পরিষেবার মানে ঘাটতি যাতে আগামী দিনে বাজার হারানোর কারণ না-হয়, তা নিশ্চিত করতে কোমর বাঁধছে বি এস এন এল। গ্রাহককে অবিচ্ছিন্ন ব্রডব্যান্ড পরিষেবা জোগাতে উন্নততর প্রযুক্তির হাত ধরছে তারা। একই সঙ্গে, সময়ের দাবি মেনে সহজে ক্রেতার দরজায় পৌঁছতে প্রিপেডে অনলাইন রিচার্জেও জোর দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম পরিষেবা সংস্থাটি।
সারা দেশে ব্রডব্যান্ড পরিষেবায় প্রতিযোগীদের থেকে এখনও কয়েক কদম এগিয়ে বি এস এন এল। কিন্তু তার পরিষেবার মান নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে অনেক গ্রাহকের। সেই সুযোগে আধুনিক প্রযুক্তি এনে বাজার দখলের চেষ্টা করছে প্রতিযোগী সংস্থাগুলি। ক্রমাগত ব্যবসা বাড়াচ্ছে তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি বিলক্ষণ জানে, নেট-এর ব্যবহার যে রকম রকেট গতিতে বাড়ছে, তাতে এই বাজার অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। কিন্তু তেমনই এখন এই বাজার হাতছাড়া হলে, পরে তা ফেরত পাওয়া শক্ত। সেই কারণেই প্রথম স্থান দখলে রাখতে ঝাঁপাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। হাত ধরছে নতুন প্রযুক্তির।
ক্যালকাটা টেলিফোন্সের জিএম অসীম কুমার সিংহের দাবি, বি এস এন এলের ব্রডব্যান্ড-পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নত। কিন্তু শহর জুড়ে বিভিন্ন সংস্থার খোঁড়াখুঁড়িতে তার অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল কেটে গেলে, বিপত্তি ঘটে। যতক্ষণ না তা জোড়া দেওয়া যায়, ততক্ষণ বিঘ্নিত হয় পরিষেবা। অসীমবাবুর দাবি, এ বার কেব্ল মেরামতির সময়েও পরিষেবা চালু রাখতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ‘মাইক্রো ওয়েভ লিঙ্ক’ প্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। যা দিয়ে কেব্ল জোড়া না-দেওয়া পর্যন্ত পরিষেবা চালু রাখা সম্ভব হয়। কলকাতা বিমানবন্দরে এই প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে।
এ ছাড়া, ব্রডব্যান্ডে প্রি-পেড পরিষেবাও নতুন করে চালু করছে বিএসএনএল। সে ক্ষেত্রে গ্রাহক তাঁর চাহিদা মাফিক আগাম রিচার্জ করতে পারবেন। এবং অনলাইনেই তা করতে পারবেন তিনি। অসীমবাবু জানান, আগে ভাউচারে এই সুযোগ মিললেও, তা জনপ্রিয় হয়নি। কিন্তু এ বার অনলাইনে তা পাওয়া গেলে, গ্রাহকেরা সহজেই সেই সুবিধা নিতে পারবেন বলে আশাবাদী তাঁরা।