দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর: আত্মজীবনী
সম্পা. আশিস খাস্তগীর
৪৫০.০০
সোপান
৮৮ বছরের জীবৎকালের মধ্যে আত্মজীবনীতে মাত্র ২০ বছরের বিবরণ দিয়েছেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। সূচনা ২১ বছরে, শেষ ৪১-এ। ১৮৯৫ সালে, ৭৮ বছর বয়সে যখন আত্মজীবনী লিখিত হচ্ছে, তখন আর নিজে হাতে লেখার ক্ষমতা নেই তাঁর। প্রিয়নাথ শাস্ত্রীর হাতে তা অনুলিখিত হয়। তবে দেবেন্দ্রনাথের কঠোর নির্দেশ ছিল, “...আমার জীবন-কাহিনী ঊনচল্লিশ পরিচ্ছেদে সমাপ্ত করিয়া তোমাকে দিলাম; ইহা তোমার সম্পত্তি হইল। ইহাতে কোন নূতন শব্দ যোগ করিবে না, ইহার বিন্দুবিসর্গও পরিত্যাগ করিবে না।”
আত্মজীবনী নিশ্চয়ই নির্বাচিত ঘটনার বিবরণ। আপাত-তুচ্ছ অনুভূতি অনেক সময় বড় হয়ে ওঠে, সমাজে আলোড়ন ফেলে দেওয়া ঘটনার ওপর আলোই পড়ে না। আত্মজীবনীর ২০ বছরে দেবেন্দ্রনাথ জমিদারির কাজে ব্যস্ত ছিলেন, সভা-সমিতিতে যুক্ত ছিলেন ছাত্রাবস্থা থেকে হিমালয় যাত্রার আগে অবধি। অথচ সে সব প্রসঙ্গে সামান্য দু’-একটা কথা মাত্র এসেছে এই আত্মজীবনীতে। পিতার মৃত্যুর পর ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক ও কার-টেগোর কোম্পানির পতনের ফলে বিপুল ঋণ দেবেন্দ্রনাথের কাঁধে এসে পড়ে— অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার কাহিনিও প্রকাশ করে এই বই।
উনিশ শতক-গবেষক আশিস খাস্তগীরের সম্পাদিত এই বইয়ের উপরি পাওনা পরিশিষ্টে সংযোজিত ব্যক্তিপরিচয়, দেবেন্দ্রনাথের ভ্রমণপঞ্জি, সভা-সমিতি ও আনুষঙ্গিক।