বেঙ্কাইয়া নায়ডু ও তাঁর অখণ্ড অবসর
দিনের বেশির ভাগ সময়টাই বাগানের পরিচর্যা করে কাটছে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর। অখণ্ড অবসর তাঁকে নস্টালজিয়ায় আচ্ছন্ন করেছে। স্ত্রী উষাকে বলেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপা পড়ে যাওয়া দক্ষিণ ভারতের রান্নার পদগুলি করতে! নিজেকে উপরাষ্ট্রপতি নন, ‘উষাপতি’ বলতেই পছন্দ করা নায়ডু, ফোন করে কুশল সংবাদ নিচ্ছেন রাজ্যসভার বিভিন্ন দলের সাংসদের। ফোন করেছিলেন তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়কেও। জানতে চেয়েছেন, কী ভাবে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। সুখেন্দুশেখরবাবু তাঁকে জানিয়েছেন, বেশির ভাগ সময় তাঁর কাটছে পড়ে এবং লিখে। কোহিনূরের ইতিহাস নিয়ে বই লেখার কাজ সারছেন। ফোন রাখার আগে করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের প্রশংসাও করেছেন উপরাষ্ট্রপতি।
মুখোমুখি: উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে
ইতিহাস থেকে অর্থনীতি
নোট-বন্দির সময় রোজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেন সে সময় আর্থিক বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাস। বর্তমানে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর এই আমলা অবশ্য অর্থনীতি নয়, ইতিহাসের ছাত্র ছিলেন। এখন করোনাভাইরাসের মোকাবিলার সময় রোজ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল। অন্ধ্রপ্রদেশ ক্যাডারের এই আমলার সঙ্গেও ডাক্তারি বা জীবনবিজ্ঞানের সম্পর্ক নেই। লব দিল্লির আইআইটি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। অন্ধ্রে চন্দ্রবাবু নায়ডুর সরকারে কাজ করার সময় নতুন রাজধানী অমরাবতীতে আবাসন তৈরির দায়িত্ব নিয়ে আবাসন সচিবের পদে বসেছিলেন। রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ও স্বাস্থ্য দফতরে কাজ করেছেন। এখন মোদী সরকারের দায়িত্বে সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগছে লবের।
যিনি রাঁধেন এবং
যিনি রাঁধেন, তিনি রাজনীতিও করেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ক্ষেত্রে আসলে উল্টোটা। পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা ইন্দৌরের বাড়িতে বছরের কম সময়ই থাকেন। বেশির ভাগ সময়ই তিনি হয় কলকাতায়, নয়তো বাংলার কোনও জেলায়। কিন্তু করোনার জেরে লকডাউনে এখন তিনি ইন্দৌরেই ঘর-বন্দি। তাই রান্নাঘরে ঢুকে পড়ছেন। সবজি কেটে, মশলা বানিয়ে একা হাতেই রান্না করছেন। আরএসএস ঘর-বন্দির সময় বাড়ির কর্তাদের রান্না করার নিদান দিয়েছে। কৈলাস কি সেই উপদেশ মেনেই চলছেন! কিন্তু রান্না কেমন হল? নিজের রান্না সব সময়ই সুস্বাদু লাগে, তাঁর জবাব।
ইডলি দিবস
কলকাতার সেন্ট জ়েভিয়ার্সে পড়াশোনা করেছেন। ছোট্টবেলায় তাঁর স্কুলের সহপাঠী ছিলেন মুনমুন সেন। শশী তারুর তাই কেরলে কাজ করতে যাওয়া বাংলার শ্রমিকদের লকডাউনের সময় কেরলেই থেকে যাওয়ার আর্জি জানালেন খাঁটি বাংলায়। কিন্তু শশী তারুরের মন খারাপ, তাঁর বইয়ের আলমারিতে ফের উইপোকা হানা দিয়েছে। নেহরুর উপরে পুরো সংগ্রহ, মহাত্মা গাঁধীর উপর কিছু বই এবং বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য বইও নষ্ট। মন খারাপ কাটাতে শশী ৩০ মার্চ ইডলি দিবস পালন করেছেন। তাঁর মতে, ইডলিই হল মানুষ বা ভগবানের তৈরি শ্রেষ্ঠ প্রাতরাশ।
গর্ব: নির্ভয়ার মা-র সঙ্গে সীমা
সীমার সাফল্য
নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের ফাঁসি হতেই নির্ভয়ার বাবা-মায়ের আইনজীবী সীমা সমৃদ্ধি কুশবহাকে নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। একটি সমীক্ষায় দেশের ২৫ জন ক্ষমতাশালী মহিলার তালিকায় তাঁর নাম ঢুকে গিয়েছে। নির্ভয়ার মতো তাঁরও উঠে আসা গরিব পরিবার থেকে। উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার অভাবের সংসারে কষ্ট করেই পড়াশোনা করেন সাত ভাইবোনের সবচেয়ে ছোট সীমা। এলএলবি পাশের পর ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার পর সাহস করে সুপ্রিম কোর্টে চলে আসেন। সীমাকে এখন নিজের মেয়ের মতোই ভালবাসেন নির্ভয়ার মা আশাদেবী। সীমার মা রামকুমারী দেবীও মেয়ের সাফল্যে গর্বিত।
অবশেষে মাছেভাতে
দিল্লিতেই থাকুন বা নিউইয়র্ক— মাছ, ভাত, ডাল, শুক্তো ছাড়া মন ভরে না তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন-এর। সদ্য কোয়রান্টিন দশা শেষ হয়েছে তাঁর। করোনা আক্রান্ত গায়িকা কনিকা কপূরের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি-র দুষ্মন্ত সিংহ। আর তার পরেই টানা দু’ঘণ্টা দুষ্মন্তের সঙ্গে বৈঠক করেন ডেরেক। কনিকা কপূরের খবর জেনে সেল্ফ কোয়রান্টিন-এ চলে যান ডেরেক। লকডাউনের কারণে মাছের আকাল তাঁর পাড়ায়। তাই পাস্তা খেয়ে থাকতে হয়েছে তাঁকে। কোয়রান্টিন শেষ হতে গাড়ি পাঠিয়ে মাছ এনেছেন এ বার।