রদবদল?: নির্মলা সীতারামন থাকবেন না সরবেন, হয়তো জবাব দেবে তাঁর বাজেটই
অর্থমন্ত্রী বদল ? জোর গুজব চলছে
অর্থমন্ত্রীর পদে রদবদল নিয়ে রোজই নতুন নতুন গুজব রাজধানীতে। বাজেটের পরেই নাকি নির্মলা সীতারামনকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কে হবেন নতুন অর্থমন্ত্রী? পীযূষ গয়ালের নাম বারে বারেই ভেসে ওঠে। প্রয়াত অরুণ জেটলির শারীরিক অনুপস্থিতির সময় তিনি বাজেটও পেশ করেছেন। কিন্তু মুম্বইয়ের পীযূষের সঙ্গে আবার বিশেষ কোনও শিল্পপতি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। গুজবে এ বার নতুন নাম এক প্রবীণ ব্যাঙ্ক-কর্তার। এক সময় জেটলির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। এখন তিনি একটি উন্নয়ন ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে। তার আগে গুরুত্বপূর্ণ একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শীর্ষপদে ছিলেন। কিন্তু তাঁর নামে একটি এফআইআর রয়েছে বলে তিনি অর্থমন্ত্রীর দৌড় থেকে ছিটকে যাবেন কি না, তা নিয়েও প্রবল গুঞ্জন।
মুকেশ-কণ্ঠী ওমপ্রকাশ
কিশোর-কণ্ঠী, রফি-কণ্ঠীরা এক সময় মঞ্চ মাতিয়ে রাখতেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ওমপ্রকাশ সিংহ মুকেশ-কণ্ঠী। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রাক্তন ছাত্রের কলেজ জমানা থেকেই গান-বাজনার শখ। সিএএ-এনআরসি’র বিরুদ্ধে আন্দোলন রুখতে যোগী-সরকারের পুলিশ বাহিনী ওমপ্রকাশের নেতৃত্বে ‘ট্রিগার-হ্যাপি’ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু নয়াদিল্লির আশীর্বাদের হাত এখনও পোড়খাওয়া আইপিএস অফিসারের মাথার উপরে। লখনউয়ের ভিআইপি গেস্টহাউসে
মায়াবতীর উপর হামলার সময় তিনিই ছিলেন এসএসপি। বিতর্কের মতো গানও ওমপ্রকাশের ছায়াসঙ্গী। লখনউয়ের কোনও অনুষ্ঠানে সুযোগ পেলে এখনও মাইক্রোফোন হাতে মুকেশের গাওয়া গান ধরেন ওমপ্রকাশ।
একাত্তরে বাহাত্তুরে?
নতুন সংসদের খুঁটিনাটি থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতি, সব ঠোঁটস্থ। গত এক, দেড় দশক ধরে জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম মুখ তিনিই। প্রখর স্মৃতিশক্তি এবং চমৎকার বিশ্লেষণের জন্য সাংবাদিকদের খুবই প্রিয় গুলাম নবি আজাদ। কিন্তু একাত্তরে পৌঁছে কি কিছুটা বুড়িয়ে গেলেন জম্মুর এই ক্ষুরধার কংগ্রেস নেতা? গত সোমবার সংসদের অ্যানেক্সি ভবনে বিশ বিরোধী দলের এমনটাই আলোচনা রাজধানীতে। ম্যারাথন বৈঠকের পর (তিন ঘণ্টারও বেশি) যথারীতি সাংবাদিকদের সামনে গুলাম। কিন্তু বার বার বহু আলোচিত নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-কে বলে ফেলছেন সিসিএ! এনআরসি-র জায়গায় বলছেন এনসিআর! সবশেষে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার কথা বলতে গিয়ে বললেন, ‘ছাত্রেরা নির্বিচারে পুলিশকে পিটিয়েছে!’ এ বার আর ঝুঁকি না নিয়ে তাঁর হাত ধরে ফেলেন সীতারাম ইয়েচুরি। শুধরে দেন। যেন সংবিৎ ফিরে পান গুলাম। তবে বক্তব্য আর দীর্ঘ করেননি। বাকিটা সারেন ইয়েচুরিই।
একটিই ভিডিয়ো
ক্যামেরার ফ্ল্যাশ-ঝলকের মাঝে তাঁর দেখা পাওয়াই দুষ্কর। চ্যানেল-আগ্রহের বৃত্তেও তিনি নেই। তবু মোদীর প্রথম ইনিংসের কৃষিমন্ত্রী বিহারের রাধামোহন সিংহের ছবি এক বারই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল ২০১৭ সালে। প্রকৃতির ডাক সামলাতে না পেরে, গাড়ি থামিয়ে নেমে উন্মুক্ত রাস্তায় তাঁর ভার লাঘবের ছবিটি নিয়ে বিতর্কও কিছু কম হয়নি। প্রশ্ন উঠেছিল ভারতের স্বচ্ছতা লঙ্ঘনের! মোদীর নতুন দফার সরকারে রাধামোহন যে আর জায়গা পেলেন না, তা ওই কম্মের জন্য বলেই ফিসফাস। তবে সম্প্রতি ফিরলেন তিনি, বিজেপির নতুন সভাপতি নির্বাচনী ব্যবস্থার রিটার্নিং অফিসার হিসেবে। অমিত শাহের বদলি বাছাইয়ের এই অভ্যন্তরীণ ভোটের গুরুত্বও রয়েছে যথেষ্ট। তাই তাঁকে মুখোমুখি হতে হল প্রশ্নের। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজোড়া বিক্ষোভ তিনি নজর করছেন কি? উত্তরে জানালেন, তিনি মাটির কাছে থাকা লোক। টিভি দেখেনই না। তার পরেই তাঁর সংযোজন, সেই ভাইরাল হওয়া নিজের ভিডিয়োটি অবশ্য টিভি-তেই দেখেছিলেন!।
মাটির মানুষ: টিভি দেখেন না রাধামোহন
নাম বদলায় না
অযোধ্যা মামলার সময় দিল্লির বাবর রোডে রাস্তার নামের বোর্ডে কালি লেপে দিয়েছিল হিন্দু সেনা। মোদী জমানায় দিল্লির আওরঙ্গজেব রোডের নাম বদলে হয়েছে এপিজে আবদুল কালাম রোড। মুঘল শাসকদের নাম মোছার আগে দিল্লির সড়ক ব্রিটিশ শাসকদের নাম মুছে যাওয়ার সাক্ষী। কার্জন রোড হয়েছে কস্তুরবা গাঁধী মার্গ। কিন্তু সব কি আর মোছা যায়! ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিসের নামে এখনও লোদী গার্ডেনের পাশেই আস্ত পাড়া: কর্নওয়ালিস কলোনি। কর্নওয়ালিসই মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে তৈরি করিয়েছিলেন সংস্কৃত কলেজ। হয়তো সে কারণেই এখনও ওই নাম বদলায়নি!