মুম্বইয়ে মোদী। শুক্রবার। ছবি: রয়টার্স।
কালো টাকার সমস্যা রুখতে কার্ডে লেনদেন আরও জনপ্রিয় করার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে, মানুষ যাতে সঞ্চয়ের বিপুল টাকা সোনায় না-রাখেন, তার উপায় খোঁজার দায়িত্ব ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রকেই নিতে বললেন তিনি। মুম্বইয়ে ওই একই মঞ্চ থেকে ‘আচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ন উস্কে দিলেন অরুণ জেটলিও। অর্থমন্ত্রীর দাবি, সকলের দরজায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছলে, বৃদ্ধির হারে চিনকে ধরে ফেলবে ভারত।
ভোট-প্রতিশ্রুতি মেনে বিদেশি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে থাকা কালো টাকা দেশে ফেরানো নিয়ে সম্প্রতি বারবার উত্তাল হয়েছে সংসদ। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুম্বইয়ে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, কালো টাকার সমস্যার সেরা সমাধান নগদ লেনদেন যথাসম্ভব কমিয়ে আনা। এ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় সামিল হতে পারে ব্যাঙ্কগুলি। চেষ্টা করতে পারে গ্রাহকদের মধ্যে কার্ডে লেনদেন জনপ্রিয় করার। তাঁর মতে, এ জন্য সহজে ও যখন খুশি অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের উপায় করে দেওয়া জরুরি।
দেশে সোনা আমদানি চোখে পড়ার মতো বাড়ায় সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রার লেনদেন ঘাটতি। বেড়েছে বাণিজ্য ঘাটতিও। এই প্রেক্ষাপটে মোদীর আর্জি, “ভারতীয়রা সঞ্চয়ে দড়। কিন্তু সেই সঞ্চয় তাঁরা যাতে সোনা কিনে না-করেন, তার উপায় খুঁজুক ব্যাঙ্কগুলি।” তাঁর মতে, ব্যাঙ্ক যেমন অর্থনীতির পক্ষে গুরুত্বর্পূণ, তেমনই তার সামাজিক দায়িত্বও কম নয়। সেই জায়গা থেকে পরিবেশ সচেতন প্রকল্পে লগ্নি করা উদ্যোগপতিদের (মোদীর কথায় স্বচ্ছ উদ্যোগপতি) পুঁজি জোগাতে ব্যাঙ্কগুলির এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
ব্যাঙ্কিং পরিষেবার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে জেটলির দাবি, “সুদিন আসছে। আকর্ষণীয় হতে চলেছে সামনের দিন। ব্যাঙ্ক সকলের দরজায় পৌঁছতে পারলে, চিনের বৃদ্ধির হারকে ধরে ফেলতেও সমস্যা হবে না ভারতের।”