—প্রতীকী চিত্র।
গত মাসে খুচরো বাজারের মতো পাইকারিতেও মাথা নামাল মূল্যবৃদ্ধির হার। তবে পরিসংখ্যান দেখে খুচরোর মতোই খুব একটা স্বস্তি ফিরল না। কারণ, আনাজের পাইকারি দর কমলেও আলু, পেঁয়াজ, চাল, ডাল, গমের মতো খাবারের মূল্যবৃদ্ধি যথেষ্ট চড়া। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছে খুচরো বাজারে। ফলে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে আরও কত দিন অপেক্ষা করতে হবে, প্রশ্ন থাকছেই।
বুধবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে প্রকাশ, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার জুলাইয়ে ২.০৪ শতাংশে নেমেছে। তিন মাসে সর্বনিম্ন। জুনে ৩.৩৬% হয়ে তা ১৬ মাসের সর্বোচ্চ হয়েছিল। গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ১.২৩%। সরকারি হিসাবে দাবি, খাদ্যপণ্যের কমতে থাকা দামই টানা চার মাস ধরে চড়তে থাকা পাইকারি মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরিয়েছে। জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩.৪৫%। যেখানে আগের বছরের জুলাইয়ে তা ১০.৮৭% ছুঁয়ে ফেলেছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এখানে দাঁড়িয়েই দানা বাঁধছে আশঙ্কা। কারণ আগের বছরের উঁচু ভিতের নিরিখে এ বারের হার অনেকটা কম দেখাচ্ছে। আনাজের দাম কমেওছে ৮.৯৩%। কিন্তু তার পরেও ধানের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি প্রায় ১১% (১০.৯৮%), পেঁয়াজের ৮৮.৭৭%, আলুর ৭৬.২৩%। ডালের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশেরও বেশি হারে। এমনিতে পাইকারি দামের প্রভাব খুচরো বাজারে পড়তে অনেকটা সময় লাগে। তবে তা আরও না কমলে দুশ্চিন্তা বহাল বলেই বলেই মনে করছেন অনেকে।
আইসিএআই-এর পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত বলছেন, ‘‘দুই বাজারেই মূল্যবৃদ্ধির মাথা নামানো ভাল খবর। তবে দিনের শেষে সাধারণ মানুষের খরচ কমছে কি না, সেটাই দেখার।’’
সম্প্রতি সরকারি হিসাবে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি নেমেছে পাঁচ বছরের তলানিতে। তার ৩.৫৪% হার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৪% লক্ষ্যমাত্রার কম। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এই পরিসংখ্যানের স্বস্তি তেমন টের পাওয়া যায়নি। বরং গত বছর জুলাইয়ে উঁচু হারের সঙ্গে তুলনা করে খাদ্যপণ্য এবং সার্বিক খুচরো মূল্যবৃদ্ধি কম দেখাচ্ছে। কিন্তু চাল-গম-ডাল, আনাজ, মাছ-মাংস, ডিম ইত্যাদি এখনও ওই বাজারে যথেষ্ট চড়া।