প্রতীকী চিত্র। ছবি: শাটারস্টক থেকে নেওয়া।
প্রায় দু’বছর আলোচনার পর প্রাথমিক সম্মতি পেল হোয়াটসঅ্যাপ। এবার অন্যান্য পেমেন্ট অ্যাপের মতো ফেসবুক কোম্পানির এই প্ল্যাটফর্মেও টাকা পাঠানো যাবে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারে প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়ে গিয়েছে ফেসবুকের এই পেমেন্ট অ্যাপ ‘হোয়াটসঅ্যাপ পে’।
এতদিন পরীক্ষামূলক ভাবে অ্যাপের ট্রায়াল রান করছিল হোয়াটসঅ্যাপ। প্রায় ১০ লাখ ইউজার নিজেদের মধ্যে ব্যবহার করছিলেন ‘হোয়াটসঅ্যাপ পে’। ২০১৮ সাল থেকে আইসিআইআই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথভাবে এই ট্রায়াল রান চলছিল। যদিও এটি সরকারি ভাবে ছিল না। অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। এবার ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রাথমিক ছাড়পত্র পেয়ে গেল হোয়াটসঅ্যাপ পে।
এতদিন সরকারের সঙ্গে মূল আলোচনার বিষয়টি ছিল হোয়াটসঅ্যাপ পে-র ডেটা বা তথ্য কোথাকার সার্ভারে জমা হবে। সরকার চাইছিল স্থানীয় ভাবে অর্থাত্ ভারতেই তা জমা হোক তথ্য। আপাতত ঠিক হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ পে, পুশ পদ্ধতিতে প্রায় এক কোটি ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। তারপর সরকারের বেঁধে দেওয়া সব মাপকাঠি পূরণ করতে পারলে সবার জন্য এই প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যময় গল্ফ টুর্নামেন্টের স্টেডিয়ামে আচমকা শরীর প্রদর্শন করলেন মহিলা!
অনেকেই মনে করছেন, গুগল পে, ফোন পে, পেটিএম-এর মতো অন্যান্য পেমেন্ট অ্যাপের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে হোয়াটসঅ্যাপ পে। কারণ ভারতে প্রায় ৪০ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার রয়েছেন। এই বিশাল সংখ্যার ইউজারদের কাছে খুবসহজেই পৌঁছে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ পে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি, অজ্ঞান হওয়ার জোগাড় সাধারণ ফুল ব্যবসায়ীর!
জানুয়ারিতেই ফেসবুক কর্তা মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছিলেন, ছ’ মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ পে। মার্ক বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠানো যেমন সহজ, তত সহজেই এই প্ল্যাটফর্মে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে টাকা’।