টয়োটায় লকআউট উঠছে সোমবার

কাজে যোগ দিতে রাজি হলেও, মুচলেকা সইয়ে নারাজ কর্মীরা

সোমবার লকআউট উঠলে কাজে যোগ দিতে রাজি টয়োটার বেঙ্গালুরু কারখানার কর্মীরা। কিন্তু তার জন্য সংস্থার দাবি মেনে কোনও মুচলেকায় সই করবেন না তাঁরা। শনিবার এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন জাপানি বহুজাতিকটির ভারতীয় শাখা টয়োটা কির্লোস্কর মোটরের কর্মী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। গত ১৬ মার্চ থেকে বন্ধ থাকার পর সোমবারই খোলার কথা ওই কারখানার দু’টি ইউনিট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৪ ০০:৫৮
Share:

খোলার অপেক্ষায়। টয়োটার বেঙ্গালুরু কারখানা। ছবি: এএফপি।

সোমবার লকআউট উঠলে কাজে যোগ দিতে রাজি টয়োটার বেঙ্গালুরু কারখানার কর্মীরা। কিন্তু তার জন্য সংস্থার দাবি মেনে কোনও মুচলেকায় সই করবেন না তাঁরা। শনিবার এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন জাপানি বহুজাতিকটির ভারতীয় শাখা টয়োটা কির্লোস্কর মোটরের কর্মী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

গত ১৬ মার্চ থেকে বন্ধ থাকার পর সোমবারই খোলার কথা ওই কারখানার দু’টি ইউনিট। কর্নাটক সরকার ও কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সংস্থা জানায়, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি মুচলেকায় সই করে তবেই কাজে ফিরতে হবে কর্মীদের। আর এখানেই আপত্তি জানিয়েছেন কর্মীরা।

এ দিন কাজে যোগদানের শর্ত খতিয়ে দেখতে বৈঠকে বসে সংস্থার কর্মী ইউনিয়ন। তার পর ইউনিয়নের নেতা প্রসন্ন কুমার বলেন, “লকআউট তুলে নেওয়ার কথা জানালেও, এর জন্য কিছু শর্ত রেখেছে সংস্থা। বলেছে মুচলেকা জমা দেওয়ার কথা। আমরা কাজ করতে রাজি, কিন্তু মুচলেকা সই করতে নই।” তাঁদের দাবি, মুচলেকায় দেওয়া শর্তগুলি বেআইনি। এতে সই করার অর্থ সংস্থার লকআউটের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মেনে নেওয়া এবং টয়োটার পাঠানো নোটিসের বক্তব্য সত্যি বলে স্বীকার করা। তা ছাড়া, সেখানে সই করলে কর্মীদের বিনা শর্তে সংস্থার সমস্ত নির্দেশ মানতে হবে বলেও ইউনিয়নের আশঙ্কা।

Advertisement

কারখানায় মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, সেখানে ক্যামেরা লাগানোর মতো বিষয় নিয়েও আপত্তি রয়েছে সংগঠনের। এতে কর্মীদের অধিকার খর্ব হবে বলে তাদের আশঙ্কা। এই সমস্ত কারণেই মুচলেকা সই না-করার সিদ্ধান্ত। কুমার জানান, কিছু কর্মীর সাসপেনশন তোলার জন্যও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement