শহরে ‘ডাটসন গো প্লাস’। প্রদর্শনে রঘুবংশী।
গাড়ির দৈর্ঘ্য চার মিটারের চেয়ে কম হলে করের হারও ন্যূনতম। ক্রেতা টানতে তাই সেই মাপের ‘কমপ্যাক্ট’ গাড়ি তৈরির প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে সংস্থাগুলির মধ্যে। নিসানের ‘ডাটসন গো প্লাস’ সেই তালিকায় নবতম সংযোজন।
বছর তিনেক আগে জাপানি সংস্থা নিসান ভারতে গাড়ি তৈরি শুরু করে। মূলত কম দামি গাড়ির ক্রেতার বাজার ধরতে সংস্থা ডাটসন ব্র্যান্ড ভারতের বাজারে এনেছে। এর আগে ‘হ্যাচব্যাক’ গাড়ি ‘ডাটসন গো’ বাজারে এনেছিল তারা। এ বার ৪ মিটারের কম দৈর্ঘ্যেই কার্যত বহু ব্যবহারের উপযোগী (মাল্টিপারপাস ভেহিক্ল) নতুন গাড়ি ডাটসন গো-প্লাস বাজারে আনল তারা। উল্লেখ্য, এর আগে চার মিটারের কম ‘কম্প্যাক্ট এসইউভি’ গাড়িও বাজারে এনেছে একাধিক সংস্থা।
সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেলস) অজয় রঘুবংশী সম্প্রতি জানান, দেশের মেট্রো শহরের পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত ছোট শহরের বাজারে এই গাড়িটির চাহিদা ভালই গড়ে উঠবে বলে তাঁদের আশা। কারণ কম দামে গোটা পরিবারকে নিয়ে চলার উপযোগী হবে এই গাড়িটি, দাবি রঘুবংশীর। কলকাতায় ১.২ লিটার ইঞ্জিনের পেট্রোলচালিত মডেলটির দাম পড়ছে ৩.৯০ লক্ষ টাকা থেকে ৪.৭৪ লক্ষ টাকা।
গাড়িটিতে যে তৃতীয় সারির আসন রাখা হয়েছে, সেটি অবশ্য ছোটদের বসার উপযোগী। তবে তা মুড়ে রাখার বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাল রাখার জায়গা বেড়ে যাবে বলে দাবি সংস্থাটির।
এর আগে নিসানের ‘ডাটসন গো’ গাড়িটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্লোবাল এনসিএপি-র সমীক্ষায়। যদিও রঘুবংশীর দাবি, তাঁরা সরকার নির্ধারিত মাপকাঠি ও দেশের নিরাপত্তা বিধি মেনেই গাড়ি তৈরি করেন। এ জন্য সরকারি সংস্থার যে-ছাড়পত্র নিতে হয় তা-ও তাঁদের রয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ডাটসন গো-প্লাসও নিরাপত্তা বিধি মেনেই তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি রঘুবংশীর।