বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সোনার দামের ওঠাপড়ার সম্পর্ক খুবই গভীর। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, বিশ্বের বেশির ভাগ সোনা কয়েকটি দেশের হাতে গচ্ছিত। সোনার বার, গয়না সবমিলেই ধার্য করা হয়েছে এই পরিমাণ। এই তালিকায় ভারত কত নম্বরে জানেন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে এক নম্বরে। ৮,১৩৩.৫ টন সোনা গচ্ছিত রয়েছে এই দেশে। মূলত সোনার বারের আকারেই রয়েছে এই সোনা।
জার্মানি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রায় ৩,৩৭৩ টন সোনা রয়েছে এই দেশে। কোল্ড ওয়ারের সময় এই দেশের বেশ কিছু সোনা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলে চলে যাওয়ায় সোনার পরিমাণ খানিকটা কমে গিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছে সবমিলে প্রায় ২,৮১৪ টন সোনা মজুত রয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতার উদ্দেশ্য নিয়েই ১৮৯টি দেশ মিলে এই সংস্থা তৈরি হয়েছিল।
ইতালির দখলে রয়েছে প্রায় ২,৪৫১ টন সোনা। তালিকায় তারা চার নম্বরে।
ফ্রান্সের দখলে রয়েছে মোট ২৪৩৫.৯ টন সোনা। এর মধ্যে বেশির ভাগটাই ১৯৫০-৬০ সালের মধ্যে ফ্রান্সের আওতায় আসে। ফ্রান্স রয়েছে পঞ্চম স্থানে।
চিনের কাছে রয়েছে প্রায় ১,৮৪২.৬ টন সোনা। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনা উৎপাদনকারী দেশ হল চিন। তারা রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। এ দেশের মধ্যবিত্তদের কাছে সোনার চাহিদা বিপুল।
রাশিয়ার কাছে প্রায় ১৭৭৮.৯ টন সোনা গচ্ছিত রয়েছে। তারা সপ্তম স্থানে রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের দখলে রয়েছে প্রায় ১,০৪০ টন সোনা। তারা রয়েছে অষ্টম স্থানে।
জাপানের কাছে রয়েছে মোট ৭৬৫.২ টন সোনা। তালিকায় জাপানিরা ৯ নম্বরে।
নেদারল্যান্ডসের দখলে রয়েছে মোট ৬১২.৫ টন সোনা।
একাদশ স্থানে রয়েছে ভারত। প্রায় ৫৫৭.৮ টন সোনা রয়েছে ভারতের দখলে। মূলত গয়নার আকারেই সোনা রয়েছে ভারতের কাছে।
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের কাছে রয়েছে ৫০৪.৮ টন সোনা। যা ভারতের মোট সোনার পরিমাণের চেয়ে কম! তুরস্কের কাছে ৪৯৫.৬ টন, তাইওয়ানের কাছে ৪২৩.৬ টন, সৌদি আরবের কাছে রয়েছে ৩২২.৯ টন সোনা।