books

প্রিয়নাথ শাস্ত্রীর হাতে অনুলিখিত হয় দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী

১৮৯৫ সালে, ৭৮ বছর বয়সে যখন আত্মজীবনী লিখিত হচ্ছে, তখন আর নিজে হাতে লেখার ক্ষমতা নেই তাঁর। প্রিয়নাথ শাস্ত্রীর হাতে তা অনুলিখিত হয়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ১৫:০৫
Share:

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর: আত্মজীবনী
সম্পা. আশিস খাস্তগীর
৪৫০.০০
সোপান

Advertisement

৮৮ বছরের জীবৎকালের মধ্যে আত্মজীবনীতে মাত্র ২০ বছরের বিবরণ দিয়েছেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। সূচনা ২১ বছরে, শেষ ৪১-এ। ১৮৯৫ সালে, ৭৮ বছর বয়সে যখন আত্মজীবনী লিখিত হচ্ছে, তখন আর নিজে হাতে লেখার ক্ষমতা নেই তাঁর। প্রিয়নাথ শাস্ত্রীর হাতে তা অনুলিখিত হয়। তবে দেবেন্দ্রনাথের কঠোর নির্দেশ ছিল, “...আমার জীবন-কাহিনী ঊনচল্লিশ পরিচ্ছেদে সমাপ্ত করিয়া তোমাকে দিলাম; ইহা তোমার সম্পত্তি হইল। ইহাতে কোন নূতন শব্দ যোগ করিবে না, ইহার বিন্দুবিসর্গও পরিত্যাগ করিবে না।”

আত্মজীবনী নিশ্চয়ই নির্বাচিত ঘটনার বিবরণ। আপাত-তুচ্ছ অনুভূতি অনেক সময় বড় হয়ে ওঠে, সমাজে আলোড়ন ফেলে দেওয়া ঘটনার ওপর আলোই পড়ে না। আত্মজীবনীর ২০ বছরে দেবেন্দ্রনাথ জমিদারির কাজে ব্যস্ত ছিলেন, সভা-সমিতিতে যুক্ত ছিলেন ছাত্রাবস্থা থেকে হিমালয় যাত্রার আগে অবধি। অথচ সে সব প্রসঙ্গে সামান্য দু’-একটা কথা মাত্র এসেছে এই আত্মজীবনীতে। পিতার মৃত্যুর পর ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক ও কার-টেগোর কোম্পানির পতনের ফলে বিপুল ঋণ দেবেন্দ্রনাথের কাঁধে এসে পড়ে— অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার কাহিনিও প্রকাশ করে এই বই।

Advertisement

উনিশ শতক-গবেষক আশিস খাস্তগীরের সম্পাদিত এই বইয়ের উপরি পাওনা পরিশিষ্টে সংযোজিত ব্যক্তিপরিচয়, দেবেন্দ্রনাথের ভ্রমণপঞ্জি, সভা-সমিতি ও আনুষঙ্গিক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement