চাহিদা তলানিতে। চড়া কাঁচামালের দামও। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে যুক্তমূল্য করের (ভ্যাট) আওতা থেকে মোমবাতি শিল্পকে বাদ দেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে আর্জি জানাল ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়াক্স বেসড্ ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির অভিযোগ, ধুপকাঠি, সিঁদুর, আলতা, শাঁখার মতো বিভিন্ন পূজা সামগ্রীর উপর থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়েছে ২০০৯ সাল থেকেই। অথচ পূজা সামগ্রী এবং অতি ক্ষুদ্র শিল্পের আওতাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও মোমবাতি সেই সুবিধা পায় না। তা-ও এমন পরিস্থিতিতে যখন এই শিল্পে অস্তিত্বের সঙ্কট। অনিশ্চিত প্রায় সাত হাজার কর্মীর রুজি-রুটি। সংগঠনের সম্পাদক সমীর দের প্রশ্ন, “ধুপকাঠি শিল্পের আয় মোমবাতির থেকে প্রায় ২০০ গুণ বেশি। তারা ভ্যাটে ছাড় পেলে, মোমবাতি পাবে না কেন?”
সমীরবাবু বলেন, “মোমবাতি অতি ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পড়ে। চাহিদা কমায় ও কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে রাজ্যে একের পর এক এর কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ২০১০-’১১ সালে যেখানে ১২০০টি কারখানা ছিল, এখন রয়েছে ৩৫০টির মতো। যার সঙ্গে প্রায় সাত হাজার লোক যুক্ত। তাই দ্রুত শিল্পটিকে চাঙ্গা না-করলে, তাঁদের রুজি-রুটি বন্ধ হয়ে যাবে।” তাঁর দাবি, ৫% ভ্যাট দিয়ে কাঁচামাল (প্যারাফিন ওয়াক্স) কিনতে হয়। তাতে ছাড় মিললে উৎপাদন খরচ কমায় সমস্যার কিছুটা অন্তত সুরাহা হবে।