Durgapur Thermal Power Station

ডিটিপিএস-এ চালু ইউনিট ‘বন্ধে’ ক্ষোভ ইউনিয়নের

শ্রমিক সংগঠনগুলির আশঙ্কা, ডিটিপিএস বন্ধ করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাজ হারাবেন ১৩০০ স্থায়ী, অস্থায়ী ও ঠিকাকর্মী। 

Advertisement

সুব্রত সীট 

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:১২
Share:

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ মেনে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে না-পারায় ওই দিন রাত ১১টা ৫০ মিনিটে দুর্গাপুরে ডিভিসি-র দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের (ডিটিপিএস) একমাত্র চালু ইউনিটটিও বন্ধ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ করে শ্রমিক সংগঠনগুলির আশঙ্কা, এই অবস্থায় ডিটিপিএস বন্ধ করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাজ হারাবেন ১৩০০ স্থায়ী, অস্থায়ী ও ঠিকাকর্মী।

Advertisement

ডিটিপিএস সূত্রের খবর, চারটি ইউনিটের মধ্যে ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন চতুর্থ ইউনিটটি চালু ছিল। সেটির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েই কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছেন সেটি বন্ধ করতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিটিপিএসের কর্তারা জানান, আর্থিক কারণেই দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। সময়সীমা বাড়াতে পর্ষদের কাছে ফের আর্জি জানানো হবে।

তবে ডিটিপিএস পাকাপাকি ভাবে বন্ধের চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ আইএনটিটিইউসি নেতা স্বরূপ মণ্ডল, সিটু নেতা অভিজিৎ রায়ের। বিএমএস নেতা কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি,

Advertisement

‘‘কেন্দ্রের কাছে ৬১০ মেগাওয়াটের দু’টি সুপার ক্রিটিক্যাল ইউনিট চালুর দাবি জানিয়েছি।’’ অভিজিৎবাবুর দাবি, ‘‘অতীতে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার ২০০ কোটি টাকা দিয়েছিল। এখন বর্তমান সরকার এগিয়ে আসুক।’’

যদিও রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের এখানে কিছু করার নেই। কর্তৃপক্ষ এক জনেরও কাজ যাবে না বলে নিশ্চিত করেছেন। যত দ্রুত সম্ভব ইউনিটটি চালুর দাবিতে আমিও সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজকুমার সিংহকে চিঠি দেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement