অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে অক্টোবরে দেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্র বাড়ল ৬.৩%। যা গত চার মাসের মধ্যে সব থেকে বেশি। আগের আর্থিক বছরের একই সময়ে ওই হার সরাসরি কমে গিয়েছিল ০.১%। পাশাপাশি, গত সেপ্টেম্বরেও তা বেড়েছিল মাত্র ১.৯%। সেখান থেকে এ বার পরিকাঠামোর এতটা লাফ মূলত কয়লা, তেল শোধন ক্ষেত্র এবং বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির হাত ধরেই সম্ভব হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে কেন্দ্র প্রকাশিত পরিসংখ্যান।
স্বাভাবিক ভাবেই অক্টোবরে পরিকাঠামো বৃদ্ধির এই হারে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে শিল্পমহল। কারণ, শিল্পোৎপাদন সূচকে পরিকাঠামো ক্ষেত্রগুলির অবদান ৩৮%। ফলে এতে শিল্প বৃদ্ধির হারও চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পরিকাঠামোয় বৃদ্ধির এই পরিসংখ্যান সামনে এসেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি পর্যালোচনার ঠিক আগের দিনই। তাই অনেকের আবার আশঙ্কা, পরিকাঠামো শিল্পের ভাল ফলই না আবার পোক্ত করে সুদ অপরিবর্তিত রাখার জমি। কারণ, ঋণনীতি তৈরির আগে অর্থনীতির খতিয়ান নেওয়ার সময় শীর্ষ ব্যাঙ্কের অন্যতম বিচার্য বিষয় হয় শিল্প ও পরিকাঠামো বৃদ্ধি।
প্রসঙ্গত, মোট আটটি ক্ষেত্র নিয়ে তৈরি হয় দেশের পরিকাঠামো। এগুলি হল, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল শোধন ক্ষেত্র, ইস্পাত, কয়লা, সার, সিমেন্ট ও বিদ্যুৎ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এর মধ্যে এ বার কয়লা ও তেল শোধন ক্ষেত্র বেড়েছে যথাক্রমে ১৬.২% ও ৪.২% হারে। যেখানে ২০১৩-র অক্টোবরে দু’টির বৃদ্ধিই সরাসরি শূন্যের নীচে নেমে গিয়েছিল। পাশাপাশি এ বার বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির হারও দাঁড়িয়েছে ১৩.২%।
তবে এপ্রিল থেকে অক্টোবর, এই সাত মাসে পরিকাঠামো বৃদ্ধির হার খুব বেশি উন্নত হয়নি। আগের বছরের ৪.২ শতাংশের তুলনায় এ বার তা দাঁড়িয়েছে ৪.৩ শতাংশে।