—প্রতীকী ছবি।
রান্নার গ্যাসের আধার ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রাথমিক ভাবে গত ৩১ ডিসেম্বরের সময়সীমা বাঁধা হয়েছিল। পরে তা মৌখিক ভাবে বাড়ানো হলেও, লিখিত ভাবে এ নিয়ে মুখ খোলেনি কেন্দ্র। সূত্রের অবশ্য খবর, কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে দু’মাসে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ২.৬৯ কোটি গ্রাহকের (উজ্জ্বলা ও সাধারণ) মধ্যে ৬০-৬৫ শতাংশের ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ। দেশের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ। এ বার বাদবাকি গ্রাহককে এতে উৎসাহ দিতে চলতি মাসে বিনামূল্যে গ্যাসের সুরক্ষা পরীক্ষার মতো নানা ব্যবস্থা আনা হচ্ছে।
মঙ্গলবার তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী বলেন, গ্যাসের কেওয়াইসি প্রক্রিয়া শেষ করার সময়সীমা রাখা হয়নি। এ নিয়ে সরকারি ভাবে যে কোনও স্তরেই নির্দেশিকা জারি করা হয়নি, তা জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্র। তবে এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর মহলের খবর, অলিখিত ভাবে ৩১ অগস্টের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থা। সেই সময়ের মধ্যে যাতে এই প্রক্রিয়া শেষ করা যায়, তার জন্য বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছে তারা।
এমনিতে যে ই-কেওয়াইসি করতে টাকা লাগে না, তা ফের স্পষ্ট জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল। সূত্রের খবর, এ বার তাতে গতি আনতে জুলাইয়ে বিনামূল্যে গ্রাহকদের গ্যাসের ওভেন, পাইপের সুরক্ষা পরীক্ষা করবে ইন্ডেন। এত দিন ২৩০ টাকা লাগত। এ মাসে ডিস্ট্রিবিউটরদের তা নিতে নিষেধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এর ফলে যাঁরা এখনও কেওয়াইসি করাননি, তাঁরাও উৎসাহী হবেন।
বুধবার পুরী জানিয়েছেন, ভুয়ো গ্রাহক চিহ্নিত করে গ্যাসের বেআইনি ব্যবহার আটকানো ও যোগ্যদের ভর্তুকি দিতেই কেওয়াইসি-তে জোর দেওয়া হয়েছে। উজ্জ্বলায় সরকার সিলিন্ডারে ৩০০ টাকা ভর্তুকি দেয় জানিয়ে অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বিজন বিশ্বাস বলেন, ‘‘সেই কাজে প্রথমে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে সাধারণ ও উজ্জ্বলা মিলিয়ে মোট গ্রাহকের ৬০-৬৫ শতাংশের ই-কেওয়াইসি শেষ হয়েছে। তবে উজ্জ্বলার দিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে। যেমন, কলকাতা সংলগ্ন এলাকার এই গ্রাহকদের ৯৮ শতাংশেরই ই-কেওয়াইসি সারা।’’
ইন্ডিয়ান অয়েলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বলেন, ‘‘সরকার চায় দরিদ্রসীমার নীচে থাকা ব্যক্তিরাই ভর্তুকি পান। তাই প্রধান লক্ষ্য ভুয়ো উজ্জ্বলা গ্রাহক চিহ্নিত করা।’’