বিপণির সামনে উত্সুক ক্রেতা। —নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির পরে কোচবিহারে পথ চলা শুরু হল ‘আনন্দে’র। বুধবার কোচবিহার শহরের ব্যাঙচাতরা রোডে কোহিনূর কমপ্লেক্সে প্রদীপ জ্বালিয়ে, মন্ত্রোচ্চারণ করে আনন্দ পাবলিশার্সের গ্রন্থ বিপণির উদ্বোধন করেন কোচবিহারের রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণব্রহ্মানন্দ। এই উপলক্ষে জেলার পুস্তকপ্রেমীদের উত্সাহ ছিল দেখার মতো। কোচবিহারের মতো জেলা শহরে একটা বইয়ের খোঁজে এতদিন হন্যে হয়ে ঘুরতে হত বইপ্রেমীদের। জেলার বাইরেও ছুটতে হত তাঁদের। নতুন এই গ্রন্থ বিপণি হওয়ায় সেই সমস্যা অনেকটাই দূর হল বলে মনে করছেন শহরের বিশিষ্টেরা।
এ দিন স্বামী পূর্ণ ব্রহ্মানন্দ মহারাজ বলেন, “আনন্দ পাবলিশার্স এমন একটি প্রকাশনী সংস্থা, সেখানে সব রকমের বইয়ের সম্ভার রয়েছে। শিশু সাহিত্য থেকে শুরু করে উপন্যাস, ধর্মগ্রন্থ সবই রয়েছে। আমি মনে করছি, এতে জেলার মানুষের মধ্যে পঠনপাঠনের অভ্যাস বাড়বে। তাতে জ্ঞানলাভ হবে। জীবনে চলার পথে তা কাজে লাগবে।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহরের বিশিষ্টজনেরাও। প্রাবন্ধিক দেবব্রত চাকী জানান, বহুদিন ধরেই অশোক রায়ের লেখা ‘শালগ্রাম শিলার সন্ধানে’ বইটি খুঁজছিলেন তিনি। কোচবিহারে কোথাও সেটি পাওয়া যাচ্ছিল না। বললেন, “ভেবেছিলাম, কলকাতায় গিয়ে বইটি কিনে নিয়ে আসব। এরপরে কোচবিহারেই আনন্দ পাবলিশার্সের গ্রন্থ বিপণির উদ্বোধন হল। সেখানেই বইটি পেয়ে গেলাম।”
বুধবার আনন্দ পাবলিশার্সের গ্রন্থ বিপণিটির উদ্বোধন
করেন স্বামী পূর্ণব্রহ্মানন্দ। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।
এ দিন এই বিপণিতে বই কিনতে ভিড় করেন অনেক পুস্তকপ্রেমী। ফেলুদা, টিনটিন, কাকাবাবু সিরিজের বই ছাড়াও উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ গ্রন্থের সম্ভার পেয়ে খুশি তাঁরা। প্রকাশনী সংস্থার তরফে সুবীর মিত্র জানান, উত্তরবঙ্গে মালদহ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে আনন্দের গ্রন্থ বিপণি আগে থেকেই রয়েছে। কোচবিহারে ৩৮তম গ্রন্থ বিপণির উদ্বোধন হল। তিনি বলেন, “বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি।”