অনুৎপাদক সম্পদে দ্রুত রাশ টানতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যার ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে অনাদায়ী ঋণ নিয়ে আগের সমস্ত নিয়ম। এ বার সেই নির্দেশিকা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করল বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব পাওয়ার প্রডিউসারস।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে পাঠানো চিঠিতে সংগঠনের দাবি, এই নিয়ম তৈরির সময়ে বিদ্যুৎ ক্ষেত্র নিয়ে সংসদের স্থায়ী কমিটি এবং কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সুপারিশের কথা মাথায় রাখা হয়নি। এ জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেলের হস্তক্ষেপও দাবি করেছে তারা। একই সঙ্গে দাবি জানিয়েছে, ওই নির্দেশিকা থেকে বিদ্যুৎ শিল্পকে বাদ রাখারও। প্রসঙ্গত, খুব কম টাকা বাকি পড়ার জেরে আইনি বাধ্যবাধকতায় যাতে কোনও ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত না হয়, সে দিকে নজর দিতে বলা হয়েছিল সুপারিশে।
এক চিঠিতে সংগঠনের ডিরেক্টর জেনারেল অশোক খুরানার দাবি, বিদ্যুৎ শিল্পের সংস্থাগুলির ঋণ মেটাতে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ বিভিন্ন রাজ্য সরকারি বণ্টন সংস্থার থেকে সময়ে প্রাপ্য না পাওয়া। যার অঙ্ক প্রায় ৮,৩০০ কোটি টাকা। একই সঙ্গে নিয়ম বদল ও নীতি সংক্রান্ত নানা সমস্যার জেরে আটকে রয়েছে প্রায় ৭,৮০০ কোটি। এ ছাড়াও কোল ইন্ডিয়ার কাছ থেকে দেরিতে কয়লা পাওয়াও ঋণ মেটানোর পথে বড় বাধা বলে তাঁর দাবি।