এ বার কড়া হাতে কমানো হবে খরচ। কর্মীদের নোটিস দিয়ে এ কথাই জানাল লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়া (এআই)। সংস্থা সূত্রে খবর, এখন প্রতি বছর দেশে-বিদেশে উড়ান চালাতে খরচ পড়ে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে জ্বালানি, বেতনের মতো অস্থায়ী খরচ প্রায় ১৪ হাজার কোটি।
রাষ্ট্রায়ত্ত এই বিমান সংস্থাকে আগামী অর্থবর্ষে (২০১৫ -’১৬) ১৪০০ কোটি টাকা খরচ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংস্থার দাবি, সেই লক্ষ্যেই এই নোটিস। সিএমডি রোহিত নন্দন কর্মীদের চিঠিতে জানিয়েছেন, জ্বালানির দাম কমেছে। সেই খাতে বছরে ২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে বাকি খরচও কমানো যাবে।
প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে-সমস্ত রুটে বিমান চালিয়ে জ্বালানির খরচও উঠছে না, সেগুলি বন্ধ করা হবে। কলকাতা থেকে মূলত উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন শহরে এআইয়ের যে-সব উড়ান যায়, সেখানেই প্রচুর টাকা ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু, লীলাবাড়ি, তেজপুর-এর মতো শহরে উড়ান চালানোর জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চল পরিষদের থেকে মোটা টাকা পাচ্ছে এআইয়ের সহযোগী সংস্থা অ্যালায়েন্স। তবে সংস্থার এক কর্তার কথায়, “গোটা অ্যালায়েন্সই লোকসানে চলছে। তা হলে পুরোটাই গুটিয়ে দিতে হয়।” জানা গিয়েছে, পাহাড়-ঘেরা উত্তর-পূর্ব ভারতে নিয়মিত উড়ান পরিষেবা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে কেন্দ্রেরও। ফলে চাইলেও লোকসানে চলা উড়ান সেখান থেকে তুলে নেওয়া কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংস্থার অন্দরেই।
এর পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে বিলাসিতা কমানোর দিকেও। যেমন:
• পাঁচতারা হোটেলে থাকা, সেমিনার -কনফারেন্স আয়োজন করায় রাশ টানা।
• অফিসের কাজে সকালে গিয়ে রাতে ফিরে হোটেলের খরচ বাঁচানো।
• নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ করা।
• বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়া কমানো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, বেশ কিছু শহরে, এআইয়ের বহু বিভাগেই বাড়তি কর্মী আছে। আবার কিছু জায়গায় কর্মী তুলনায় কম। ওই বাড়তি কর্মী তুলে নিয়ে ভরানো হবে শূন্যস্থান। নতুন করে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্থা চাঙ্গা করতে ২০১২-এ কেন্দ্র ৩৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল। নতুন সরকার এসে রাশ টানতে চাইছে খরচে।