Whale

Ambergris: তিমির শুকনো বমিতে মেলে দারুণ সুগন্ধি! কোটি কোটিতে বিক্রি হয় সাগরে ভেসে আসা ‘সোনা’

দামি সুগন্ধি বা পারফিউম তৈরিতে ব্যবহার করা হয় অ্যাম্বারগ্রিস। এ ছাড়াও ওষুধ তৈরিতেও এর ব্যবহার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৩৪
Share:

স্পার্ম তিমির বমিকে ভাসমান সোনাও বলা হয়। প্রতীকী চিত্র

এক কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের তিমির বমি পাচার করতে গিয়ে সম্প্রতি দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। চোরাবাজারে ওই দুই ব্যক্তি স্পার্ম তিমির বমি বা ‘অ্যাম্বারগ্রিস’ বিক্রি করবে বলে পুলিশ খবর পায়। ক্রেতা সেজে পুলিশ গিয়ে পাকড়াও করে ওই দুই ব্যক্তিকে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে গুজরাত ও কর্নাটকে এমন ভাবে অ্যাম্বারগ্রিসের চো‌রাই কারবার পুলিশের নজরে এসেছে। প্রতি বারই কোটি কোটি টাকার অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধার হয় পাচারকারীদের থেকে।

Advertisement

জানা যায়, তাজা অ্যাম্বারগ্রিসের খুব খারাপ গন্ধ হলেও তা যত পুরনো হতে থাকে, ততই সুগন্ধযুক্ত হয়। অনেকে বলেন, এর থেকে কস্তুরির গন্ধ পাওয়া যায়। দামি সুগন্ধি বা পারফিউম তৈরিতে ব্যবহার করা হয় অ্যাম্বারগ্রিস। এ ছাড়াও ওষুধ তৈরিতেও এর ব্যবহার হয়।

প্রাণীবিদরা বলেন, স্পার্ম তিমির পাকস্থলীতে অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। স্পার্ম তিমি হাজার হাজার স্কুইড খায়। মাঝে মাঝে সেই স্কুইড পাকস্থলী ও অন্ত্রে জমা হয়ে থাকে। আর সেগুলি পরে অ্যাম্বারগ্রিসে পরিণত হয়। পরে এক সময় স্পার্ম তিমি তা মুখ দিয়ে বের করে দেয়। অ্যাম্বারগ্রিস খানিকটা মোমের মতো পিচ্ছিল। এগুলি সমুদ্রে ভাসতে থাকে। অনেকেই সমুদ্রে এগুলি কুড়িয়ে পান। কিন্তু এর মূল্য জানেন না। আর যাঁরা মূল্য জানেন তাঁরা কোটিপতিও হতে পারেন। যেহেতু সাগরে ভাসে এবং দুর্মূল্য তাই অনেকে তিমির বমিকে ‘ভাসমান সোনা’ বলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement