সন্তোষদা সাহিত্যের ব্যাপারে সবচেয়ে ভালো চিনতেন বাঙালি নিম্নবিত্ত পরিবারের জীবন।... এই জীবনের কথা তিনি এত নিপুণ ভাবে লিখে গেছেন, যার তুলনা মেলা ভার।’— সন্তোষকুমার ঘোষকে নিয়ে লিখেছেন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। আরও লেখা প্রেমেন্দ্র মিত্র সুবোধ ঘোষ রাজশেখর বসু নরেন্দ্রনাথ মিত্র থেকে হাসান আজিজুল হক অবধি অনেক সাহিত্যব্যক্তিত্বকে নিয়েই। প্রয়াণের পর তাঁর এমন তেইশটি গদ্য নিয়ে পরম্পরা-র (সম্পা: গৌতম দাশ) ক্রোড়পত্র: ‘জীবনরেণুর কারিগর’। ক্রোড়পত্রটির সামগ্রিক নির্মাতা সমীর চট্টোপাধ্যায়।
আদম-এর (সম্পা: গৌতম মণ্ডল) ‘সম্মাননা সংখ্যা’য় সৃষ্টিশীল মানুষের সৃষ্টির পরিসরটুকু পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা। যেমন আলোক সরকার, শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়, ভূমেন্দ্র গুহ, হিরণ মিত্র, সন্দীপ দত্তকে নিয়ে আলোচনা ও তাঁদের সাক্ষাৎকার। সঙ্গে তাঁদের জীবনপঞ্জি ও প্রচ্ছদ-প্রতিলিপি। সন্দীপ দত্ত সম্পর্কে শঙ্খ ঘোষ বলেছেন ‘সন্দীপ যে কাজটা করছে সেটা ঐতিহাসিক দায়িত্বের কাজ। সেটা কোনো ব্যক্তিগত কাজ নয়; আমাদের সকলের কাজ।’ এ ভাবেই নওশাদ জামিল, জিৎ মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস মহারানা, সোহেল হাসান গালিব, তারিক টুকু-র মতো তরুণ কবিদের নিয়ে, এমনকী অনুবর্তন পত্রিকা নিয়েও আলোচনা।
রক্তমাংস-এ (সম্পা: গৌতম ঘোষদস্তিদার) নবারুণ ভট্টাচার্যকে (১৯৪৮-২০১৪) নিয়ে একগুচ্ছ রচনার একটিতে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় লিখছেন ‘এই সভ্যতা সবাইকেই অ্যাকোমোডেট করে। যারা চে গুয়েভারা হতে চেয়েছিল তারা চাপরাশি হতে পেরেছে। নবারুণ, তোমার চলে যাওয়াই ভাল। আজ হো চি মিন সরণি জুড়ে শপিংমল।’
মল্লার-এ (সম্পা: শুভময় সরকার) নবারুণ ভট্টাচার্যের কথোপকথন, সম্পাদকীয় অনুসারে সম্ভবত এটাই তাঁর শেষ সাক্ষাৎকার। ঋতিকা প্রসাদের স্কেচ সহ দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নবারুণ বলেছেন ‘করাপশন একদম টপ্ লেভেল থেকে একদম লোয়ার লেভেল অবধি সব জায়গায় ছড়িয়ে যায় এবং এরকমভাবেই আমরা দেখলাম যে কম্যুউনিস্ট পার্টিগুলো দেউলিয়া হয়ে গেল।... আজকে নতুন করে একটা অক্টোবর বিপ্লব হবে, নতুন করে একটা লেনিন আসবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।’ সঙ্গে এ পত্রেরই নির্বাচিত প্রবন্ধ ক্রোড়পত্রে।
এবং এইসময়-এর (সম্পা: অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়) ‘শক্তিপদ রাজগুরু বিশেষ সংখ্যা’য় তাঁকে নিয়ে মূল্যায়ন, স্মৃতিকথা, তথ্যপঞ্জির সঙ্গে সাক্ষাৎকার। প্রয়াত মানুষটি নিতাই নাগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ‘সাধারণ মানুষের কাছে গল্পগুলো যাতে সহজভাবে পৌঁছোয়, তাদের মন ছোঁয়, আমি সেভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। .... শরৎবাবুর লেখাটাই আমি ফলো করেছি।’
