কোন টেলিকম সংস্থার মাসুল কত, আগামী দিনে তা জানা যাবে একটিমাত্র পোর্টাল খুললেই। সোমবার একেবারে প্রথম দফায় স্রেফ পরীক্ষামূলক ভাবে এই পোর্টাল চালু করল টেলিকম নিয়ন্ত্রকটি।
এখন সমস্ত টেলি সংস্থাই নিজস্ব ওয়েবসাইটে তাদের মাসুল হার দিয়ে থাকে। ফলে গ্রাহককে তা জানার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে এক একটি সংস্থার সাইটে চোখ রাখতে হয়। কিন্তু এ বার ট্রাই চাইছে প্রতিটি সংস্থার সব ধরনের মাসুল এক ছাতার তলায় জড়ো করতে। কারণ এর ফলে প্রথমত, গ্রাহকের পক্ষে সেগুলি দেখার পদ্ধতি সহজ হবে। দ্বিতীয়ত, সুবিধাজনক হবে একটির সঙ্গে আর একটির তুলনা টানা। আর তৃতীয়ত, মাসুল নির্ধারণেও আসবে স্বচ্ছতা।
এ দিন এক বিবৃতিতে টেলিকম নিয়ন্ত্রকটির সচিব সুনীল কুমার গুপ্ত জানান, ট্রাই আইনে স্বচ্ছতা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। তাই গ্রাহকরা যাতে বিভিন্ন সংস্থার সমস্ত এলাকার (সার্ক্ল) মাসুল এক জায়গায় দেখতে পান, সে জন্যই এই উদ্যোগ। আপাতত যা পরীক্ষামূলক ভাবে আনা হয়েছে শুধু দিল্লি সার্ক্লে। এই পর্যায়ে পোর্টালের ‘ফিডব্যাক’ অংশে গিয়ে গ্রাহক ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে আর্জি জানিয়েছে ট্রাই। তা যাচাইয়ের পরে ভবিষ্যতে রূপ পেতে পারে পুরোদস্তুর চালুর পরিকল্পনা। পোর্টালে মাসুল হারের সব তথ্য ‘ডাউনলোড’ করা যাবে।
এই মুহূর্তে টেলিকম সংস্থাগুলির গ্রাহক টানার অন্যতম পথ মাসুল। বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকের চাহিদা মেপে তা স্থির করে তারা। কে কত সস্তায় পরিষেবা দিচ্ছে, বাজার উত্তাল হয় সেই জল্পনা ঘিরে। হালে যে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়েছে রিলায়্যান্স জিয়ো বাজারে আসার পরে। যদিও মাসুলের নীতি-নিয়ম বেঁধে দিয়ে তাতে সম্প্রতি রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে ট্রাই। এই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রকের দাবি, সব মাসুল একটি পোর্টালে দেখা গেলে শুধু গ্রাহকদের নয়, তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে সুবিধা হবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই।
ভোডাফোন, জিয়ো, এয়ারটেলের মতো সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, বিষয়টি নিয়ে তারা মুখ খুলতে চায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ব্যবস্থাটি পুরোপুরি চালু হলে লড়াই আরও জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতার ময়দানে একে অপরকে টেক্কা দিতে কে কী সুবিধা দিচ্ছে, তা আরও অনেক স্পষ্ট হয়ে যাবে সকলের সামনে।