বিমানে মোচার চপ নয়, ডাব চিংড়ি চাই
বাসনার সেরা বাসা রসনায়। আর বঙ্গসন্তানের কাছে এই আপ্তবাক্য সত্য, রণে বনে জঙ্গলে এমনকি দুর্বিপাকেও! সম্প্রতি তার উদাহরণ মিলল। বিভিন্ন রাষ্ট্রে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরানোর জন্য বন্দে ভারত মিশন-এর তৃতীয় দফায় শামিল হয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি এয়ারলাইন্সও। আগামী সপ্তাহে এ রকমই একটি ফ্লাইট দুবাই থেকে কর্পোরেট কর্মীদের নিয়ে ফিরবে কলকাতায়। স্বাভাবিক ভাবেই যার মধ্যে বাঙালির সংখ্যাই বেশি। এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত বিদেশমন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য টুইট করলেন, ‘শুনলাম উড়ানে মোচার চপ দেওয়ার প্রস্তাব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে! সবাই তার বদলে চাইছেন ডাব চিংড়ি! বঁ ভোয়াজ।’
ফেরা: বিমানবন্দরে জাতীয় পতাকা হাতে ভারতীয়রা। এঁরা মস্কোয় আটকে পড়েছিলেন
রোমন্থন
আপাতত সামনের দিকে এগোনোর রাস্তা যখন অতিমারি অনিশ্চিত করে রেখেছে, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু ডুব দিয়েছেন স্মৃতিতে। তাঁর ফেসবুক জুড়ে এখন নস্টালজিয়ার চাষবাস। দেশবাসীর কাছে তাঁর পরামর্শ, ‘বর্তমানের সঙ্গে মিশিয়ে নিন পুরনো দিনের আঘ্রাণ। এর ফলে সম্পূর্ণ এক জীবন গড়ে উঠবে যা সমাজ ও প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ আজ যখন সামাজিক দূরত্বের খপ্পরে পড়ে সবই বিচ্ছিন্ন, বেঙ্কাইয়া তাঁর পুরনো ছবি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে লিখেছেন, তখন জীবন ছিল গভীর সামাজিক বন্ধনের। ছিল আর্থিক, সামাজিক ও মানসিক নিরাপত্তাও। সেই সঙ্গে সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যবিধির পরামর্শ দিয়ে তাঁর মন্তব্য, অতিরিক্ত কোনও কিছু না করাটাই ভবিষ্যতে ভাল থাকার মন্ত্র। রসিক রাজনীতিকরা অবশ্য সুষম খাদ্যবিধি সংক্রান্ত তাঁর এই পরামর্শের পর, একান্তে স্মরণ করছেন অতীতে তাঁর বাড়ির ঢালাও মধ্যাহ্নভোজগুলির কথা! চিংড়ির অন্ধ্রপ্রদেশীয় একটি বিশেষ পদের জন্য যা ছিল রাজধানীতে বিখ্যাত।
সমকালের ধমক
ব্রিটিশ জমানায় লর্ড আরউইন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জেলের মধ্যেই হাসপাতালের মধ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। প্রথমে তা আরউইন হাসপাতাল নামেই পরিচিত ছিল। পরে তার নাম হয় লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতাল। দিল্লির করোনা সঙ্কট নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই দিল্লির এই পুরনো সরকারি হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই হাসপাতালের সুপার, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা তাঁকে হাসপাতালের ইতিহাস বলতে শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে ধমক দেন শাহ— কাজের কথায় আসুন। ইতিহাস ছেড়ে বর্তমানে। এখন পরিস্থিতি কী, সেটা বলুন। ধমক খেয়েই এক লাফে প্রায় ১০০ বছর পেরিয়ে সমকালে চলে আসেন হাসপাতালের কর্তারা।
পশ্চাৎপট
আপনি কি মিউজ়িয়ামে আছেন? সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের মুখে এ প্রশ্ন শুনে আইনজীবী মুকুল রোহতগি হতবাক। ভিডিয়ো কনফারেন্সে শুনানি চলছে। মুকুলের পিছনে নানা রকম পাথরের ভাস্কর্য সাজানো। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মুকুল ব্যাখ্যা দিলেন, এটা তাঁর খামার বাড়ি। রোজ সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে পারবেন ভেবে তিনি দিল্লির বাড়ি ছেড়ে শহরের উপকণ্ঠে এই খামার বাড়িতে চলে এসেছেন। পর দিন শুনানির আগে মুকুল বাকি আইনজীবীদের বললেন, আজ আর প্রধান বিচারপতি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ ক্যামেরাটা রান্নাঘরের দরজার দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এক দিন পরে প্রধান বিচারপতির ফের প্রশ্ন, আপনি কি আর্ট গ্যালারিতে বসে রয়েছেন? প্রশ্ন ওঠারই কথা! মুকুলের পিছনের দেওয়ালে বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা ছবি সাজানো যে!
ভরসা: কে কে বেণুগোপাল
মেয়াদ শেষেও
নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর জমানায় বিজেপি ৭৫ বছরের বেশি কোনও নেতাকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃদ্ধ নেতানেত্রীদের মার্গদর্শক মণ্ডলীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইনের লড়াইতে মার্গদর্শনের জন্য মোদী সরকারের ভরসা নব্বই পেরিয়ে যাওয়া কে কে বেণুগোপাল। কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে বেণুগোপালের মেয়াদ জুন মাসে শেষ হলেও তাঁকে মোদী সরকার আরও এক বছর অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে থাকতে রাজি করিয়েছে। বেণুগোপাল বয়সের কারণে থাকতে চাইছিলেন না। কিন্তু তিনি যে ভাবে সিএএ, ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ব্যাটিং করেছেন, তার পরে সরকার তাঁকে ছাড়তে নারাজ।