পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন জামা পরা। ছোটবেলা থেকেই এটা শুনে আসছি, বছরের প্রথম দিন মানে গায়ে নতুন জামা দিতে হবে। মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে আজও সেটা রয়ে গিয়েছে। একই ট্র্যাডিশন। নতুন জামা আর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া।
ছোটবেলায় বাড়িতে পরার সাদা জামা দিয়ে শুরু হত। ওই যেগুলোকে টেপফ্রক বলে। এখন তো সারাবছরই নতুন জামা হয়। তবে কয়েক বছর হল শাড়ি পরি। এ বারও পরব। মায়ের অনেক নতুন নতুন শাড়ি রয়েছে। সেগুলোর থেকেই কোনও একটা…।
আলাদা করে বৈশাখী আড্ডার কোনও স্মৃতি নেই আমার। এখন তো নানা চ্যানেলের শো থাকে ওই দিন। সেখানে যেতে হয়। সেই ব্যস্ততাই থাকে।
আর রইল খাওয়া-দাওয়া। আমাদের বাড়িতে রেস্তোরাঁয় খাওয়াটা সত্যিই খুব কম হয়। যে কোনও অনুষ্ঠানই হোক না কেন, বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ারই চল চিরকাল। মা থাকতে অনেক কিছু রান্না করত। এখন আমি দু’-একরকম পদ রান্না করে বাবা-দাদুকে খাওয়ানোর চেষ্টা করি। অবশ্য ভাল করতে পারি কি না জানি না।
মায়ের সঙ্গে মানালী।
মাকে আমি রোজই মিস করি। কিন্তু স্পেশাল দিনে একটু বেশিই মনে পড়ে মাকে। পয়লা বৈশাখে তো মায়ের হাতের রান্না…। মটন, পাবদা মাছ আমার দারুণ লাগে। সকালবেলা লুচি-আলুর তরকারি হলে মন্দ হয় না। এ সব মায়ের মনে থাকত। আর সেই সাজিয়ে গুছিয়ে খেতে দেওয়া…বড্ড মনে পড়ে। মা চলে যাওয়ার পর আসলে আমিই এখন বাড়ির কর্ত্রী। তাই এ সব দায়িত্ব হয়তো আমারই।
ছবি: অনির্বাণ সাহা ও ফেসবুকের সৌজন্যে।