কবিতীর্থ-এর (সম্পা: উৎপল ভট্টাচার্য) ক্রোড়পত্র চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে, তাঁর ১২৫তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে। তাঁর বিস্তৃত ফিল্মপঞ্জির সঙ্গে দুর্লভ ফোটোগ্রাফ। তাঁকে নিয়ে বুদ্ধদেব বসু সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনার পুনর্মুদ্রণ। চ্যাপলিন প্রসঙ্গে জঁ রেনোয়া আর এফবিআই রিপোর্ট।
দিল্লিবাসী সাহিত্যিক আদিত্য সেনকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা দুর্বার কলম-এ (সম্পা: অমর নস্কর)। আমন্ত্রিত সম্পাদক শাহ্যাদ ফিরদাউস জানিয়েছেন ‘আদিত্য সেন-এর মতো জীবনশিল্পী অত সহজে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পাত্র নন। তাই কোনও কিছু পাওয়ার তোয়াক্কা না করে তিনি একাশি বছর বয়সেও নীরবে নিজের কাজ করে চলেছেন। লোভ মোহ বা আপাত-প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা ছাড়া যদি কোনও মানুষ আজীবন কোনও কাজে লেগে থাকতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে, তাঁর প্রতিভা সেই কাজের জন্য নির্ধারিত, সেখানেই সেই মানুষটির সিদ্ধি ও সাফল্য নিহিত রয়েছে।’ আদিত্য সেনের প্রবন্ধ-নাটক-ভ্রমণ-গল্পের সঙ্গে আছে তাঁকে ও তাঁর সাহিত্য নিয়ে আলোচনা, জীবনপঞ্জি।
কবিতা কথাসাহিত্যের উপেক্ষিত শিল্পী ও শিল্পকথা নিয়ে আন্তর্জাতিক পাঠশালা-য় (প্রধান সম্পা: অমিত রায়) বিশেষ ক্রোড়পত্র: ‘অনালোকিত কথাকাব্যলোক’। তাতে বিমলপ্রতিভা দেবী, হেমচন্দ্র বাগচী, সাবিত্রী রায়, সত্যপ্রিয় ঘোষ, ভাস্কর চক্রবর্তী, বা এমন আরও উপেক্ষিত প্রতিভাময় সাহিত্যিকদের নিয়ে আলোচনা।
বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট ক’জন প্রাবন্ধিকের রচনা নিয়ে এবং মুশায়েরা-র (সম্পা: সুবল সামন্ত) ‘গদ্যকার সংখ্যা’। রয়েছেন প্রমথনাথ বিশী, গোপাল হালদার, নীহাররঞ্জন রায়, অন্নদাশঙ্কর রায়, হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, শশিভূষণ দাশগুপ্ত থেকে অশোক সেন, কেতকী কুশারী ডাইসন, সুতপা ভট্টাচার্য প্রমুখ। সঙ্গে তাঁদের জীবন ও গদ্যপঞ্জি।
কথাকৃতি-র (সম্পা: সঞ্জীব রায়) প্রবন্ধ সংকলনে বিভিন্ন নাট্যব্যক্তিত্বকে নিয়ে আলোচনা, যেমন শম্ভু মিত্র বাদল সরকার কুমার রায় গঙ্গাপদ বসু হাবিব তনবির, বা এমন আরও অনেককে নিয়ে। প্রথমত সময়-এর (সম্পা: দেবাশিস রায়) চলচ্চিত্র সংখ্যায় বিশেষ ক্রোড়পত্র ইতালির পাসোলিনিকে নিয়ে। সঙ্গে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর অকপট সাক্ষাৎকার।
আমার পত্রপুট-এ (সম্পা: তপন কুমার মণ্ডল) কবিতা সিংহ কৃষ্ণা বসু ও মল্লিকা সেনগুপ্তকে নিয়ে আলোচনা— ‘যাঁরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ের হলেও ভিন্নস্বরের জায়গাটা ধরেছিলেন।’ সোনালি দুঃখ-এ (সম্পা: সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়) বিশেষ ক্রোড়পত্রে শম্ভু মিত্র ও গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজকে নিয়ে আলোচনা।