটেছে। শুধরে দেওয়া হবে। হ্যারির উপাধি কাড়তে অনিচ্ছুক রানি। বিবাহবিচ্ছেদের পর ডায়ানার ‘হার রয়্যাল হাইনেস’ উপাধি প্রত্যাহারের সমালোচনা হয়েছিল বিস্তর।
ঋষির লক্ষ্যভেদ
জি-৭ দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে বহুজাতিক সংস্থার কর প্রসঙ্গে বড় সাফল্য ঋষি সুনকের। মনে হয়, ধনী দেশগুলিকে রাজি করাতে তাঁর তুরুপের তাস ছিল বৈঠকের স্থান। ল্যাঙ্কাস্টার হাউস। বিদেশি অভ্যাগতরা প্রাসাদটা দেখেই উল্লসিত। এ যে দ্য ক্রাউন সিরিজ়ে দেখা বাকিংহাম প্যালেস! ওই বাড়িটিতেই সরকারি মদিরা ভান্ডার। স্থানমাহাত্ম্য ও পানপাত্রের যুগলবন্দিতে সকলের মেজাজ শরিফ। কার্যসিদ্ধিও সহজেই। ঋষি নিজে অবশ্য সুরাপায়ী নন।
কোলস্টনের মূর্তি
অতীত: এডওয়ার্ড কোলস্টনের মূর্তি
২০২০-র ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সময় আঠারো শতকের দাসব্যবসায়ী এডওয়ার্ড কোলস্টনের মূর্তিটি ব্রিস্টলের বন্দরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তিটির ঠাঁই হয়েছে বন্দর পার্শ্ববর্তী এম শেড মিউজ়িয়ামে। সেটি সোজা দাঁড় করানো যাচ্ছে না। দাসরক্তের প্রতীক রূপে মূর্তিতে লাল আঁকিবুকি কেটেছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই আঁচড় গায়ে শুয়ে আছেন কুখ্যাত কোলস্টন। কাছেই দেওয়ালে সাজানো প্রতিবাদীদের পোস্টার আর প্ল্যাকার্ড।
জনসন-ভাগ্য
নয়া সমস্যায় বরিস জনসন ও তাঁর স্ত্রী ক্যারি সাইমন্ডস। প্রতি মিটার ৮০০ পাউন্ড দামের মহার্ঘ ওয়ালপেপার লাগিয়েছিলেন ডাউনিং স্ট্রিটে, জেরবার হয়েছিলেন বিতর্কে। সেটা এখনই খসে পড়ছে। ডিজ়াইনার বিপণিটি দাম ফেরত দেবে না। সাধের ওয়ালপেপার খুলে আবার বসাতে ফের পকেটে চাপ জনসনের। জীবন কেন যে তাঁকে মুহুর্মুহু ভেংচি কাটে!