ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে সবরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। ছবি পিটিআই।
বিভাজন এবং অসহিষ্ণুতা নিয়ে দেশজোড়া তোলপাড় চর্চা। তার সঙ্গে যোগ হল নির্বাচনী উত্তাপ। কে বিভাজনকারী, কে নন, কার পথ ঠিক, কার বিচারধারা ভারতের জন্য উপযুক্ত নয়— সারা দেশেই সে চর্চা তুঙ্গে ছিল। কিন্তু আসলে এ শিবির-ও শিবিরে ভাগাভাগি হয়ে যাওয়া অথবা বিভাজিত হয়ে থাকা যে ঠিক পথ নয়, সে কথা বুঝিয়ে দিল একটা দুর্যোগের পদধ্বনি। তর্ক ভুলে, নির্বাচনী উত্তাপ নিভিয়ে দিয়ে দেশের পূর্ব উপকূলবর্তী রাজ্যগুলোকে ‘ফণী’-র প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে সবাই একজোট এই মুহূর্তে।
অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ— এই তিন রাজ্যকে ছুঁয়ে যাওয়ার কথা সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ফণীর। পূর্বাভাসের ভিত্তিতে তিন রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাতেই জোরদার করা হয়েছে প্রস্তুতি। ঝড় এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সর্বস্তরের প্রশাসন কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে। আপাতত রাজনীতিও দূরে সরিয়ে রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো।
সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় এই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ছবি প্রশংসনীয়। তবে আমাদের প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে, শুধু প্রস্তুতি নিলেই চলবে না, প্রাকৃতিক দুর্যোগটার মুখে অক্ষতও থাকতে হবে। প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ কেটে না যাওয়ার আগে পর্যন্ত এই সব সতর্কবার্তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে আমাদের। যে প্রাবল্য নিয়ে আমাদের ভূভাগে আছড়ে পড়ার কথা ফণীর, সেই প্রাবল্যের পূর্বাভাস আতঙ্ক জাগাচ্ছে। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার সময় এটা নয়। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা সয়ে নেওয়ার জন্য সবরকম ভাবে প্রস্তুত থাকার সময়। অতএব মাথায় রাখতে হবে যে, দুর্যোগের প্রহরে সুরক্ষিত থাকার জন্য প্রশাসনের জারি করা সতর্কবার্তা আমাদের প্রত্যেককে মেনে চলতে হবে। দুর্যোগের প্রভাব সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সময় মতো এবং সামর্থ্য মতো সক্রিয় হতে হবে আমাদের প্রত্যেককে। অর্থাৎ নিজে সুরক্ষিত থাকা এবং অন্যদের সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করা— সামুদ্রিক তুফানের উদ্যত ফণার সামনে এ কথাটা মাথায় রাখতে হবে আমাদের প্রত্যেককে।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায় তাণ্ডব চালাতে পারে ফণী, সতর্ক করল আবহাওয়া দফতর