এপ্রিলে দেশের পণ্য রফতানি ১২.৭% কমে ৩৪৬৬ কোটি ডলারে নেমেছে। প্রতীকী ছবি।
আমেরিকা এবং ইউরোপে চাহিদা কমায় ফের ধাক্কা খেল ভারতের রফতানি। এই নিয়ে টানা তিন মাস। আমদানি হ্রাস পাওয়ায় কমল বাণিজ্য ঘাটতিও। অদূর ভবিষ্যতে অবস্থার উন্নতির আশা কম বলেই সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত।
সোমবার কেন্দ্র জানিয়েছে, এপ্রিলে দেশের পণ্য রফতানি ১২.৭% কমে ৩৪৬৬ কোটি ডলারে নেমেছে। বৈদেশিক বাণিজ্য দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল সন্তোষ কুমার ষড়ঙ্গী বলেন, “ইউরোপের অবস্থা ভাল নয়। আমেরিকাতেও চাহিদা কমছে। আগামী দু’তিন মাস পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়।’’ তবে তাঁর আশা, সেপ্টেম্বর থেকে অবস্থা পাল্টাতে পারে। তাঁর যুক্তি, চিনের দরজা খোলার পাশাপাশি অগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে আমেরিকা-ইউরোপের বাজারেও চাহিদায় গতি আসার সম্ভাবনা।
তবে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অশোধিত তেল ও সোনা-সহ কয়েকটি পণ্যের ক্ষেত্রে আমদানি খাতের খরচ কমেছে। টানা পাঁচ মাস আমদানি কমায় গত মাসে বাণিজ্য ঘাটতিও নেমেছে ১৫২৪ কোটি ডলারে। যা ২০ মাসের সর্বনিম্ন। তবে মূল্যবৃদ্ধি, তা সামলাতে সুদের হার বৃদ্ধি এবং ভূ-রাজনৈতিক সমস্যায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার মধ্যেও ভারতের রফতানি খারাপ বলা যাবে না বলে দাবি রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়োর সভাপতি এ শক্তিভেলের। ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের সভাপতি অরুণ গারোদিয়াও মনে করেন, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে ভারতের রফতানি প্রশংসার দাবি রাখে। তবে তাঁদের পরামর্শ, পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে বিশ্ব জুড়ে ভারতীয় ব্র্যান্ডগুলির প্রচার বাড়ানো জরুরি।